অগ্নিকাণ্ড বা অন্য বিপর্যয়ের মোকাবিলায় শহরে দমকল এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগের আরও ছ’টি ইউনিট গড়তে নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়। গড়িয়ায়, ই এম বাইপাসে সায়েন্স সিটির কাছে, তপসিয়ায়, তারাতলায়, রাজাবাজার এবং প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডে ওই যৌথ ইউনিটগুলি গড়ার কথা ভাবা হয়েছে। এ ছাড়া, বিপর্যয় মোকাবিলার ক্ষেত্রে পুলিশ, পুরসভা, দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগের মধ্যে সব সময়ে সঠিক সমন্বয় হচ্ছে না বলে মুখ্যমন্ত্রী মনে করেন। অবিলম্বে সেই সমন্বয় গড়ে তুলতেও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সোমবার দুপুরে টাউন হলে কলকাতা পুলিশ, পুরসভা, দমকল, আবগারি বিভাগের কর্তাদের নিয়ে এক বৈঠকে সবিস্তার আলোচনা করেন মমতা। তাঁর বক্তব্য, শহরে অবিলম্বে ওই নতুন ইউনিটগুলি গড়া দরকার।
এক দমকলকর্তা জানান, একবালপুরের মতো ঘিঞ্জি এলাকায় আগুন লাগলে দমকলকে বেগ পেতে হয়। সেখানে নবাব আলি পার্কে ভূগর্ভস্থ জলাধার তৈরি করতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকে শহরের বহুতল, বড় রেস্তোরাঁ, হাসপাতাল, বাজার এবং শপিং মলগুলিতে সিসিটিভি লাগানো বাধ্যতামূলক করার কথাও হয়। এ ব্যাপারে পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, প্রয়োজনে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দফায় দফায় বৈঠক করে ব্যবস্থা নিতে হবে। শহরের ‘হেরিটেজ’ এলাকায় নতুন করে হকার বসতে দেওয়ার পক্ষপাতী নন মমতা। তিনি জানান, রবীন্দ্র সদন, ভিক্টোরিয়া, এসএসকেএম হাসপাতাল চত্বরেও নতুন করে যাতে হকার বসতে না পারে, পুলিশ কমিশনারকে তা নিশ্চিত করতে বলেছেন।
বন্দর এলাকার বস্তিগুলিতে আরও বেশি স্নানাগার এবং শৌচালয় তৈরির পরিকল্পনা করেছে সরকার। মুখ্যমন্ত্রী এ দিনের বৈঠকে পুর কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশকে জানান, বস্তির বাসিন্দারা রাস্তার ধারে স্নান করেন। শহরের সৌন্দর্যায়নে তা বিঘ্ন ঘটায়।
মুখ্যমন্ত্রী এ দিন আরও জানান, শহরের বিভিন্ন রাস্তায় আসা-যাওয়ার পথে শিশু কোলে মহিলাদের ভিক্ষা করতে দেখা পীড়াদায়ক। তাঁদের জন্য পুনর্বাসনের ভাবনা থেকে ভিক্ষুকদের একটি তালিকা তৈরি করতে পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছেন মমতা। বৃহন্নলাদের পুনর্বাসনের বিষয়েও ভাবনাচিন্তা করছে রাজ্য। তাঁদের নিয়েও একটি তালিকা করতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে কলকাতা পুর কর্তৃপক্ষকেও নির্দেশ দিয়েছেন, উভয়ের পুনর্বাসনের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে। |