মেয়েদের স্কুল চালু মাড়গ্রামে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মাড়গ্রাম |
বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল এলাকায় একটি গার্লস স্কুল করা হোক। সোমবার সেই আশা পূর্ণ হল মাড়গ্রামের চাঁদপাড়া গ্রামের বাসিন্দাদের। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হাইস্কুলের নতুন ভবন হওয়ায় পুরনো জায়গাটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়েছিল। সোমবার ওই জায়গায় জুনিয়র বালিকা বিদ্যালয়ের শুভ সূচনা হয়। আপাতত ওই স্কুলের দায়িত্ব সামলাবেন গ্রামের বাসিন্দা তথা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অক্ষয়কুমার সিংহ, আব্দুল হাসিব, নসুপতি পটুয়া ও মহম্মদ জাকিরিয়া, সুনীল সরকার, অনাথবন্ধু মজুমদার। তাঁদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন শিক্ষিত বেকার যুবক অশোক মুখোপাধ্যায় এবং ব্রজগোপাল দাস। নতুন ভবন না হাওয়া পর্যন্ত গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস হবে। ইতিমধ্যে কুড়ি জন ভর্তি হয়েছে। ভবন নির্মাণ হয়ে গেলে ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানো হবে।
সমর সিংহ, দ্বিজপদ ভাঙ্গি, অমর সিংহরা বলেন, “আমাদের গ্রাম থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে বসোয়া গ্রামে একটি গার্লস স্কুল আছে। তাই আমাদের এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে একটি গার্লস স্কুল করার দাবি জানিয়ে আসছিলাম। বছর খানেক আগে জুনিয়র বালিকা বিদ্যালয়ের অনুমোদন দিয়েছিল শিক্ষা দফতর। হাইস্কুলের পুরনো জায়গা পড়েছিল। দু’বছর আগে ওই স্কুলের ১৯ শতক জায়গা বালিকা বিদ্যালয়ের জন্য জেলা প্রশাসনের হাতে তুলে দিয়েছিলেন তৎকালীন পরিচালন সমিতি। যত দিন না ওই জায়গায় বাড়ি তৈরি হচ্ছে তত দিন পর্যন্ত ১ নম্বর প্রাথমিক স্কুলের ভবনে দুপুরে পঞ্চম শ্রেণির ক্লাস হবে গার্লস স্কুল চলবে।” রামপুরহাট ১ ব্লকের অবর চক্রের বিদ্যালয় পরিদর্শক কিশোর মণ্ডল জানান, ভবন নির্বাচনের জন্য শিক্ষা দফতর থেকে টাকা অনুমোদনের জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে। জেলা স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) বিমল ঘোষ বলেন, “স্কুল সার্ভিস কমিশনের মধ্যমে শিক্ষক পাওয়া গেলে ওই স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ করা হবে।” এলাকার বাসিন্দারা জানান, এই স্কুলের অনুমোদন পেলে চাঁদপাড়া, শিলগ্রাম, কোয়েম্বা, মাঝিরা, কামরা ও রায়পুর গ্রামের বাসিন্দারা উপকৃত হবেন। এ দিন স্কুলের অনুষ্ঠানে অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক ছাড়া, উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় দফতরের সহঅধিকর্তা সেলিম পটুয়া, বিধায়ক অসিত মাল, রামপুরহাট ২ ব্লকের বিডিও সোমা সাউ প্রমুখ। |