মানোন্নয়নের দাবি অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • দুবরাজপুর |
ব্লকের অর্ধেক অঙ্গনওয়াড়িকেন্দ্রের নিজস্ব ভবন, রান্নাঘর নেই। নেই পানীয় জলের ব্যবস্থাও। শুধুমাত্র দুর্বল পরিকাঠামোই নয়, ওই কেন্দ্রগুলিকে সব্জি, জ্বালানি বাবদ সরকার থেকে যে টাকা দেওয়া হয়, তা দিয়ে মা ও শিশুদের সুস্বাস্থ্য খাবার দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এরকম এক গুচ্ছ অভিযোগে সোমবার দুপুরে দুবরাজপুরের বিডিও এবং ব্লক সুসংহত শিশুবিকাশ প্রকল্প আধিকারিক (সিডিপিও)কে স্মারকলিপি দিলেন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী ও সহায়িকারা। পাশাপাশি তাঁরা বিক্ষোভও দেখান। ফরওয়ার্ড ব্লকের দুবরাজপুর ব্লক অঙ্গনওয়াড়িকর্মী ও সহায়িকা ইউনিয়নের পক্ষে এই স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, বাজারে একটা ডিমের দাম সাড়ে ৪ টাকা। |
বিক্ষোভের ছবিটি তুলেছেন দয়াল সেনগুপ্ত। |
সেখানে সরকার নির্ধারিত ডিমের দাম রাখা হয়েছে ৩ টাকা ৪০ পয়সা। কাঠ এবং কয়লা বাবদ ৭০ থেকে ৮০ জন মা ও শিশুর রান্নার জন্য সরকার থেকে মেলে মাত্র ১৯-২১ টাকা। যা দিয়ে কোনও ভাবেই রান্না করা সম্ভব নয়। সব্জি এবং ডালের জন্য কোথাও ২২ পয়সা, কোথাও ২৪ পয়সা বরাদ্দ আছে। এই অগ্নিমূল্যের বাজারে সেই টাকায় রান্না করা প্রায় অসম্ভব। তার উপরে এই টাকা পেতে তিন থেকে চার মাস সময় লাগে। যেটা তাঁদের উপরে ‘অত্যাচার’ হয়ে যাচ্ছে। ওই ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদিকা মানসী দেবী, কর্মী শীলা ভট্টাচার্য ক্ষোভ, “ব্লকের ২৭৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৩৯টির নিজস্ব ভবন আছে। তাদের মধ্যে মাত্র ৯টিতে রান্নাঘর আছে। অধিকাংশে শৌচাগার ও পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই। এত কষ্টের মধ্যে কাজ করার পরেও টাকা পয়সা পেতে দেরি হয়। অনেক সময় সংসার খরচ থেকে বাঁচিয়ে কেন্দ্রের খরচ সামাল দিতে হয়। ঠিক মতো খাবার দিতে না পারলে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। তা ছাড়া, ৯০টি কেন্দ্রে সহায়িকা নেই। দাবি না মিটলে জেলা প্রশাসনের দ্বারস্থ হব।” সিডিপিও বিপ্লব সেন বলেন, “দাবি অনেকাংশেই সঙ্গত। যে সব কেন্দ্রের নিজস্ব ভবন, রান্নাঘর, শৌচাগার নেই তার একটা তালিকা তৈরি করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। যে সব কেন্দ্রে সহায়িকা নেই তার একটা তালিকা জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠানো হয়েছে।” সিডিপিও বলেন, “জেলা প্রশাসন সমস্যা সম্পর্কে অবগত আছে। তিন মাস অন্তর বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দাম বাড়ানো কমানো হয়। জানুয়ারিতে নতুন করে জিনিসপত্রের মূল্য ঠিক করা হবে” |