ধানের দাম নিয়ে চাপানউতোরে ক্রমশ তেতে উঠছে রাজ্য রাজনীতি।
বর্ধমানে ফের ন্যায্য মূল্যে ধান বিক্রি করতে না পেরে এক চাষির আত্মহত্যার অভিযোগ ওঠায় মাঠে নেমেছে সিপিএম। রবিবার মেমারির রাজপুর গ্রামে ধানচাষি অমিয় সাহার মৃতদেহ মেলে। সোমবার তাঁর বাড়িতে যান সিপিএমের দুই সাংসদ সাইদুল হক ও অনুপ সাহা এবং মন্তেশ্বরের বিধায়ক সৈয়দ মহম্মদ হেদায়তুল্লাহ।
অনুপবাবুর মৃত্যুর পরেই বর্ধমান জেলাশাসক ওঙ্কার সিংহ মিনা জানান, কিডনির চিকিৎসা করাতে গিয়ে সর্বস্বান্ত হয়েই তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। তার জেরেই আত্মহত্যা। যদিও মৃতের ভাই জানান, তাঁর দাদা হৃদরোগে ভুগছিলেন। সাইদুল বলেন, “ওঁর কিডনির অসুখ ছিল না। বুকে ব্যথা হত। চিকিৎসাও করাচ্ছিলেন। ওঁদের বাড়িতে গিয়ে দেখেছি, উঠোনে ধানের মরাই। ধান বিক্রি না হওয়া এবং হিমঘরে রাখা আলুর দাম পড়ে যাওয়াতেই তিনি হতাশায় ভুগছিলেন। তারই জেরে আত্মঘাতী হয়েছেন।”
রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের অবশ্য দাবি করেন, “ওই চাষির রোগের জন্য প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা খরচ করা হয়েছিল। তাই টাকার অভাবে উনি আত্মঘাতী হয়েছেন, এই তথ্য সঠিক নয় বলে জেলা প্রশাসন আমাকে জানিয়েছে।” সিপিএমের পাল্টা দাবি, ফসলের দর না পেয়ে গত তিন মাসে এই নিয়ে জেলায় সাত জন চাষি আত্মঘাতী হয়েছেন। সাইদুল বলেন, “আমরা চাই, আত্মঘাতী চাষিদের পরিবারকে সরকার ক্ষতিপূরণ দিক।”
এ দিন বর্ধমানে এসে তৃণমূল নেতা মুকুল রায় বলেন, “চাষিদের আত্মহত্যা সম্পর্কে আমরা উদাসীন নই। রাজ্য সরকার এই নিয়ে উদ্বেগে রয়েছে। রাজ্যে উৎপন্ন সমস্ত ধান কেনা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তবু আমরা চেষ্টা করছি যাতে যতটা সম্ভব ধান কিনে নেওয়া যায়। চাষিদের স্বার্থের কথা মাথায় রেখেই হিমঘরে আলু মজুত রাখার সময়সীমাও বারবার বাড়ানো হচ্ছে।” |