সরকারি প্রকল্পের চাল বিলিকে কেন্দ্র করে গণ্ডগোল বাধল কংগ্রেস ও তৃণমূলের মধ্যে। সোমবার রানিগঞ্জের রতিবাটি পঞ্চায়েত অফিসে এই ঘটনা ঘটে। দু’পক্ষই নিমচা ফাঁড়িতে এ ব্যাপারে অভিযোগ দায়ের করেছে।
কংগ্রেসের রানিগঞ্জ ব্লক সম্পাদক পারভিন যাদবের অভিযোগ, “সিপিএম এবং তৃণমূল তালিকা তৈরি করে নিজেদের সমর্থকদের মধ্যে ৫০ কুইন্টাল চাল বিলি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু সে ক্ষেত্রে অনেক প্রকৃত উপভোক্তারা বঞ্চিত হচ্ছিলেন। এর সমাধান চেয়ে বিডিও এবং মহকুমাশাসককে ১৯ নভেম্বর চিঠি দেওয়া হয়।” তিনি জানান, তার ভিত্তিতেই সোমবার সবর্দলীয় বৈঠক করে সমস্যা সমাধানের কথা ছিল।
সেই মতো এ দিন পঞ্চায়েত অফিসে উপস্থিত হয়েছিলেন সিপিএম প্রধান সীতা বাদ্যকর, তৃণমূলের বাবু রায় ও কংগ্রেসের পারভিন যাদব। আলোচনা শুরু হতে না হতেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী বিনোদ নুনিয়া পারভিনবাবুর উপরে চড়াও হয় বলে অভিযোগ। পারভিনবাবুর দাবি, “বিনোদ আমাকে হুমকি দিয়ে বলেছে, রাজ্যে সরকারে তৃণমূল সংখ্যাগরিষ্ঠ। কাজেই তারা যা বলবে তা শুনতে হবে।”
বিনোদবাবুর পাল্টা দাবি, “এ দিন প্রধানের নির্দেশ মতোই ২ ও ৩ নম্বর সংসদে চাল বিলির কথা ছিল। নির্দিষ্ট সময়ে তা শুরু না হওয়ায় ওই সংসদের উপভোক্তারা পঞ্চায়েতে গিয়ে কারণ জানতে চান। পঞ্চায়েত প্রধান জানিয়ে দেন, পারভিনের আপত্তিতেই এ দিন চাল বিলি বন্ধ রয়েছে। এর পরে বৈঠকে যোগ দিতে পঞ্চায়েতে ঢোকার সময়ে তাঁর উপরে চড়াও হন উপভোক্তারাই।” তাঁর আরও অভিযোগ, “এই ঘটনার পরে পারভিনই আমাকে হুমকি দিয়েছেন। এই মর্মেই ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের করেছি।”
পুলিশ জানিয়েছে, দু’পক্ষই অভিযোগ দায়ের করেছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। বিডিও সুবোধ ঘোষ জানান, চাল বিলি নিয়ে সমস্যা হয়েছিল। তিনি সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকেই বিষয়টি মিটিয়ে নিতে বলেছিলেন। সোমবার একটি গণ্ডগোল হয়েছে। তবে আপাতত পরিস্থিতি স্বাভাবিক। বিষয়টি দ্রুত মিটে যাবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। |