প্ল্যাটফর্মে অগ্নিবিধি থাকবে না? |
আগুন লাগলে ভরসা কলের জল’ (১৫-১২) শীর্ষক খবরে সরকারি প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিগত মালিকানা ভুক্ত ভাড়া বাড়ি-লজ সব ক্ষেত্রেই কর্তৃপক্ষের দায়িত্বজ্ঞানহীনতার কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ঔদাসীন্যই যে কোনও সময়ে অঘটন ঘটিয়ে দিতে পারে। দ্রুত যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে চরম বিপদ আসতে পারে। কিন্তু আমরি-র ঘটনার পরেও জনবহুল এলাকায় আগুন আটকাতে যে ধরনের প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত, তা অনেক ক্ষেত্রেই চোখে পড়ছে না।
যেমন, কৃষ্ণনগর সিটি জংশন স্টেশন। প্রতি দিন চার লক্ষেরও বেশি মানুষ যাতায়াত করেন। অথচ তাঁদের নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার অবকাশ নেই রেল কর্তৃপক্ষের। প্ল্যাটফর্ম চত্বরের দোকানগুলি অগ্নি-ব্যবহার বিধির তোয়াক্কা করে না। আঁচের উনুন বা গ্যাসের কম দামি উনুনে তৈরি হচ্ছে চা, ডালপুরি, চপ। সকালে আঁচের বিষ-ধোঁয়ায় প্ল্যাটফর্মের যাত্রীদের চোখ জ্বালা করে। দম আটকানো পরিবেশ, এমনকী ট্রেনের সিগনাল দেখাও মাঝে মাঝে অসম্ভব হয়ে যায়। প্ল্যাটফর্ম চত্বর কুয়াশাচ্ছন্ন মনে হয়। যে কোনও সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। প্রতিটি স্থায়ী স্টলের কাঠের পরিকাঠামোর মধ্যেই রয়েছে বোতল বোতল কেরোসিন ও অন্যান্য দাহ্য পদার্থ। এতে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা বেড়ে যাচ্ছে। রাজ্যের ‘মৃত্যু নিকেতন’-এর পরও যদি রেল কর্তৃপক্ষের হুঁশ না ফেরে, তা হলে আর কবে ফিরবে?
তন্ময় ঘোষ। কৃষ্ণনগর, নদিয়া
|
নদিয়া জেলার অন্যতম সরকারি হাসপাতালটি হল শক্তিনগর জেলা হাসপাতাল। এই হাসপাতালের পরিকাঠামো এখনও যথেষ্ট অনুন্নত। মহিলা ওয়ার্ডের নার্সদের ব্যবহার ভাল নয়। রোগীর বাড়ির লোকদের সঙ্গে তাঁরা ঠিকমত কথাটুকুও বলেন না। আয়াদের অবস্থাও তথৈবচ। গল্পগুজবেই ব্যস্ত থাকেন তাঁরা। রোগীদের প্রতি ন্যূনতম যত্নটুকু নেন না। এমনই অবস্থা যে রোগীদের ক্যাথিটার পরানোর কাজটিও এখানে আয়াদের দিয়ে করানো হয়। স্যালাইনের বোতল শেষ হয়ে গেলেও কেউ ভ্রূক্ষেপ করেন না। ফলে এখানে রোগী সুস্থ হওয়ার বদলে আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। ডাক্তারদের হয়তো সারা দিনে এক বার বা দু’বার দেখা মেলে। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ, অবিলম্বে এই হাসপাতালের দিকে নজর দিন ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন।
নীলাংশু ধর। বাদকুল্লা, নদিয়া
|
নদিয়া জেলার করিমপুর (তেহট্ট মহকুমা) ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন একটি গ্রাম। বেশিরভাগ মানুষ এখানে কৃষিজীবী এবং দারিদ্র সীমার নিচে। এখানে চিকিৎসার জন্য রয়েছে একটি গ্রামীণ চিকিৎসাকেন্দ্র, যেটি করিমপুর গ্রামীণ হাসপাতাল নামে পরিচিত। এখানে না আছে কোনও উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা না আছে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ (বেশির ভাগ জায়গা আগাছা ও কচুবনে পূর্ণ)। ন্যূনতম চিকিৎসাটুকু ছাড়া কিছুই জোটে না। যে কোনও বড় চিকিৎসার জন্য ছুটতে হয় বহরমপুর না হয় কৃষ্ণনগরে (৮০ কিলোমিটার দূরে)।
মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ, তিনি যেন নিম্নলিখিত বিষয়গুলি একটু ভেবে দেখেন।
১) করিমপুর গ্রামীণ হাসপাতালকে স্টেট জেনারেল হাসপাতালে পরিণত করা, ২) অন্ততপক্ষে একজন করে শিশুরোগ, হৃদরোগ ও স্ত্রীরোগবিশেষজ্ঞ নিয়োগ করা, ৩) অপারেশন থিয়েটার চালু করা, ৪) প্যাথলজি ও এক্স-রে বিভাগকে উন্নত করা, ৫) হাসপাতালে সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনা। এটুকু পেলে বহু গ্রামবাসী উপকৃত হবেন।
মিঠুন মুখোপাধ্যায়। করিমপুর, নদিয়া
|
নদিয়া জেলার কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকের মাজদিয়া একটি প্রাচীন জনপদ। মাজদিয়া স্টেশনের ওপর দিয়েই চলে গিয়েছে কর্কটক্রান্তি রেখা। তাই এই অঞ্চলের নাম ‘মাজদিয়া’ বলে অনেকে মনে করেন। স্থানটি সাহিত্যিক বিমল মিত্রের স্মৃতি বিজড়িত। নদিয়ার মিষ্টান্ন শিল্পের জগতে এই অঞ্চলের খেজুর গুড়ের চাহিদা সর্বাধিক। কিন্তু এই মাজদিয়ার বুকে প্রতি দিনই ঘটে যাচ্ছে দুর্ঘটনা। স্কুল ও অফিসের সময়ে ভজনঘাট মোড় (তিন রাস্তার সংযোগস্থল), স্কুল রোড, কলেজ রোড, কৃষ্ণনগর রোডে রোজই কিছু না কিছু দুর্ঘটনা ঘটছে। এই রাস্তাগুলোতে অবিলম্বে ট্রাফিক পুলিশ বসানো অত্যন্ত প্রয়োজন।
নানক নাথ। মাজদিয়া, নদিয়া
|
এই বিভাগে চিঠি পাঠান সম্পূর্ণ নাম ও ঠিকানা উল্লেখ করে।
আমাদের চিঠি, সম্পাদকীয় বিভাগ,
আনন্দবাজার পত্রিকা প্রাঃ লিঃ,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০০০১ |
|