টুকরো খবর
কর্তাদের চ্যালেঞ্জ গাওয়ের
ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের উদ্দেশে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে অ্যালান গাও রবিবার বলে দিলেন, “আমি নিজে সরতে না চাইলে কেউ আমাকে তাড়াতে পারবে না।” লাল-হলুদ কর্তারা ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন গাওকে আর কোনওমতেই টিমের সঙ্গে রাখা হবে না। গাও এবং তাঁর এজেন্টের সঙ্গে কথাবার্তাও শুরু করেছেন কর্তারা। কিন্তু সে সবকে গুরুত্ব দিতেই নারাজ স্কটিশ ফুটবলারটি। এবং তাঁর পিছনে যে এখনও কোচ ট্রেভর মর্গ্যানের সমর্থন অটুট সেটাও পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে এ দিন। পেন-ওপারা-সঞ্জুরা যখন এয়ার ইন্ডিয়া ম্যাচ জিততে প্রস্তুতি নিচ্ছেন তখন যুবভারতীতে মিনিট পনেরো দৌড়োদৌড়ি করেই ড্রেসিংরুমে ফিরে গিয়েছেন গাও। মর্গ্যান এ দিনও বলে দিয়েছেন, “কোনও কর্তার সঙ্গে গাওকে নিয়ে আমার কোনও কথা হয়নি। দিন দশেকের মধ্যেই আশা করছি মাঠে ফিরবে গাও।” কোচ বলে যাওয়ার পর যুবভারতীর বাইরে দাঁড়িয়ে গাও নিজে অবশ্য আরও আক্রমণাত্মক। “আমাকে ছেঁটে ফেলা হচ্ছে কি না কেন জানতে চাইছেন। বরং জানতে চান কবে আমি মাঠে ফিরব।” ক্লাব তাঁকে আর রাখতে চাইছে না শুনে গাও-এর তির্যক মন্তব্য, “আমার সঙ্গে পেশাদার চুক্তি আছে ক্লাবের। আমাকে ছাড়লেই তো হল না। আমি রাজি কি না সেটা তো দেখতে হবে।” গাওয়ের কথা থেকে পরিষ্কার, তাঁকে তাড়াতে গেলে মরসুমের শেষ দিন পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে ক্লাবের যে আর্থিক চুক্তি তা রক্ষা করতে হবে। অর্থাৎ মোটামুটি কর্তাদের যা হিসাব তাতে প্রায় পঁয়তাল্লিশ লাখ টাকার মতো দিতে হবে তাঁকে। গাওয়ের ব্যাপারে যিনি কথা বলছেন সেই ফুটবল সচিব সন্তোষ ভট্টাচার্যকে ফোনে পাওয়া যায়নি। তবে যা পরিস্থিতি তাতে ইস্টবেঙ্গল খুব সহজে গাওকে ঘাড় থেকে নামাতে পারবে বলে মনে হচ্ছে না।

নববর্ষে বিশ্রাম নেই নবিদের
নতুন বছরের প্রথম দিন। ভোর সাড়ে চারটেয় পৌঁছতে হয়েছিল কলকাতা বিমানবন্দরে। পুণের হোটেলে দলবল নিয়ে যখন সুব্রত ভট্টাচার্য ঢুকলেন তখন ঘড়ির কাঁটা ১২টা ছুঁয়েছে। তা সত্ত্বেও অনুশীলনে ছুটি দিলেন না মোহন-টিডি। ওডাফা-নবিরা রবিবার বিকেল পাঁচটাতেই বেরিয়ে পড়লেন প্র্যাক্টিস করতে। এমনিতে পুণের দিকে নজর এখন গোটা ভারতের মিডিয়ার। ব্রঙ্কাইটিস-সহ নানা সমস্যা নিয়ে বছরের প্রথম দিনেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন অণ্ণা হজারে। সে সব নিয়ে ভাবার সময় নেই সুব্রতর। তাঁর টিমে চোট-আঘাত সমস্যা এতটাই প্রবল যে প্রথম এগারো নামানো লোকপাল বিল পাশ করানোর থেকেও যেন জটিল। তবু সবুজ-মেরুন শিবির মঙ্গলবার পুণে এফসি ম্যাচ থেকে তিন পয়েন্ট তুলতে মরিয়া। মোহনবাগান এ দিন অনুশীলন করেছে পুণে এফসি-র নিজস্ব প্র্যাক্টিস মাঠে। কারণ, যেখানে ম্যাচ হওয়ার কথা সেই ছত্রপতি স্টেডিয়ামে একই সময়ে অনুশীলন সারল পুণে এফসি। তাদের দলে আবার চোট-আঘাত বড় সমস্যা নয়। ডেরিক পেরেরা বরং চিন্তায় থাকবেন তাঁর দলের ধারাবাহিকতার অভাব নিয়ে। যে দল চার্চিল, সালগাওকরকে গোয়ায় গিয়ে হারিয়েছে তারাই আবার আটকে গিয়েছে পৈলান অ্যারোজ, মুম্বই এফসি-র কাছে। প্রয়াগের কাছে খেয়েছিল পাঁচ গোল। তবে এই মুহূর্তে জেজে-কেইতারা আছেন পাঁচ নম্বরে। বছরের শুরুটা ভাল করার তাগিদ কিছু কম নেই তাঁদেরও। কেইতা, জেজে, আরাতা, অভ্র মণ্ডলদের বিরুদ্ধে লড়াই তাই মোটেই কেকের উপর ছুরি চালানোর মতো সহজ হচ্ছে না।

অ্যাথলেটিকে সাফল্য পেল পুরুলিয়া
ছবি: সুজিত মাহাতো।
৫৭তম রাজ্য স্কুল অ্যাথলেটিক্স মিটে ভাল ফল করেছে পুরুলিয়া। গত ২২-২৬ ডিসেম্বর জলপাইগুড়িতে অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতায় ৩টি সোনা, ৫টি রূপো, ২টি ব্রোঞ্জ জিতেছে জেলার ছেলেমেয়েরা। জেলা স্কুল স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা গিয়েছে, অনূর্ধ্ব ১৪ বালিকা বিভাগে বেলগুমা বিবেকানন্দ বিদ্যাপীঠের সোমা কর্মকার ও পুরুলিয়া রাষ্ট্রীয় বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের লিপিকা মাহাতো লংজাম্প ও ২০০ মিটারে এবং অনূর্ধ্ব ১২ বালক বিভাগে বলরামপুরের ফুলচাঁদ উচ্চ বিদ্যালয়ের ফিলিমন টুডু লংজাম্পে সোনা জিতেছে। অন্য দিকে, অনূর্ধ্ব ১৪ বালিকা বিভাগে ৬০০ মিটার দৌড়ে সোমা কর্মকার, ১০০ মিটারে লিপিকা মাহাতো, বলরামপুর লালিমতি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের টুম্পা বাউরি ও অনূর্ধ্ব ১২ বালক বিভাগে ফিলিমন টুডু ১০০ ও ২০০ মিটারে রূপো জিতেছে। আর ১৪ বালক বিভাগে পুরুলিয়া চিত্তরঞ্জন উচ্চ বিদ্যালয়ের সইফুল আনসারি ১০০ ও ২০০ মিটারে ব্রোঞ্জ পেয়েছে। জেলা স্কুল স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক সুবীর চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, প্রতিযোগীদের সম্বর্ধিত করা হবে। পাশাপাশি তারা যাতে আরও ভাল খেলে এবং অনুশীলন করতে পারে সে ব্যবস্থা করা হবে।

অনূর্ধ্ব ১৮ রাজ্য কবাডি মথুরাপুরে
ছবি: দিলীপ নস্কর।
অনূর্ধ্ব ১৮ বছরের ছেলেমেয়েদের রাজ্য কবাডি প্রতিযোগিতার ফাইনাল শনিবার অনুষ্ঠিত হল মথুরাপুর আর্থবিদ্যাপীঠ হাইস্কুল মাঠে। কেন্দ্রীয় সরকারের পঞ্চায়েত যুব অউর খেল অভিযান-এর সহযোগিতারয় এবং মথুরাপুর দক্ষিণী ক্রীড়া সংস্থার পরিচালনায় বৃহস্পতিবার থেকে দিন-রাতের এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছিল। বালক বিভাগের ফাইনালে মুখোমুখি হয় দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও হুগলি জেলা। ৪ পয়েন্ট বেশি পেয়ে জয়ী হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা। বালিকাদের ফাইনালে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় মুর্শিদাবাদ ও হুগলি জেলার মধ্যে। ২ পয়েন্ট বেশি পেয়ে জয়ী হয় হুগলি। তৃতীয় স্থানের জন্য বালক বিভাগে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় মুর্শিদাবাদ ও উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যে। ৫ পয়েন্ট বেশি পেয়ে জয়ী হয়ে তৃতীয় স্থান লাভ করে মুর্শিদাবাদ জেলা। বালিকাদের বিভাগে দার্জিলিঙের সঙ্গে খেলা হয় দক্ষিণ ২৪ পরগনার। ২৯ পয়েন্ট বেশি পেয়ে জয়ী হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা। মথুরাপুর দক্ষিণী ক্রীড়া সংস্থার সদস্য এবং রাজ্য কবাডি কোচ স্বরূপ ঘোষ জানান, খেলা দেখতে প্রচুর দর্শকের সমাগম হয়েছিল।

অবসাদ কাটাতে মদ্যপান করতাম, বললেন ফ্লিনটফ
অস্ট্রেলিয়ায় ২০০৬-’০৭ অ্যাসেজ হোয়াইটওয়াশের সময় মানসিক অবসাদে ভুগতেন বলে স্বীকার করেছেন অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ। প্রাক্তন ইংরেজ অলরাউন্ডারের আরও চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি, ২০০৭ বিশ্বকাপ চলাকালীন মাত্রাতিরিক্ত মদ্যপান করতেন তিনি। “২০০৬-এর ক্রিসমাসে বাবার সঙ্গে একটু মদ্যপান করছিলাম। বাড়ি ফেরার সময় প্রচণ্ড কাঁদতে শুরু করি। বাবাকে বললাম আমি সব চেষ্টা করেও আর খেলতে পারছি না। অনেকক্ষণ আলোচনার পর নিজেকে আবার তৈরি করে খেলতে নেমেছিলাম ঠিকই, কিন্তু তার পর আমি আর আগের মতো ক্রিকেটার ছিলাম না।”

গড়বেতায় দৌড় প্রতিযোগিতা
গড়বেতায় দৌড় প্রতিযোগিতা হল রবিবার। প্রতি বছর ১ জানুয়ারি গড়বেতা যুব গোষ্ঠীর উদ্যোগে ৮ মাইল দৌড় প্রতিযোগিতা হয়। তাতে পশ্চিম মেদিনীপুর ও অন্য জেলার পাশাপাশি ঝাড়খণ্ড, বিহার থেকে শ’তিনেক প্রতিযোগী যোগ দিয়েছিলেন। প্রথম হয়েছেন মেদিনীপুর তরুন সঙ্ঘ ব্যায়ামাগের হাফিজুর মণ্ডল। ১৫ জনকে পুরস্কৃত করা হয়। এ ছাড়া মহিলাদের মধ্যে প্রথম ৫ জনকে ও স্থানীয় ১০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়। সেই সঙ্গে এক প্রতিবন্ধী ও এক বয়স্ক প্রতিযোগীকে বিশেষ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।

শারীরশিক্ষা শিবির
আট দিনের মনিমেলা মহাকেন্দ্রের ৭১ তম সারা ভারত শারীরশিক্ষা শিবির হয়ে গেল কল্যাণীর দেবীভবনে। শনিবার ওই শিবিরের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে এসেছিলেন গয়েশপুরের পুরপ্রধান গোপাল চক্রবর্তী, ক্রীড়া সচিব অমিত ঘোষ।

পরলোকে অমিয়
মারা গেলেন প্রাক্তন জাতীয় ফুটবলার অমিয় বন্দ্যোপাধ্যায়। বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। চুনী গোস্বামীর এক সময়ের সতীর্থ অমিয় মোহনবাগানে সেন্টার ফরোয়ার্ড খেলতেন। ইস্টবেঙ্গল-মহমেডানেও এক মরসুম খেলেছেন তিনি।

অন্য খেলায়
আন্তঃ জেলা সাব-জুনিয়র ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনালে উত্তর ২৪ পরগণা ৩-০ হারাল মালদহকে।




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.