জয়পুর রেঞ্জ ছেড়ে বাঁকাদহ রেঞ্জ পেরিয়ে শনিবার রাতে প্রায় ১০০ হাতির পাল ঢুকে পড়ল বিষ্ণুপুর রেঞ্জের বাসুদেবপুর জঙ্গলে। আসার পথে ওই হাতির পাল জঙ্গল লাগোয়া পচাডহরা, বেনাবাঁধি, হাতগাড়া, বামুনবাঁধ, খড়কাটা ইত্যাদি গ্রামের কয়েকশো বিঘা আলুচাষের জমি নষ্ট করে দিয়েছে। স্বভাবতই এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ আলুচাষিরা। তাই রবিবার সকালে ক্ষতিপূরণের দাবিতে বাঁকাদহ রেঞ্জ অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তাঁরা। অন্য দিকে, গত ১৫দিন ধরেই বাঁকাদহ রেঞ্জ সংলগ্ন কলাবাগান, রাজপুর, চিতরং গ্রামে হামলা চালিয়েছে ৫০টি হাতির দল। ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। তাঁরাও এদিন রেঞ্জ অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখান। |
মায়ের পাশে পাশে। বিষ্ণুপুরের বাসুদেবপুর এলাকায় দলমার দল। রবিবার শুভ্র মিত্রের তোলা ছবি। |
পচাডহরা গ্রামের আলুচাষি তপু ঘোষ, বিশ্বনাথ মাঝি বেনাবাঁধি গ্রামের সুজিত কোলে, অনিল কোলের কথায়, “হাতির দল আমাদের সর্বস্বান্ত করে দিয়েছে। বন দফতর দ্রুত ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করুক।” ওই রেঞ্জের আধিকারিক বলাই ঘোষ বলেন, “আশা করছি বড় দলটি এদিন সন্ধ্যায় বিষ্ণুপুর থেকে সোনামুখীর দিকে রওনা দেবে। ” ছোট দলটি এই মুহূর্তে বাঁকুড়া-পশ্চিম মেদিনীপুর সীমান্ত লাগোয়া কলাবাগানে আছে বলেই জানান তিনি। ডিএফও (বিষ্ণুপুর) বিদ্যুৎ সরকার জানিয়েছেন, দুর্ঘটনা এড়াতে গ্রামগুলিতে হাতির সামনে না যাওয়ার বক্তব্য মাইকে প্রচার করছেন তাঁরা।
|
সামাজিক বনসৃজন প্রকল্পের গাছ চুরির অভিযোগে পটাশপুরের সালুয়া গ্রামের দুই বাসিন্দাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃত পুলকেশ সাঁতরা ও তাঁর প্রতিবেশী ঝাড়েশ্বর সাঁতরার পুকুর থেকে ৩১টি ইউক্যালিপটাস ও আকাশমণি গাছ উদ্ধার হয়েছে। শনিবার পটাশপুর থানায় গাছ চুরির অভিযোগ দায়ের করেন পটাশপুর ২ ব্লকের মথুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুশীলরঞ্জন পাহাড়ি। তিনি জানান, বাল্যগোবিন্দপুর খালের শালডোঙা বাঁধে ওই গাছগুলি লাগিয়েছিল সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত। গত কয়েকদিন ধরেই রাতের অন্ধকারে গাছ কেটে পাচার হচ্ছিল। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করে ও ওই দুই গ্রামবাসীকে ধরে। |