|
|
|
|
সম্পাদক সমীপেষু... |
উদ্যানবাটী, বরানগর মঠ ‘হেরিটেজ’ হোক |
যুগাবতার শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণদেবের স্মৃতি-বিজড়িত উত্তর কলকাতার কাশীপুর উদ্যানবাটী সংলগ্ন ‘কাশীপুর রোড’ ভগবান শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণদেবের নামে নামকরণ করা হোক। শ্রীশ্রীঠাকুরের ১৭৫তম আবির্ভাব উপলক্ষে উল্লিখিত রাস্তাটি শ্রীশ্রীঠাকুরের নামে করা হলে সমগ্র শহরবাসীর পক্ষ থেকে তাঁকে স্মরণের ও শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের উদ্যোগটি পূর্ণতা লাভ করবে।
দক্ষিণেশ্বর থেকে কাশীপুর, কাশীপুর উদ্যানবাটী ও বরানগর অঞ্চলটি ছিল শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণদেব-সহ বহু সাধক ও মনীষীর নিয়মিত বিচরণের পথ। দক্ষিণেশ্বরে কঠোর সাধনা শেষে মৃন্ময়ী মূর্তিকে চিন্ময়ী রূপে দর্শন, তার পরে কাশীপুর উদ্যানবাটীতে শ্রীশ্রীঠাকুরের কল্পতরু রূপে সমগ্র জগৎবাসীকে ‘তোমাদের চৈতন্য হোক’ বলে আশীর্বাদ দানএক ঐতিহাসিক আধ্যাত্মিকতায় পরিপূর্ণ স্মরণীয় ঘটনা, যা ভক্ত হৃদয়ে আজও প্রবহমান। এই কাশীপুর উদ্যানবাটীতেই রামকৃষ্ণ সঙ্ঘ প্রতিষ্ঠায় উদ্যোগী হয়েছিলেন নরেন্দ্রনাথ। যাঁকে শ্রীশ্রীঠাকুর জগতের তাপিত-পীড়িত মানুষের কল্যাণার্থে, সাধু গৃহী সকলের আশ্রয়স্বরূপ ভাবী রামকৃষ্ণ সঙ্ঘের দায়িত্বভার অর্পণ করেছিলেন।
‘বরানগর মঠ’ (পূর্বনাম মুন্সির মাঠ, বর্তমানে প্রামাণিক ঘাট রোডে অবস্থিত) যেখানে শ্রীশ্রীঠাকুরের দেহাবসানের পর তাঁর ত্যাগী সন্তানগণ অকল্পনীয় ও অবর্ণনীয় কষ্টের মধ্যে দিনযাপন করেছেন। কঠোর তপস্যা করেছেন শ্রীশ্রীঠাকুরের ভাবধারায় নিজেদের তৈরি করতে ও সনাতন হিন্দু ধর্মকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দিয়ে ভারতকে শ্রেষ্ঠত্বের আসনে বসাতে। বেলুড় মঠ প্রতিষ্ঠার পূর্বে এই বরানগর মঠকেই রামকৃষ্ণ সঙ্ঘের প্রথম প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃত মঠ রূপে অভিহিত করা হয়ে থাকে। |
|
এই বরানগর মঠের অনতিদূরেই মহাশ্মশান (বর্তমানে ‘শ্রীরামকৃষ্ণ মহাশ্মশান’ নামে প্রসিদ্ধ) যেখানে শ্রীশ্রীঠাকুরের মনুষ্যরূপধারী শরীরের দাহকার্য সম্পন্ন হয়েছিল এবং এই স্থানটিও ভক্তদের কাছে পরম পবিত্র স্থানরূপে পরিগণিত। পরস্পর আধ্যাত্মিক সম্পর্কযুক্ত কাশীপুর উদ্যানবাটী, বরানগর মঠ কেবল মাত্র উত্তর কলকাতার অধিবাসীদের নয় জগতের সকল ভক্তের কাছেই শান্তিলাভের পরম পবিত্র স্থল ও তীর্থস্বরূপ। এই দুটি স্থান হেরিটেজ হিসেবে ঘোষিত হলে ভক্তদের ও পর্যটনপ্রিয় মানুষের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে সন্দেহ নেই। |
শ্যামল ভট্টাচার্য। সম্পাদক, বরানগর রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম প্রাক্তন ছাত্র সংসদ চ্যারিটেবল ট্রাস্ট
|
ক্রেতারই উপকারে |
কলকাতায় ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা বেসরকারি হাসপাতাল, নার্সিংহোম, রোগ পরীক্ষাকেন্দ্রে সব কিছু নিয়মমাফিক (ক্লিনিকাল এস্টাব্লিশমেন্ট অ্যাক্ট অনুযায়ী) চলছে কি না, তা দেখার জন্য নিয়মিত নজরদারি চালানোর মতো পরিকাঠামো বা ইনফ্রাস্ট্রাকচার কোনওটাই স্বাস্থ্য দফতরের নেই। জেলাগুলির অবস্থা আরও দুর্বিষহ। আশু সমাধানের জন্য হাজারো দায়িত্বভারে ন্যুব্জ স্বাস্থ্য দফতর থেকে এই দায়িত্ব তুলে নিয়ে অর্পণ করা উচিত ‘ক্রেতা সুরক্ষা’ দফতরের হাতে। ঠিক যেমনটি উচিত কারচুপিপূর্ণ মিটার ট্যাক্সিকে পরিবহণ দফতর থেকে তুলে নিয়ে ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের হাতে অর্পণ করা। প্রোমোটারের বেআইনি লুকোনো পরিমাপের হাত থেকে রেহাই পেতে ক্রেতা সুরক্ষা দফতরে আরও ক্ষমতাশালী পরিকাঠামো গড়ে তোলা উচিত। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। |
অলোক দত্ত। সল্টলেক
|
হাওড়ার দুর্ভোগ |
গঙ্গার পূর্ব পাড়ের শহরকে যখন লন্ডন বানাবার পরিকল্পনা করা হচ্ছে, তখন পশ্চিম পাড়ের হাওড়ার প্রতি এত অবহেলা কেন? আজ পর্যন্ত হাওড়া শহর থেকে কোনও সরকারি পরিবহণ আমতা, আন্দুল, বাগনান, বোটানিক্যাল গার্ডেন প্রভৃতি অঞ্চলে চালু হয়নি। ফলে ও-সব অঞ্চল থেকে জেলা সদর শহরের কাজকর্ম সারতে অথবা চিকিৎসা করাতে সকলকে বেসরকারি গাড়ির খেয়ালখুশির উপর নির্ভর করতে হয়। দ্বিতীয় হুগলি সেতু চালু হওয়ার পর ট্রাম কোম্পানি-সহ সরকারি কিছু গাড়ি সি-টেন/জি এস-সিক্স/এম এস-থার্টি ফাইভ ইত্যাদি গাড়িগুলি কলকাতা থেকে চালু হয় মূলত কলকাতার বিভিন্ন হাসপাতাল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করার উদ্দেশ্যে। গত বামফ্রন্ট আমলে কোনও অজানা কারণে এই গাড়িগুলি বন্ধ হয়ে যায়। সম্প্রতি বোটানিক্যাল গার্ডেন থেকে সি-সিক্স এবং দানেশ শেখ লেন থেকে সি-ওয়ান গাড়ি দুটিও মাসখানেক যাবৎ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ফলে, এই অঞ্চল থেকে আমার মতো কলকাতার স্কুল-কলেজে পড়া ছাত্রছাত্রীদের যাতায়াত করা দুরূহ হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া, এই অঞ্চলের বিভিন্ন গভর্নমেন্ট কমপ্লেক্সের বিপুল সংখ্যক সরকারি কর্মচারীও দুর্ভোগের শিকার। দ্বিতীয় হুগলি সেতুর উপর বিপজ্জনক ভাবে দরজা খুলে রেখে যাত্রী-ভারে একপাশে হেলে পড়ে বেসরকারি গাড়িগুলি যে ভাবে চলাচল করছে এবং তাতে পঞ্চাশোর্ধ্ব মহিলারা পর্যন্ত যে ভাবে ঝুলে যাতায়াত করছেন, তার পরিণতি দেখার জন্য চিত্র-সাংবাদিকরা ক্যামেরা নিয়ে প্রস্তুত থাকতে পারেন। দুর্ভাগ্যজনক হলেও বলতে বাধ্য হচ্ছি, আমরি-র মতো কাণ্ড ঘটার আগে সরকারি বা বেসরকারি স্তরে কারও টনক নড়ে না। |
রিজিয়া বেগম। ছাত্রী: রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, হাওড়া-৯ |
|
|
|
|
|