টুকরো খবর |
অন্ধ্রপ্রদেশে বিষমদের বলি ১৪
সংবাদসংস্থা • বিজয়ওয়াড়া |
পশ্চিমবঙ্গের পর এ বার বিষাক্ত মদের কবলে অন্ধ্রপ্রদেশ। কৃষ্ণা জেলায় কানিমার্লা গ্রামের কাছে বসবাসকারী আদিবাসী গোষ্ঠীর ১৪ জন বিষমদ খেয়ে মারা গিয়েছেন। কাল রাতে ওই আদিবাসী গোষ্ঠীর লোকজন মদ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রায় ৫০ জনকে নিকটবর্তী হাসপাতালগুলিতে ভর্তি করা হয়। রাতেই মারা যান ৭ জন। তাঁদের মধ্যে ৫ জনের মৃত্যু হয় হাসপাতালে নেওয়ার পথেই। আজ মৃত্যু হয় আরও ৭ জনের। তাঁদের মধ্যে তিন জন মহিলা। আশঙ্কা, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী এন কিরণকুমার রেড্ডি জেলাশাসককে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। ওই এলাকার এক সাব-ইন্সপেক্টর এবং আবগারি দফতরের এক ইন্সপেক্টরকে সাসপেন্ডও করা হয়েছে। তবে দোষীদের শাস্তির দাবিতে এ দিনই শুরু হয়েছে বিক্ষোভ, ধর্না ও রাজনৈতিক চাপানউতোর। স্থানীয় বিধায়ক ডি উমামহেশ্বরের বাড়ির সামনে ধর্না চলায় আজ দিনভর কার্যত গৃহবন্দি ছিলেন তিনি। হাসপাতালগুলির সামনেও ধর্নায় বসেন সিপিএম মহিলা শাখার সদস্যরা। বিষমদ কাণ্ডের নিন্দা করে তেলুগু দেশম নেতা চন্দ্রবাবু নায়ডু বলেন, “এই ঘটনা প্রমাণ করছে রাজ্য সরকার জনগণ সম্পর্কে কতটা উদাসীন। ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পরেও মৃতদের স্বজন ও অসুস্থদের সঙ্গে দেখা করতে পর্যন্ত যাননি রাজ্য সরকারের কেউ। এমন সরকারের ক্ষমতায় থাকার নৈতিক অধিকার নেই।”
|
মণিপুরে মন্ত্রীর বাড়িতে গ্রেনেড
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
মণিপুরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জয়ন্তকুমার সিংহের বাড়িতে গ্রেনেড ছুড়ল জঙ্গিরা। কাল সন্ধ্যা নাগাদ পূর্ব ইম্ফলের পিসুমথং এলাকায় মন্ত্রীর বাড়িতে যখন এই গ্রেনেড ছোড়া হয় সেই সময় নির্বাচনী প্রচারে বাড়ির বাইরে ছিলেন তিনি। পুলিশ জানায়, বিস্ফোরণে জখম হন মন্ত্রীর বাড়ির পরিচারিকা মেমচা দেবী। এ ছাড়া বাড়ির সামনে রাখা তিনটি গাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মণিপুরে চলতি মাসের ২৮ তারিখ বিধানসভা নির্বাচন। বেশ কয়েকটি জঙ্গি সংগঠন ইতিমধ্যেই রাজ্যে ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের ধারণা, জনমনে আতঙ্ক ছড়াতেই এই গ্রেনেড আক্রমণ। তবে কোন জঙ্গি সংগঠন এই কাজ করেছে সে বিষয়ে এখনও ধন্দে পুলিশ। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জয়ন্তকুমার সিংহ নিজে পরে বলেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চলে জঙ্গিরা প্রায়শই নানা অজুহাতে টাকার দাবি জানায়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে কোনও জঙ্গি সংগঠনই তাঁর কাছে কোনও রকম টাকার দাবি করেনি।
|
ডিফু ক্যাম্পাসেওবাংলা চালুর দাবি
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলচর |
আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিফু ক্যাম্পাসে বাংলা বিভাগ চালুর দাবি উঠল। এক মাস ধরে অস্থায়ী বুথ গড়ে এ ব্যাপারে গণস্বাক্ষর অভিযান চালায় কার্বি আলং ও নগাঁও জেলার বিভিন্ন সংস্থা। সম্প্রতি তাদের এক প্রতিনিধি দল শিলচরে এসে উপাচার্য অধ্যাপক তপোধীর ভট্টাচার্যর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। গণস্বাক্ষর সংবলিত স্মারকপত্র পেশ করে ধরে অবিলম্বে ডিফু ক্যাম্পাসে বাংলা পড়ানোর ব্যবস্থা করতে আর্জি জানানো হয়। ২০০৭ সালে আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিফু ক্যাম্পাস চালু হয়েছে। ইংরেজি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, বাণিজ্য, জীবনবিজ্ঞান, পদার্থবিদ্যা ও ইতিহাস নিয়ে এর যাত্রা শুরু হয়। পরে যোগ করা হয় অসমিয়া ও নৃতত্ত্ববিদ্যা। নগাঁও জেলা বঙ্গভাষা সমন্বয় সমিতি-র সম্পাদক সরোজ চক্রবর্তী ও কার্বি আলং বাঙালি সমাজের সহকারী সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ ঘোষ বলেন, অসমে বাংলা ভাষাকে আগ্রাসন থেকে রক্ষার আন্দোলনের সূত্রেই জন্ম এই বিশ্ববিদ্যালয়ের। এখানকার কোনও ক্যাম্পাসে বাংলা ভাষা না-পড়ানো একান্তই ‘দুর্ভাগ্যজনক’।
|
‘থানে’র দাপটে মৃত বেড়ে ৪৭
সংবাদসংস্থা • পুদুচেরি |
ঘূর্ণিঝড় ‘থানে’র দাপটে কাড্ডালোর ও পুদুচেরিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৭। মোট ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা। ‘থানে’ বিধ্বস্ত এই দুই জেলায় উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে। রাস্তায় বহু গাছ উপড়ে পড়ার ফলে যোগাযোগ প্রায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গাছ সরিয়ে রাস্তা পরিষ্কারের কাজ চলছে। সরকারি অফিসারেরা জানিয়েছেন, ষাট হাজার খাবারের প্যাকেট প্রতি দিন তৈরি করে তা দুর্গতের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। যদিও পানীয় জল এবং বিদু্যৎ পরিষেবা এখনও স্বাভাবিক হয়নি।
তবে খারাপ আবহাওয়ার কারণে আজ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরম বিপর্যস্ত অঞ্চল পরিদর্শনে আসতে পারেননি। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের প্রতিমন্ত্রী ভি নারায়ণস্বামী জানিয়েছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ৩ জানুয়ারি পুদুচেরী আসবেন। বিপর্যস্ত অঞ্চল ঘুরে নারায়ণস্বামী অবশ্য অভিযোগ করেছেন, উদ্ধার কাজ পুরোদমে হচ্ছে না। বহু জায়গায় গ্রামবাসীরা খেতে পাননি। ক্ষতির কথা তিনি প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন।
|
জগন্নাথ ‘দর্শন’ না করেই ফিরলেন নবীন
সংবাদসংস্থা • পুরী |
প্রতি বছরের মতো এ বারও নতুন বছরের প্রথম দিন পুরীর মন্দিরে গিয়েছিলেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক। কিন্তু ফিরে গেলেন জগন্নাথ ‘দর্শন’ না করেই। সকালে সিংহদুয়ার পেরিয়ে মন্দিরে ঢোকেন নবীন। জগন্নাথ ‘দর্শন’ করার সময় মন্ত্রী বা সমর্থককে কাছাকাছি থাকার অনুমতি দেন না নবীন। তাই একাই মূল মন্দিরের সিঁড়ি বেয়ে উঠতে থাকেন। ২২টি সিঁড়ির মধ্যে সাতটিতে উঠে পড়ার পরই তাঁর ফোন আসে। তাঁকে বলতে শোনা যায়, “এস পি (পুলিশ সুপার) কোথায়? এখানকার এস পি কে?” কিছু ক্ষণের মধ্যেই মন্দিরে চলে আসেন এস পি এ এন সিংহ। কয়েক জন কর্মীকে নিয়ে চলে আসেন স্থানীয় বিধায়ক তথা পঞ্চায়েতিরাজমন্ত্রী মহেশ্বর মোহান্তি। তাঁদের সঙ্গেই মন্দির ছেড়ে বেরিয়ে ‘স্বর্গোদ্বার’-এর দিকে চলে যান নবীন। সেখানকার শ্মশানে শ্রদ্ধা জানান তাঁর বাবা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজু পট্টনায়কের উদ্দেশে। কেন তিনি মূল মন্দিরে না ঢুকেই নেমে এলেন, তা জানতে চাওয়া হলে নিরাপত্তা কর্মীরা বলেন, “দু-মাস আগে পায়ে চোট পাওয়ার পর থেকে নবীনবাবু লাঠি নিয়ে হাঁটছেন। কিন্তু আজ লাঠি আনতে ভুলে যাওয়ায় উনি অত সিঁড়ি ওঠার ঝুঁকি নেননি।”
|
হোটেলে আটক ৪৫ পর্যটক
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
টাকা না-মেটানোয় রবিবার রাজস্থানের একটি হোটেলে এক দল বাঙালি পর্যটককে রাতভর আটকে রাখা হয়। হোটেল-কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, প্রায় ৪৫ জন পর্যটকের ওই দলের বিল বকেয়া রয়েছে। বিল না-মেটালে ওই পর্যটকদের ছাড়া হবে না। পর্যটকদের অভিযোগ, ভ্রমণ সংস্থা হোটেলের বিল বাবদ অগ্রিম টাকা নিয়েছে। কিন্তু হোটেলকে টাকা দেয়নি। পর্যটকেরা রাতে দমকল ও প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রী জাভেদ খানের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেন। ওই ভ্রমণ সংস্থা ও হোটেলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন মন্ত্রী। আজ, সোমবার ওই পর্যটকদের কলকাতায় আনা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে ভ্রমণ সংস্থা।
|
দুই মোটরবাইক আরোহীর মৃত্যু
নিজস্ব সংবাদদাতা • পটনা |
নতুন বছরের প্রথম দিনেই ভোজপুরে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল দুই মোটরবাইক আরোহীর। ভোজপুর জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে হাসানবাজার এলাকায় বাইকে চেপে যাচ্ছিলেন গৌতম ঋষি ও বিজয় চৌধুরী নামে দুই ব্যক্তি। তীব্র গতিতে একটি ট্রাক এসে ধাক্কা মারে বাইকটিতে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দু’জনের। বিজয় ভোজপুর জেলার নারায়ণপুর পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান। এই দুর্ঘটনার পর এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। ঘটনার পরই ট্রাকচালক গা ঢাকা দেয়।
|
পুরীর মন্দিরে মৃত্যু |
পুরীর মন্দিরে সিংহ দুয়ারের সামনে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে অসুস্থ হয়ে মারা গেলেন এক ভক্ত। শঙ্কর রাও (৫৫) নামে ওই ব্যক্তি ভুবনেশ্বরের বাসিন্দা ছিলেন। মন্দিরের সামনে বাঁশের ব্যারিকেডের মধ্যে দাঁড়িয়েই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এক সময়ে জ্ঞান হারান। তাঁকে জেলার হাসপাতালে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। |
|