টুকরো খবর
ধান কেনা নিয়ে অবরোধ কৃষক সভার
বাঁকুড়ার পোয়াবাগানে অবরোধের ছবিটি তুলেছেন অভিজিৎ সিংহ।
রাইস মিলগুলিতে ঠিক মতো ধান কেনা হচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলে প্রতিটি পঞ্চায়েত এলাকায় ধান কেনার ব্যবস্থা চালু করার দাবি জানাল সিপিএমের কৃষক সংগঠন কৃষক সভা। মঙ্গলবার বাঁকুড়া জেলার ২২টি ব্লক অফিসে তাঁরা স্মারকলিপি জমা দেন। কয়েকটি এলাকায় তাঁরা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভও দেখান। বাঁকুড়া ১ ব্লক অফিসের কাছে রাস্তায় ধান ও আলু ছড়িয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়। কৃষক সভার জেলা সম্পাদক নকুল মাহাতোর অভিযোগ, “এমনিতে রাইস মিলগুলি দূরে হওয়ায় চাষিদের সেখানে ধান নিয়ে গিয়ে বিক্রি করার অসুবিধা রয়েছে। তার উপরে অনেক চাষির কাছে রাইস মিলগুলি ধান কেনেনি বলে শুনেছি। ফলে ফড়েদের কাছে চাষিরা কম দামে ধান বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন।” তাঁর দাবি, প্রতিটি পঞ্চায়েত এলাকায় সরকারি মূল্যে ধান কেনার ব্যবস্থা চালু করতে হবে। তবে জেলাশাসক মহম্মদ গুলাম আলি আনসারি দাবি করেন, “ধান কেনা নিয়ে কোনও সমস্যার কথা জানি না।” জেলা খাদ্য নিয়ামক শঙ্করনারায়ণ বাঁকুড়া বলেন, “ধান কেনা নিয়ে কিছু সমস্যা চলছে। সমবায় সমিতিগুলি এখনও সে ভাবে ধান কেনা শুরু করেনি।” তাঁর আশ্বাস সমবায় সমিতিগুলি দ্রুত ধান কেনার শুরু করবে। তখন এই সমস্যা আর থাকবে না।

পঞ্চায়েতে বিক্ষোভ
ধান, গম, ভূট্টার মিনিকিট এবং শীতের ত্রাণ সামগ্রী বিলি করা নিয়ে সিপিএমের পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে ‘দলবাজি’ করার অভিযোগ তুলল তৃণমূল কংগ্রেস। স্বচ্ছ ভাবে বিলি বন্টন করার দাবিতে মঙ্গলবার সুপুর পঞ্চায়েত অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূলের কর্মীরা। সকাল ১০টা থেকে বিক্ষোভ চলে। পঞ্চায়েতের ১০ জন কর্মীকে অফিসে ঢুকতে বাধা দেন তাঁরা। তৃণমূলের সুপুর অঞ্চল সভাপতি মহাদেব গিরির অভিযোগ, “পঞ্চায়েতে ধান, গম, ভুট্টাবীজ ও ধুতি, শাড়ি, কম্বল মজুত রয়েছে। সিপিএমের পঞ্চায়েত প্রধান নিজের দলের কর্মীদের ওই সামগ্রী বিলি করছেন। কিন্তু আমাদের দলের কর্মী-সমর্থকদের তা দেওয়া হচ্ছে না।” তিনি জানান, আগে পঞ্চায়েতের প্রধানকে স্মারকলিপি দেওয়া হলেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। তাই এ দিন পঞ্চায়েত অফিস ঘেরাও করে রাখা হয়। ১০টা নাগাদ সুপুর তৃণমূলের প্রায় ৫০ কর্মী-সমর্থক পঞ্চায়েতের গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখান। পঞ্চায়েতের ১০ জন কর্মী অফিসে ঢুকতে গেলে তারা বাধা দেন। দুপুরে দলের জেলা কার্যকরী সভাপতি শ্যামল সরকারের হস্তক্ষেপে পঞ্চায়েত কর্মীরা অফিসে ঢোকেন। প্রধান সূর্যনারায়ণ কিস্কু অফিসে আসেননি। তিনি দাবি করেন, “সরকারি নিয়ম মেনে প্রতিটি প্রকল্পে কাজ হয়েছে। মিনিকিটি বা ত্রাণ সামগ্রী বিলির ক্ষেত্রে রাজনীতির রঙ দেখিনা। দলবাজির অভিযোগ মিথ্যা।” তাঁর অভিযোগ, রাজনীতি করার জন্য তৃণমূল মিথ্যা অভিযোগ করছে।

বিষ্ণুপুরে কারামন্ত্রী
রাজ্যের সমস্ত সংশোধনাগারের সামগ্রিক পরিকাঠামো উন্নয়নে জোর দেওয়া হচ্ছে বলে জানালেন রাজ্যের কারামন্ত্রী শঙ্কর চক্রবর্তী। মঙ্গলবার সকালে বিষ্ণুপুর উপসংশোধনাগার পরিদর্শনে এসে মন্ত্রী একথা জানান। তিনি বলেন, “সংশোধনাগারগুলির সামগ্রিক পরিকাঠামোগত উন্নয়ন করা হচ্ছে।” সংশোধনাগারের ভিতরে ঢুকে তিনি বিচারাধীন বন্দিদের সঙ্গে কথা বলেন। বাইরে বেরিয়ে বলেন, “বন্দিদের সঙ্গে কথা হল। তাদের তেমন কোনও অভিযোগ নেই।” সংশোধনাগারের অস্থায়ী ক্ষৌরকর্মী হরেরাম পরামানিক মন্ত্রীর কাছে অভিযোগ করেন, “১৯৮৩ সাল থেকে এখান কাজ করছি। কিন্তু স্থায়ী কর্মীর স্বীকৃতি পাইনি।” মন্ত্রীর আশ্বাস, “সাফাই কর্মী থেকে ক্ষৌরকর্মী অনেক রয়েছেন। তাঁদের স্থায়ী কর্মীর স্বীকৃতি দেওয়ার দাবিটি আলোচনার মধ্যে রয়েছে।” পরে কারাকর্মীদের আবাসনও তিনি ঘুরে দেখেন।

বাঁকুড়া বইমেলা
শুরু হতে চলেছে ২৭তম বাঁকুড়া জেলা বইমেলা। কাল বৃহস্পতিবার খ্রিস্টান কলেজ চত্বরে এই মেলার উদ্বোধন হচ্ছে। মেলা চলবে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত। মেলা কমিটির সম্পাদক তথা জেলা গ্রন্থাগার আধিকারিক তপনকুমার বর্মন জানান, মেলার ‘থিম’ স্বামী বিবেকানন্দের জন্ম সার্ধ শতবর্ষ। এ বার মেলায় কোনও প্রবেশ মূল্য থাকছে না। ৬৯টি বইয়ের দোকান থাকছে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও থাকবে।

কলেজ নির্বাচন
শালডিহা কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে সবকটি আসনেই জিতল টিএমসিপি। ২৩টি আসনেই তাঁরা জয়লাভ করে। মঙ্গলবার ওই কলেজের ছাত্র সংসদের ২০টি আসনের নির্বাচন হয়। তিনটি আসনে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় টিএমসিপি আগেই জিতেছিল। গতবার এই কলেজে টিএমসিপি জিতেছিল।

শেষ হল মেলা
সমারোহের সঙ্গে মঙ্গলবার শেষ হল ২৪ তম বিষ্ণুপুর মেলা। এ দিন সন্ধ্যায় যদুভট্ট নামাঙ্কিত মেলামঞ্চে সম্মান জানানো হয় ১৯ জন লোকশিল্পীকে। প্রকাশিত হয় মেলা স্মারকগ্রন্থও। সোমবার রাতে মেলামঞ্চে ৯ জন হস্তশিল্পীকে পুরস্কৃতও করা হয়।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.