|
|
|
|
পূর্বে অর্থাভাব |
থমকে গ্রামীণ বিদ্যুদয়নের কাজ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাঁথি |
পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় গ্রামীণ বিদ্যুদয়নের কাজ এমনিতেই চলছিল শম্বুক গতিতে। টাকার অভাবে বতর্মানে তা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ফলে ২০১২ সালের মধ্যে জেলায় সম্পূর্ণ বিদ্যুদয়ন সম্ভব হবে কি না তা নিয়ে নতুন করে সংশয় তৈরি হয়েছে। আরও ৩৭ কোটি টাকা না পেলে জেলার ৫০৬টি মৌজায় বিদ্যুদয়ন সম্ভবপর নয় বলে জানিয়ে দিয়েছে দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার সংস্থা।
সম্প্রতি পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদে গ্রামীণ বিদ্যুদয়ন নিয়ে আয়োজিত বৈঠকে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা ‘এ টু জেড’ একটি রিপোর্ট পেশ করে জানায়, ৫০৬টি মৌজার মধ্যে ১৮০টি মৌজায় বিদ্যুতের সরঞ্জাম পৌঁছে দিলেও বাকি ৩২৬টি মৌজায় তা সম্ভব হয়নি। সম্পূর্ণ বিদ্যুদয়নের জন্য আরও ৪০ হাজার খুঁটি-সহ বিদ্যুতের সরঞ্জাম দরকার। এর জন্য আরও ৩৭ কোটি টাকার প্রয়োজন।
জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমে পূর্ব মেদিনীপুরের ২৭৯২টি মৌজার জন্য ১ লক্ষ ৩৪ হাজার বিদ্যুতের খুঁটি ও ১৭৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। পরে বাড়িয়ে ১ লক্ষ ৬৩ হাজার ২৬টি খুঁটি ও ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি মামুদ হোসেন জানান, শুক্রবারের বৈঠকে ঠিকাদার সংস্থা জানায়, ২২৮৬টি মৌজায় বিদ্যুদয়ন করা গেলেও বাকি ৫০৬টি মৌজার জন্য আরও ৪০ হাজার বিদ্যুৎ-খুঁটির প্রয়োজন। এর জন্য দরকার আরও ৩৭ কোটি টাকা। এই টাকা না পাওয়া গেলে বিদ্যুদয়নের কাজ সম্পূর্ণ করা সম্ভব নয়। এর পরেই বৈঠকে রাজ্য সরকারের কাছে অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দের দাবি জানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ওই দিনের বৈঠকে জেলা সভাধিপতি গাঁধী হাজরা, বিদ্যুৎ কমার্ধ্যক্ষ স্বপন রায়, দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থার প্রকল্প আধিকারিক দিলীপ চক্রবর্তী, বিদ্যুৎ দফতরের দুই ডিভিশন্যাল ম্যানেজার শ্রীনিবাস রাউত ও কল্যাণ মাইতি-সহ বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকরা ছিলেন। |
|
|
|
|
|