|
|
|
|
নতুন অ্যানিকেতের জন্য বরাদ্দ ১০৫ কোটি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
কাঁসাই নদীতে নতুন অ্যানিকেত তৈরির সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। তিন বছরের মধ্যেই নতুন অ্যানিকেত তৈরি হবে। এই তিন বছর নদীতে জল ধরে রাখতে পুরনো অ্যানিকেতটিকেও সংস্কার করা হবে বলে সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া জানিয়েছেন। মানসবাবুর কথায়, “কাঁসাই নদীর অ্যানিকেত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যা থেকে কয়েকটি ব্লক সেচের জল পায়, মেদিনীপুর ও খড়্গপুর শহর পানীয় জল পায়। কেবলমাত্র বালি মাফিয়াদের কারণে তা বার বার নষ্ট হয়েছে। তাই বেআইনি বালি খাদানের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে অভিযান চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ৩ বছরের মধ্যে ১০৫ কোটি টাকা দিয়ে নতুন অ্যানিকেত তৈরির পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে।” |
|
নিজস্ব চিত্র। |
গ্রীষ্মকালেও কাঁসাই নদীতে জল ধরে রাখার জন্য অ্যানিকেত তৈরি হয়েছিল। অ্যানিকেতটি তৈরি হয়েছিল ব্রিটিশ আমলে। তখনকার প্রযুক্তি মেনে তৈরি হওয়া অ্যানিকেতটি ছিল বেশ মজবুত। কিন্তু অবাধে বালি তোলার কারণে বাঁধের নীচের অংশ আলগা হয়ে ২০০৯ সালে অ্যানিকেতটি ভেঙে পড়ে। তার পর বার বার সংস্কার করা হয়েছে, আবারও ভেঙে পড়েছে। সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই অ্যানিকেতটি দাঁড়িয়েছিল কয়েকটি কুয়োর উপরে। পাথর ও ইট দিয়ে একাধিক কুয়ো তৈরি করা হয়। তার উপর ইট দিয়ে বাঁধটি তৈরি করা হয়েছিল। যা কয়েক দশক ধরে চলছিল। কিন্তু নদী থেকে অবাধে বালি তোলার কারণেই হঠাৎ তা ভেঙে পড়ে। পরবর্তীকালে বাঁধের উপর সিমেন্টের প্রলেপ দেওয়া হয়। ফলে কিছু ক্ষেত্রে বালি-বোঝাই লরি যাতায়াত করতে শুরু করে বাঁধের উপর দিয়েই। এক দিকে বালি তোলা, তার উপরে কুয়োর উপর দাঁড়িয়ে থাকা বাঁধের উপরে বালি-বোঝাই লরি চলায় কুয়োগুলিও বসে যেতে থাকে। এ ভাবে ধীরে ধীরে বাঁধটি আরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তার পর ২০০৯ সালের বন্যায় বাঁধটি ভেঙে যায়। তার পর থেকে অনেকবারই বাঁধটি সংস্কার হয়েছে এবং ফের ভেঙেও পড়েছে। এভাবে বালি তোলা চলতে থাকলে ও বাঁধ ভাঙলে অদূর ভবিষ্যতে মেদিনীপুর ও খড়্গপুর শহরের পাশাপাশি খড়্গপুর আইআইটিও পানীয় জল পাবে না। এ ছাড়াও মেদিনীপুর সদর, খড়্গপুর গ্রামীণ, পিংলা, ডেবরা ও কেশপুরের একাংশ মিলিয়ে ৮৪ হাজার হেক্টর জমিতে সেচও দেওয়া যাবে না। মন্ত্রী বলেন, “এমন ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি যাতে না আসে সে জন্যই নতুন অ্যানিকেত তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে জেলা প্রশাসনকেও বলা হয়েছে, বেআইনি বালি তোলা বন্ধে যাতে কড়া পদক্ষেপ করা হয়।” |
|
|
|
|
|