কাঁকুড়গাছি-কাণ্ড
পরিকল্পনা করেই খুন, ইঙ্গিত দিল ময়না-তদন্ত
স্ত্রীর প্রতি সন্দেহেই গোটা পরিবারকে খুন করে পরে আত্মঘাতী হন কাঁকুড়গাছির সরকারি আবাসনের বাসিন্দা প্রবীণ দাস। এমনটাই মনে করছে পুলিশ।
মঙ্গলবার প্রবীণবাবু, তাঁর স্ত্রী সন্ধ্যা, ছেলে প্রশান্ত, মেয়ে দীপশিখার দেহের ময়না-তদন্ত হয়। সন্ধ্যার দেহের বিভিন্ন অংশে যে ধরনের ক্ষতচিহ্ন মিলেছে, তার ভিত্তিতে পুলিশ মনে করছে, আচমকা রেগে প্রবীণ স্ত্রীকে খুন করেননি। অবসাদে ভুগলেও সকলকে খুনের পরিকল্পনা আগেই করেন তিনি। পড়শিদের জিজ্ঞাসাবাদেও পুলিশ জেনেছে, প্রবীণ স্ত্রীকে সন্দেহ করতেন। তার কারণও তাঁদের জানান তিনি।
ময়না-তদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতেই পুলিশ জানায়, খুন এবং আত্মহত্যা হয়েছিল ২৫ ডিসেম্বর দুপুর থেকে ২৬ ডিসেম্বর সকালের মধ্যে। কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ দমন) দময়ন্তী সেন বলেন, “প্রবীণের শরীরের বিভিন্ন অংশেও এমন অনেক চিহ্ন মিলেছে, যা দেখে মনে করা হচ্ছে, মৃত্যুর আগে তাঁর স্ত্রী তাঁকে প্রতিরোধের চেষ্টা করেন।”
কিন্তু ছেলেমেয়েকেও ওই যুবক খুন করলেন কেন? পুলিশের অনুমান, স্ত্রীকে খুন করে তিনিও আত্মঘাতী হবেন, এই পরিকল্পনা তাঁর ছিল। সে ক্ষেত্রে ছেলেমেয়েরা অনাথ হয়ে যেত। তা চাননি তিনি।
এলাকার কয়েক জনকে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জেনেছে, প্রবীণ তাঁদের বলেছিলেন, তিনি সন্ধ্যাকে সংসার খরচের জন্য মাসে চার হাজার টাকা দিতেন। কিন্তু দেখতেন, স্ত্রীর কাছে ১০ হাজার টাকা রয়েছে। বাড়তি টাকার উৎস সম্পর্কে সন্দেহ হত প্রবীণের। পুলিশ এ-ও জেনেছে, অবসাদের জন্য প্রবীণ পাভলভ হাসপাতালে তিন মাসেরও বেশি সময় ভর্তি থাকাকালীন সংসার চালাতে সন্ধ্যাকে রান্নার কাজ করতে হয়। স্বামীর চিকিৎসার খরচও জোগাড় করতে হয়। পুলিশের অনুমান, কারও কাছ থেকে ধার করেছিলেন সন্ধ্যা। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়িতে থেকে পুরো সুস্থও হননি প্রবীণ। তাই সন্দেহও দূর হয়নি।
 
 
 


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.