চাষিদের কাছ থেকে সহায়ক মূল্যে ধান না কিনে বাইরে থেকে সস্তায় ধান কিনছেন এলাকার চালকল মালিক। এই অভিযোগে মঙ্গলবার বর্ধমান-কাটোয়া রোড কিছুক্ষণের জন্য অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন বর্ধমানের দেওয়ানদিঘির চাষিরা। এ দিন ভাতার থেকে আসা একটি ধানবোঝাই ট্রাক্টর আটকে তাঁরা চালকলের গেটে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। শেষে চালকল মালিক বাবুলাল ঝাওয়ার চাষিদের সঙ্গে বৈঠক করে তাঁদের কাছ থেকেই ধান কেনার আশ্বাস দিলে অবরোধ উঠে যায়।
দেওয়ানদিঘি ছাড়াও পালিতপুর ও মনগিরা গ্রামের চাষিরাও এই অবরোধ কর্মসূচিতে যোগ দেন। বিক্ষোভকারীদের পক্ষে সত্যনারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও শেখ সাবির অভিযোগ, “বাড়িতে প্রচুর পরিমাণে ধান পড়ে রয়েছে। কিন্তু চালকল মালিক তা কিনতে অস্বীকার করেন। কিন্তু এ দিন চালকলের গেটে ভাতারের খেড়ুর থেকে ২০০ বস্তা ধান বোঝাই একটি ট্রাক্টর দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে আমরা পথ অবরোধ করি।” তবে অবরোধ নিয়ে কোনও অশান্তি হয়নি বলে বর্ধমান থানা সূত্রে জানানো হয়েছে। |
এ দিকে বাবুলাল ঝাওয়ারের দাবি, “আমার হাতে চাষিদের কাছ থেকে ধান কেনার মত টাকা নেই। আগের কেনা ধানের দামই এখনও পুরো মেটাতে পারিনি। তাই ভেবেছিলাম, ওই টাকা শোধ করে জানুয়ারি থেকে ফের ধান কেনা শুরু করব। কিন্তু চাষিরা তা মানতে না চাওয়ায় তার আগেই ধান কেনা শুরু করব বলে জানিয়েছি।” তবে তাঁর চালকলের গেটে ভাতার থেকে আসা ধান বোঝাই ট্রাক্টর দাঁড়িয়েছিল, এই অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেন।
জেলাশাসক ওঙ্কার সিংহ মিনা বলেন, “জেলার কিছু চালকলের টাকা ফুরিয়ে যাওয়ার কথা শুনেছি। আমরা তাদের বলেছি, এফসিআই বা জেলা খাদ্য দফতরকে তারা লেভির চাল সরবরাহ করলে সেই চালের দাম দ্রুত মিটিয়ে দেওয়া হবে। তারা যাতে ধান কেনা বন্ধ না করে, সে দিকেও নজর দিতেও বলা হয়েছে। তবে ওই চালকলে ঠিক কী ঘটেছে তা খতিয়ে দেখা হবে।” তবে সরকারের কাছ থেকে লেভির চাল বিক্রির টাকা পেয়েছেন কি না, তার স্পষ্ট জবাব দিতে পারেননি ওই চালকল মালিক। |