জাঁকিয়ে শীত পড়েছে। আর বাঙালি পিকনিকে মাতবে না এটা কী করে সম্ভব! তার ওপর ২৫ ডিসেম্বরের মতো একটা ছুটির দিন। নিজেদের পছন্দ মতো ‘পিকনিক স্পট’ বাছাই করে সেখানে বেড়ানো, চুটিয়ে আড্ডা মারা, রোদে পিঠ দিয়ে রসনাতৃপ্তির সুযোগ হাতছাড়া করতে চাননি অনেকেই। তাই দল বেঁধে মানুষজন বেরিয়ে পড়েছেন দিনটিকে উপভোগ করতে।
রবিবার সকালে দুবরাজপুরের পাহাড়েশ্বরে গিয়ে সেটাই মনে হল। ছোটবড় টিলা ঘেরা জায়গাটির প্রায় সর্বত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে পিকনিক স্পট। কোনও দলে ৫-৭ জন, আবার কোনও দলে ৫০ জন। গত বছর যাবৎ পাহাড়েশ্বরের বিখ্যাত ‘মামাভাগ্নে’ পাহাড় ও নির্মিত পাহাড়েশ্বর পার্ককে ঘিরে গড়ে ওঠা পিকনিক স্পটটি অনেকেই পছন্দ করছেন। এ দিনও কমপক্ষে ৩০-৩৫টি ‘পিকনিক পার্টি’ এখানে এসেছেন। মানাভাগ্নে পাহাড়, অসংখ্য ছোটবড় টিলা, শিবমন্দির ও প্রচুর গাছগাছালিতে ঘেরা এই জায়গাটি দুবরাজপুরবাসীর অন্যতম প্রিয় জায়গা ছিলই। |
গত কয়েক বছর আগে এই জায়গায় একটি পার্ক তৈরির পরে জেলা ও জেলার বাইরের মানুষের কাছে আকর্ষনীয় হয়েছে। যাঁরা এখানে পিকনিক করতে আসেন তাঁদের জন্য পানীয় জলের ব্যবস্থা ও শৌচাগারের ব্যবস্থা করে দেওয়ার ফলে অন্য পিকনিক স্পটের চেয়ে কিছুটা হলেও এগিয়ে রয়েছে পাহাড়াশ্বের, বলে মন্তব্য দুবরাজপুরের পুরপ্রধান পীযূষ পাণ্ডে।
শুধু দুবরাজপুরের পাহাড়েশ্বর নয়, বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের জলাধার ‘নীল-নির্জন’, সিউড়িতে ময়ূরাক্ষী নদীর তিলপাড়া ব্যারাজ, ওই একই নদীর ধারে সাঁইথিয়ার কাছে নারায়ণঘাটি আমবাগান, রামপুরহাটের ব্রাহ্মণী নদীর উপরে গড়ে ওঠা বৈধরা জলাধার এবং তারাপীঠ সংলগ্ন দ্বারকা নদীর ধারেও প্রচুর মানুষ রবিবার বনভোজন করলেন। শান্তিনিকেতনে পৌষমেলা ও তারাপীঠে মা তারার মন্দিরে বিপুল লোকসমাগম ছিলই। দুবরাজপুরের পাহাড়েশ্বরে পিকনিক করতে আসা দুর্গাপুরের পিয়ালী মজুমদার, সিউড়ি থেকে আত্মীয়দের সঙ্গে আসা ভৈরব দেবশর্মা, বর্ধমানের কল্পনা রায়, বাপি বন্দ্যোপাধ্যায়রা বলেন, “দুবরাজপুরের পাহাড়েশ্বরের ভূপ্রকৃতি অন্য জায়গার থেকে আলাদা। তা ছাড়া, যোগাযোগের সুবিধার জন্য এই স্পট বেছেছিলাম। ভাল লাগল।” |