|
|
|
|
|
|
পর্দার বাইরে ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়-এর মুখোমুখি হলেন পথিক পণ্ডিত |
‘টিভির রঞ্জিত মল্লিক’? এটা ফ্যানদের দেওয়া কমপ্লিমেন্ট?
ভাস্বর: (হো হো হো হাসি) হ্যাঁ। অনেকই বলেন শুনেছি। মণীশ ঘোষের ‘শাকম্ভরীর দিন’ সিরিয়ালে একটা নেগেটিভ চরিত্র করেছিলাম। এক দিন স্টুডিয়োয় যাচ্ছি, রাস্তায় এক ভদ্রলোক আমায় দেখতে পেয়ে বললেন, ‘খবরদার আর নেগেটিভ রোল করবেন না। আপনাকে আমরা টিভির রঞ্জিত মল্লিক বলে মনে করি!’
মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টিটিভের চাকরি করতেন। সেখান থেকে অভিনয়ে এলেন কী ভাবে?
ভাস্বর: চাকরিটা প্রায় বছর পাঁচেক করেছিলাম। ছোটবেলা থেকেই অভিনয় করার খুব ইচ্ছে ছিল। সেই কারণেই বড়রা যখন কেউ জিজ্ঞেস করতেন, ‘বড় হয়ে তুমি কী করবে?’ বলতাম, অভিনয় করব, অভিনেতা হব। যা-ই হোক, ভবানীপুর থেকে যখন আমরা বালিগঞ্জে শিফ্ট করলাম, তখন ওই পাড়ায় নাটকের একটা রেওয়াজ ছিল। নাটক হলেই আমি তাতে অভিনয় করতাম। ওখানেই আমার অভিনয়ে হাতেখড়ি বলতে পারেন। কলেজে গিয়েও নাটকটাটক হলে তাতে অভিনয় করতাম। এই করতে করতে ১৯৯৮ সালে দেব সিংহের গ্রুপ ‘নাটকওয়ালা’-তে ঢুকি। এ ভাবেই ধীরে ধীরে অভিনয়ে।
নায়কসুলভ চেহারা, অথচ আপনি প্রায় সব ছবিতেই ক্যারেক্টার রোলে, কেন?
ভাস্বর: না, না, তা কেন হতে যাবে, অমিত দত্তের ‘রবিবারের বিকেলবেলা’তে তো আমি হিরোর রোলেই অভিনয় করেছিলাম। টিভিতে যা কাজ করি মোটামুটি কেন্দ্রীয় চরিত্রেই। তবুও বলব, হিরো হওয়ার দরকার নেই, কিছু করার মতো ভাল ক্যারেক্টার পেলেই হল। যেমন, তরুণ মজুমদারের ‘আলো’, পিনাকী চৌধুরীর ‘বালিগঞ্জ কোর্ট’, স্বপন সাহার ‘টক্কর’, হরনাথ চক্রবর্তীর ‘চিরসাথী’তে করেছি।
আপনি কোন পাড়ায় জন্মেছেন? বাড়িতে কে কে আছেন? পড়াশোনা?
ভাস্বর: ভবানীপুরে জন্মেছি। বাড়িতে বাবা-মা আছেন। সাউথ পয়েন্ট থেকে মাধ্যমিক ও অ্যান্ড্রুজ স্কুল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক, তার পর আশুতোষ কলেজ থেকে জুলজি নিয়ে বি এসসি পাশ করি। এ ছাড়াও মার্কেটিং ম্যানেজমেন্ট করি ভবনস স্কুল অব ম্যানেজমেন্ট থেকে। অ্যাপ্টেক থেকে কম্পিউটারে ডিপ্লোমাও করেছি। |
|
রাজকুমার সন্তোষীর ‘লেজেন্ড অব ভগৎ সিং’-এ অভিনয় করেছেন। সুযোগ আসে কী ভাবে?
ভাস্বর: অদ্ভুত ভাবে কাজটা পেয়েছিলাম। আসলে আমি যখন হিন্দি কাজটা করতে যাই তার আগে আমি হায়দরাবাদে যেতাম একটি বাংলা চ্যানেলের শুটিং করতে। সেখানেই আমার এক বন্ধু অভয় কুলকার্নি, ও মরাঠি অভিনেতা, ওর থ্রু দিয়েই কাজটা পাই।
বলিউডি ছবিতে ফার্স্ট ব্রেক, অথচ ছবির সংখ্যা সবে ধন নীলমণি ‘লেজেন্ড অব ভগৎ সিং’, কেন?
ভাস্বর: যোগাযোগ রাখতে পারিনি বলে বোধ হয়। মুম্বইয়ের ফোন নাম্বার ছিল না, আমার কলকাতার নাম্বার। সেটা কেউ জানেও না ওখানে। তা ছাড়া ওখানে কাজ করতে গেলে রীতিমতো ঘাঁটি গেড়ে বসে থাকতে হবে। সেটাও আবার আমার পক্ষে সম্ভব নয়। তবে লাস্ট ইয়ারে একটা হিন্দি শর্ট ফিল্ম করলাম তো। আমি, রীতা ভাদুড়ী, কলকাতার আরও অনেক শিল্পী ছিলেন।
আপনি মনে করেন সেলিব্রিটি হয়েছেন? বা জনপ্রিয় হয়েছেন?
ভাস্বর: সেলিব্রিটি হয়েছি কিনা বলতে পারব না, তবে আগের থেকে যে জনপ্রিয় হয়েছি, সেটা রাস্তাঘাটে বেরোলেই বুঝতে পারি। এটা খুব এনজয়ও করি। (হাসি)
ইন্দর সেনের ‘জন্মভূমি’ টিভি সিরিয়ালই তা হলে আপনাকে লাইম লাইটে নিয়ে এসেছে?
ভাস্বর: হ্যাঁ। বিক্রমের চরিত্রে অভিনয় করতাম। ওই চরিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে একটা মজার ঘটনা ঘটেছিল। তখন গাড়ি ছিল না, যে দিন টেলিকাস্ট হয়, তার পরের দিন সকালে ট্যাক্সি করে কোথাও একটা যাচ্ছিলাম, দেখলাম সবাই আমাকে চেনে ওই তো বিক্রম যাচ্ছে। ‘জন্মভূমি’ আমাকে অনেক কিছুই দিয়েছে। ‘রাতারাতি সাফল্য কাকে বলে’ কথাটা তখনই বুঝেছিলাম।
আপনার কোনও স্বপ্নের চরিত্র আছে, যেটাতে সুযোগ পেলে অভিনয় করবেন?
ভাস্বর: হ্যাঁ। একটা চরিত্র করতে খুব ইচ্ছে করে ডেফ অ্যান্ড ডাম। তার জন্য ওয়ার্কশপ করতে হলেও করব। অনেককে বলে রেখেছি, কেউ যদি এই ধরনের চরিত্র নিয়ে কাজ করেন, তা হলে আমার কথাটা একটু ভাববেন। সময় দেব।
ইন্সপিরেশন?
ভাস্বর: এর ইন্সপিরিশেন হল সঞ্জীবকুমারের ‘কোশিস’, আর নানা পাটেকরের ও সীমা বিশ্বাসের ‘খামোশি’ ছবি দু’টি। এঁদের চরিত্রগুলো দেখলে আজও মনে হয় কেউ যদি সুযোগ দেয়।
অভিনয়ে আইডল কে?
ভাস্বর: আমির খান।
‘রয়েল বেঙ্গল রহস্য’তে আপনি ছোট্ট চরিত্রে অভিনয় করেছেন। আক্ষেপ হয় না?
ভাস্বর: না। আক্ষেপ হয়নি। কারণ, বাবুদা (সন্দীপ রায়) প্রথম দিনেই বলে দিয়েছিলেন, ‘ভাস্বর, এই ছবিটাতে কিন্তু তুমি মারা যাচ্ছ, তোমার কোনও আপত্তি নেই তো?’ বলেছিলাম, বাবুদা, আমি মরে যাই, হেজে যাই, আপনার সঙ্গে কাজ করতে পারছি এটাই আমার সৌভাগ্য। রোলের লেংথ হিসেবে ছোট ঠিকই, কিন্তু গোটা গল্পটাই তড়িৎ সেনগুপ্তকে নিয়েই। তার এই ভাবে মারা যাওয়াটা নিয়েই তো ‘রহস্য’। সুতরাং আমি পর্দায় ফিজিক্যালি উপস্থিত না থাকলেও গোটা ছবিতে কেমিক্যালি...। (হাসি)
প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন কোনও দিন?
ভাস্বর: না। তার কারণ, কাউকে কোনও দিন প্রোপোজই করিনি!
|
|
|
মুখ খোলার, গল্প করার, গলা ফাটানোর নতুন ঠিকানা চারিদিক থেকে কানে আসা
নানা কথা নিয়ে আমরা শুরু করে দিলাম। এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভার আপনাদের |
• বর্ষশেষের রাজ্যে এখন টানটান উত্তেজনা। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি যদি হয় মাধ্যমিকের ইতিহাস পরীক্ষা, তা হলে সে দিন সিপিএমের অগ্নিপরীক্ষা! এখন দেখার, কারা পরীক্ষার মুখোমুখি হন!
অতীশচন্দ্র ভাওয়াল। কোন্নগর
• আগুনের পরশমণি এক দিকে আমরি হাসপাতালের মর্মান্তিক ঘটনা আর অন্য দিকে কনকনে ঠান্ডার হাত থেকে রক্ষা পেতে শহরবাসীর ভরসা।
শ্রবণা সেনগুপ্ত। সাহাগঞ্জ
• প্যাকেজ-পীঠস্থান পশ্চিমবঙ্গ পাহাড়ি-মাওবাদী-আমরি-চোলাই-মৃত্যু-জীবনসংগ্রাম কমিটি...!
পীযূষকান্তি সরকার। নরেন্দ্রপুর
• বাদশা খোঁড়া হলেও, তার (চোলাই) রাজত্ব কিন্তু চলে রমরমিয়ে!
গৌতম মুখোপাধ্যায়।
• এত দিন জানতাম বাজারে সব্জির দাম মেটানোর সময় কিংবা বাসে উঠে টিকিট কাটবার সময় খুচরোই প্রধান সমস্যা। কিন্তু এখন দেখছি ‘খুচরো’ ভারতীয় অর্থনীতি আর জাতীয় রাজনীতিরও একটা সমস্যা!
সুদীপ চট্টোপাধ্যায়। হাওড়া
• নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে পাক অভিনেত্রী বীণা মালিককে নিয়ে যে হইচই হল, তাতে বোঝাই যাচ্ছে এ দেশে তিনি মোটেও ‘বিনা মালিক’ নন!
কাজী পারভেজ। হরিণঘাটা
• ভিড়ের মধ্যে এক ভদ্রলোক জিজ্ঞাসা করলেন মহানায়ক উত্তমকুমার এবং ক্ষুদিরামের কি একই দাম? লাইনে দাঁড়ানো পিছনের জন রেগে গিয়ে বলে উঠলেন আচ্ছা মানুষ তো আপনি, এক জন অভিনেতা, অন্য জন দেশপ্রেমী দু’জনের মূল্যায়ন একই মাপকাঠিতে করছেন? প্রথম জন বললেন, চটছেন কেন? আমি তো মেট্রোর টিকিটের দাম জানতে চাইছি।
রুমা চক্রবর্তী। রিজেন্ট পার্ক
• রাত হলেই তোমার কথা মনে পড়ে, তোমার জন্য ঘুমোতে পারি না, তোমার জন্য ভীষণ কষ্ট হয়। তবু তোমাকে তাড়ানোর জন্য আমি জ্বলে উঠি! মশা তাড়ানো ধূপ!
তারিফ আজিজ। ডোমকল
• বন্ধু: তুই আজ দারুণ ভাষণ দিয়েছিস!
নেতা বন্ধু: শ্রোতা সব গাধা ছিল!
বন্ধু: ও হো, তাই বুঝি মাঝে মাঝে বলছিলি শুনুন আমার প্রিয় ভায়েরা...
অসিত দত্ত। হাওড়া-২
• ধর্মতলার শৌচালয়ে ঢুকতেই কানে এল: তুমি ডাক দিয়েছ কোন সকালে...
পল্টু ভট্টাচার্য। রামরাজাতলা |
|
|
অশোককুমার ঘোষ |
আজও কী রকম পরিষ্কার মনে পড়ে। অথচ ষাট বছরেরও বেশি সময় পেরিয়ে গিয়েছে। আমি শান্তিনিকেতনে কাজে যোগ দিয়েছিলাম ১৯৫০ সালে। তখন আশ্রমে ছাত্রদের সঙ্গে কর্মীদেরও সাধারণ কিচেনে খাওয়ার ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু গরমের ছুটিতে হস্টেল বন্ধ থাকায় কিচেনও বন্ধ, তাই আমার বাসস্থান থেকে বেশ কিছু দূরে কালোর দোকানে খেতে যেতে হত কাঠফাটা রোদ্দুরে হেঁটে। কালোর দোকান ছিল রতনপল্লির
ভেতর দিকে। |
|
প্রতিদিন আসা-যাওয়ার পথে একটুক্ষণ দাঁড়িয়ে দেখতাম, প্রচণ্ড রোদের মধ্যে রামকিঙ্কর বেজ মূর্তি গড়ছেন। তখন গড়ছিলেন দুই সাঁওতাল রমণী কাপড় উড়িয়ে দিয়ে কাজে যাচ্ছে। রামকিঙ্কর এক-এক বার সিমেন্ট আর কাঁকর মেশানো মশলা ছুড়ে ছুড়ে দিচ্ছেন, তার পর কর্নিক জাতীয় কোনও জিনিস দিয়ে মূর্তি পরিস্ফুট করছেন। কাজের জায়গার পাশে একটা খড়ের তৈরি ঝুপড়ি। তার ভিতরে দাঁড়ানো যায় না, কোনও রকমে বসে থাকা যায়।
ঝুপড়ির ভিতরে বসে আচার্য নন্দলাল বসু। ভিজে গামছা মাথায় দিয়ে তিনি এক এক বার ডাকছেন আয় কিঙ্কর, একটা বিড়ি খেয়ে যা। প্রথমে সাঁওতাল রমণীদের দু’জনের মুখই এক দিকে ছিল। নন্দলাল বললেন, একটু কনট্রাস্ট দরকার নাকি? রামকিঙ্কর সঙ্গে সঙ্গে উঠে গিয়ে এক জন রমণীর মাথাটা ভেঙে দিলেন। নতুন করে মাথা গড়া হল, এক জনের মাথা বাঁ দিকে ঘোরানো। এখন উড়ন্ত কাপড় থাকবে কীসের ভরে? তখন নন্দলালের পরামর্শে গড়া হল একটা ছোট ছেলে কাঠি উঁচিয়ে কাপড় ধরে রেখেছে। সমস্যার সমাধান হল গুরু আর শিষ্যের মুখে প্রশান্তির হাসি। যাতায়াতের পথে দিনের পর দিন চোখের সামনে এই মূর্তি গড়ে উঠতে দেখেছি, সেই সঙ্গে বুঝেছি কী ছিল তখন গুরু আর শিষ্যের সম্পর্ক। |
|
|
তিলজলা।
‘জ’-এর নীচে কেমন করে জুড়ে গেছে ‘ব’-ফলা।
তাই তিল তিল করে জ্বলে চলা।
অন্য কোথাও শরৎ-শীত-ফাগুন,
এখানে বছরভর দাউ দাউ শুধু আগুন।
ফাঁকফোকর ভরা শাসন।
ঘুঁটের মালা নাও প্রশাসন |
|
|
অন্য গ্রহে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করে ২০১২-য়
পৃথিবী ধ্বংস করা চলছে না, চলবে না!
তারকনাথ দে, বিরাটি |
|
|
|
|
ক্ষমা চাইছি |
|
চোদ্দো বছর আগের কথা। তখন আমার সদ্য বিয়ে হয়েছে। বিয়ের ঠিক দু’মাস পর স্বামীর সঙ্গে তার কর্মস্থলে চলে এলাম। আমার স্বামীর পরিচিত এখানকার এক বৃদ্ধ কাঠের মিস্ত্রি ওকে বেশ কিছু দিন ধরে বলছিল, ‘বাবু, এক দিন বউ দেখতে যাব’। এ রকম বলতে বলতেই হঠাৎ এক দিন ‘বউ’ দেখতে চলে এলেন। উপহার হিসেবে নিয়ে এলেন তাঁর নিজে হাতে তৈরি করা একখানা কাঠের পিঁড়ি। তাঁর এই আন্তরিকতায় মুগ্ধ হয়েছিলাম বটে, কিন্তু তখন আমার বয়স কম, তা ছাড়া নতুন নতুন বিয়ে হয়েছিল বলে এক অজানা আনন্দে ভেসে বেড়াচ্ছিলাম। তাই সেই বৃদ্ধ কাঠের মিস্ত্রিকে কোনও খাতিরযত্ন করতে পারিনি। শুধু মুখে বলেছিলাম, বসুন। ব্যস এইটুকুই। কিন্তু এখন সে কথা মনে পড়লে ভীষণ অপরাধ বোধে ভুগি। জানি না, সেই বৃদ্ধ মিস্ত্রি এখনও বেঁচে আছেন কি না। তবে আজও আমি আমার ওই রকম আচরণের জন্য নিজেকে ধিক্কার জানাই।
মালা চৌধুরী,
হাওড়া |
|
মুখ খোলার, গল্প করার, গলা ফাটানোর
নতুন বিভাগ। চারিদিক থেকে কানে আসা
নানা কথা নিয়ে আমরা শুরু করে দিলাম।
এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভার আপনাদের। ই মেল-এ অথবা ডাকে, চিঠি পাঠান। ই-মেল: chirkut.rabi@abp.in
চিঠি: চিরকুট, রবিবাসরীয়,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০০০১ |
|
|
|
|
|
|