ভারতীয় অর্কেস্ট্রায় তিমিরবরণের নাম আজও ভোলা যায় না। তিনি পারদর্শী ছিলেন শাস্ত্রীয় সঙ্গীত-সহ অন্যান্য সঙ্গীত ঘরানাতেও। এমনকী উস্তাদ আলাউদ্দিন খানের শিষ্যও ছিলেন তিনি। ১৯৩০ সালে তাঁর পরিচিতি ছড়ায় দেশ ছেড়ে বিদেশে। সেই সময়ে অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে উদয়শংকরের বাদ্যযন্ত্রী হিসেবে নিজেকে তুলে ধরেছিলেন। অর্কেস্ট্রায় তিমিরবরণ পাশ্চাত্যের সঙ্গে এ দেশের ঘরানার এমন ভাবে মেলবন্ধন ঘটিয়েছিলেন, যেখানে এক নতুন ভাবধারা গড়ে উঠেছিল, যা আজও চলছে। সেখানে বাদ যায়নি রবীন্দ্রভাবনাও। তাই তাঁর কম্পোজিশনে এখনও স্মরণীয় হয়ে আছে রবীন্দ্রনাথের বেশ কিছু কবিতাও। এমন ব্যক্তিত্বকে এবং তাঁর স্মরণীয় সৃষ্টিকে এক ঝলক দেখার সুযোগ ঘটবে বৃহষ্পতিবার কলামন্দিরে। আয়োজক ‘অরণি’। |
সরোদ ছাড়াও বিভিন্ন কম্পোজিশনে তেজেন্দ্রনারায়ণ মজুমদারের নাম চলে আসে সঙ্গীত ঘরানায়। ভারতীয় অর্কেস্ট্রার এই উদ্যোগের পরিচালক হিসেবেও তিনি আছেন। কেন? “একক বাদনের ক্ষেত্রে আমার অন্যতম দুই গুরু উস্তাদ বাহাদুর খান এবং উস্তাদ আলি আকবর খানের যোগসূত্র যেমন আছে, তেমনই দেশে-বিদেশে অনেক অর্কেস্ট্রার অভিজ্ঞতাও আছে। ফলে তিমিরবরণের নাতনি রঞ্জনী সরকারের আমন্ত্রণ আমি ফেলতে পারিনি।” এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে থাকছে উদয়শংকরের ভাবধারায় একটি সুন্দর কোরিওগ্রাফি। উল্লেখ্য, এ দিন সেতার, চেলো, সরোদ, কী-বোর্ড, বেহালা, জাইলোফোন, পারকাশন, ড্রাম, ঘট্টম, খঞ্জিরা, তবলা, ঢোল, পাখোয়াজ, বাঁশি প্রভৃতি ১৮টি বাদ্যযন্ত্রের ঝংকার শোনা যাবে। যা নিঃসন্দেহে একটি অভিনব উদ্যোগ। এমনই দাবি উদ্যোক্তাদের। |