হাসপাতালের জরুরি বিভাগ লাগোয়া সিঁড়ির ঘরে তিন দিন ধরে মৃতদেহ ফেলে রাখায় তা পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল বলে অভিযোগ। তাতে বিপাকে পড়েন জরুরি বিভাগে ভর্তি রোগী, তাঁদের পরিবারের লোকজন, চিকিৎসক-স্বাস্থ্য কর্মীরা। বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ওই ঘটনায় রোগীর লোকজন হইচই শুরু করলে কর্তৃপক্ষ শেষ পর্যন্ত মৃতদেহটি অন্যত্র সরিয়ে নেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম সুবল বর্মন (৪৫)। ২০ ডিসেম্বর সকাল ৮ টা নাগাদ হাসপাতালে তিনি মারা যান। পরিবারকে খবর দেওয়া হলেও তাঁরা আসেননি। মর্গে মৃতদেহ রাখার জায়গা খালি না থাকায় দেহটি সেখানেও রাখা যায়নি। অভিযোগ, বুধবার থেকে দেহটি সরাতে বললেও ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ। এ দিন অন্য রোগীদের লোকজন এবং বাসিন্দাদের চাপে বেলা ২টো নাগাদ দেহটি অন্যত্র সরানো হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন মৃতদেহ রাখার আলাদা কোনও জায়গা নেই। জরুরি বিভাগের ভবনে ওই সিঁড়ির ঘরেই রাখা হয়। পরিজনেরা সেখান থেকে দেহ নিয়ে যান। একাধিক দিন দেহ রাখতে হলে মর্গে পাঠানো হয়। সুপার সব্যসাচী দাস বলেন, “পরিবারকে খবর পাঠানো হলেও তাঁরা আসেননি। এ সব ক্ষেত্রে ৩ দিনের মধ্যে পরিবারের লোক না এলে মৃতদেহ মাটিতে পুঁতে দেওয়া হয়। মর্গে জায়গা না-থাকায় দেহটি সেখানে পাঠানো যায়নি। জরুরি বিভাগের ভবনে সিঁড়ির ঘরে দেহটি ছিল। রোগীর পরিজনেরা দুর্গন্ধ ছড়ানোর কথা জানানোয় তা অন্য জায়গায় সরানো হয়। আরও এক দিন অপেক্ষা করে তা মাটিতে পুঁতে দেওয়া হবে।” অভিযোগ, জরুরি বিভাগের কাছেই সিঁড়ির ঘরে দেহটি ছিল। লাগোয়া বার্ন ইউনিট, জরুরি বিভাগের পুরুষ এবং মহিলাদের ওয়ার্ড, ‘অপারেশন থিয়েটার’ রয়েছে। রোগীর লোকজন, চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীরা সিঁড়ির ঘরের সামনে করিডর দিয়ে ওই সমস্ত ওয়ার্ডে ২৪ ঘন্টাই যাতায়াত করেন। দেহ পচে দুর্গন্ধ ছড়ানোয় বিপাকে পড়েন সকলেই। তা ছাড়া বার্ন ইউনিট, ওটি থাকায় মৃতদেহ থেকে সংক্রমণের আশঙ্কাও রয়েছে। বিপাকে পড়েন ওয়ার্ডের রোগীরাও। কয়েকজন রোগীর পরিবারের লোকেরা খবর দিলে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা মদন ভট্টাচার্য এ দিন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যান। দ্রুত মৃতদেহ ওই জায়গা থেকে সরানোর দাবি জানান কর্তৃপক্ষের কাছে।
|
হাসপাতাল পরিদর্শন
নিজস্ব সংবাদদাতা • মাড়গ্রাম |
অগ্নিনিরোধক ব্যবস্থা কেমন আছে সেটা খতিয়ে দেখতে বৃহস্পতিবার বিকেলে দমকল বিভাগের কর্মীরা রামপুরহাট ২ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরিদর্শন করেন। রামপুরহাট দমকল বিভাগের আধিকারিক স্বপন দত্ত বলেন, “ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অগ্নিনিরোধক ব্যবস্থায় কিছু ত্রুটি আছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বলা হবে। রামপুরহাট শহরে বেশ কিছু নার্সিংহোম পরিদর্শন করা হয়েছে। কিন্তু অগ্নিনিরোধক ব্যবস্থা কারও ভাল নেই। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় নির্দেশ নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষকে দেওয়া হবে।”
|
সচেতনতা শিবির
নিজস্ব সংবাদদাতা • কৃষ্ণনগর |
লরিচালকদের সচেতন করতে একটি শিবিরের আয়োজন করল নদিয়া জেলা স্বাস্থ্য দফতর। শিবিরে উপস্থিত ছিলেন জেলার প্রায় শ’চারেক লরি চালক। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, লরি চালকদের যক্ষা ও এডস নিয়ে সচেতন করতেই এই শিবিরের আয়োজন করা হয়। জেলার সহকারী মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “নানা কারণে লরিচালক ও তাঁদের সহকারীরা এই দু’টি রোগের শিকার হয়ে পড়েন। সেই জন্যই আমরা এই সচেতনতা শিবির করেছি।” |