টুকরো খবর
‘আক্রমণাত্মক’ সিপিএম
বিষমদ-কাণ্ড নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে এ বার ‘আক্রমণাত্মক’ হল সিপিএম। বুধবার কালিয়াগঞ্জে দলের উত্তর দিনাজপুর জেলা সম্মেলনে সিপিএমের প্রাক্তন সাংসদ মহম্মদ সেলিম তৃণমূলের ‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব’কে বিঁধে পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, “বিষমদ খেয়ে অনেকে মারা যাওয়ার পরে তৃণমূল নেতারা বলছেন, সিপিএম নাকি মদে বিষ মিশিয়েছে! আসলে ওদের দলে একাধিক গোষ্ঠীর মধ্যে কোন্দল রয়েছে। তার জেরে তৃণমূলেরই গুন্ডাবাহিনী মদে বিষ মিশিয়ে মানুষকে খুন করেছে। যাতে সরকার বিপাকে পড়ে।” এতে আবগারি দফতরও জড়িত থাকতে পারে বলে তাঁর অভিযোগ। তবে এই প্রতিক্রিয়ার সঙ্গে ফারাক রয়েছে সিপিএমের পরিষদীয় দলের। তৃণমূলের ওই মন্তব্যের বিরুদ্ধে বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র-সহ অন্য বিধায়কেরা শুধু ‘প্রতিবাদ’ জানিয়েছিলেন। তারই জের হিসেবে সর্বদলীয় বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে আসেন সূর্যবাবুরা। কিন্তু পাল্টা ‘আক্রমণাত্মক’ হননি। যা এ দিন হয়েছেন সেলিম। ওই সম্মেলনে শাসক দলকে দুষে প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, “তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীরা কুরুচিকর রাজনীতি করছেন। কিছু ঘটলেই সিপিএমকে জড়ানো হচ্ছে।” তৃণমূলের ‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে’র ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে সেলিম বলেন, “কলকাতায় তৃণমূলের তিনটি গোষ্ঠী রয়েছে। প্রথমটি মুকুল রায়ের। দ্বিতীয়টি ফিরহাদ হাকিমের এবং তৃতীয়টি সুব্রত বক্সীর। তাঁদের খুশি করতে একটি রাস্তায় তিনটি করে আলো লাগানো হয়েছে!” এ দিনের ওই সমাবেশে হাজির ছিলেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শ্যামলী গুপ্ত, বিনয় কোঙার ও মানব মুখোপাধ্যায়।

পড়ে মৃত্যু আদালতে
নির্মীয়মাণ বহুতল থেকে পড়ে এক সরকারি কর্মীর মৃত্যু হল। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে রায়গঞ্জ জেলা আদালত চত্বরে। মৃতের নাম সুমন্ত মৈত্র (৫২)। তাঁর বাড়ি রায়গঞ্জের বীরনগর এলাকায়। তিনি জেলা জজ আদালতে নাজির পদে কর্মরত ছিলেন। পুলিশ জানায়, এ দিন সুমন্তবাবু নির্মীয়মান আদালত ভবনের কাজ খতিয়ে দেখছিলেন। সেই সময় আচমকা তিনি তিনতলা থেকে মাটিতে আছড়ে পড়েন। আদালত কর্মীরা আশঙ্কাজনক অবস্থায় এরপর তাঁকে উদ্ধার করে রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। গত ১২ ডিসেম্বর সুমন্তবাবু নাজির পদে দায়িত্ব নিয়েছিলেন। তার আগে তিনি জেলা আদালতেরই সিভিল জজ জুনিয়র ডিভিশনের সেরেস্তা কর্মী ছিলেন। পারিবারিক বিবাদ অথবা কাজের চাপে মানসিক অবসাদের জেরে তিনি আত্মহত্যাও করে থাকতে পারেন বলে জেলা পুলিশ কর্তাদের একাংশের অনুমান। ওই ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় এদিন আদালতের কর্মী ও আইনজীবীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। আদালতের সমস্ত সরকারি কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যায়। উত্তর দিনাজপরের পুলিশ সুপার দীপঙ্কর ভট্টাচার্য বলেন, “ওই ব্যক্তি কী কারণে বহুতল থেকে পড়লেন তা জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে। আত্মহত্যার বিষয়টিও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।”

চালকলের ধান লুঠ, গোলমাল
চাষিদের কাছ থেকে কেনা চালকলের ধান লুঠের ঘটনায় বুধবার বিকেলে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর থানার প্রাণসাগর এলাকা। ওই এলাকার কয়েকশো লোক প্রথমে পথ অবরোধ করে ধান কেনার দাবিতে বিক্ষোভ দেখান। এরপরই বিক্ষোভকারীরা স্থানীয় প্রাণসাগর হাটে হানা দেন। মঙ্গলবার সেখানে রাত অবধি খাদ্য দফতরের পরিচালনায় চালকলগুলি সরাসরি চাষিদের কাছ থেকে প্রায় ১০ টন ধান কিনে ট্রাকে মজুত করে রেখেছিলেন। হাট থেকে ওই ধানের ট্রাক বের হওয়ার সময় ওই হামলা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে। জেলা চালকল সমিতির সম্পাদক অশোক জোয়ারদার অভিযোগ করেন, “ফঁড়েদের একাংশের মদতে স্থানীয় লোকজন ধান লুঠ করেছেন। প্রশাসন থেকে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা না-হলে আমরা হাটে চাষিদের কাছ থেকে ধান কেনা বন্ধ করে দেব।” চালকলের তরফে অভিযোগ পেয়ে গঙ্গারামপুর থানা থেকে বিরাট পুলিশ বাহিনী এলাকায় পৌঁছলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। থানার আইসি সত্যব্রত বাগচি বলেন, “লুঠ হওয়া ধান উদ্ধারের পাশাপাশি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।” জেলা খাদ্য নিয়ামক ভাস্কর হালদার বলেন, “ধান কেনার প্রক্রিয়া ভণ্ডুলের জন্য কিছু অসাধু লোক সক্রিয়। একাংশ রাজনৈতিক দলের নেতা আড়ালে রয়েছেন বলে খবর পেয়েছি। পুলিশকে কড়া ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।”

দুর্ঘটনায় মৃত সরকারি কর্মী
ট্রাকের ধাক্কায় মৃত্যু হল খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের আধিকারিকের। মঙ্গলবার রাতে উত্তর দিনাজপুর জেলার কানকি ফাঁড়ির বস্তাডাঙি এলাকায় দূর্ঘটনাটি ঘটে। মৃত ব্যক্তির নাম পুলক শিকদার (৩৫)। বাড়ি শিলিগুড়িতে। তিনি চাকুলিয়ায় কর্মরত ছিলেন। স্কুটারে ডালখোলা থেকে কানকি ফিরছিলেন।

এসইউসি-র জমায়েতে ‘স্প্রে’ করল পুলিশ
ঝাঁঝালো স্প্রে ছড়িয়ে বিক্ষোভকারী শতাধিক এসইউসি কর্মীকে কব্জা করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার বালুরঘাটে জেলা প্রশাসনিক ভবনের সামনে ওই ঘটনা ঘটে। কৃষিপণ্যের লাভজনক দাম, সারের অগ্নিমূল্য প্রতিরোধ-সহ ৫ দফা দাবিতে এদিন আইন অমান্যের ডাক দিয়ে এসইউসিআই কর্মীরা জেলাশাসকের দফতরে তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।

গাড়ি সমেত গ্রেফতার যুবক
প্রেস স্টিকার লাগিয়ে চোরাই গাড়ি পাচার করতে গিয়ে পড়ল এক যুবক। বুধবার কোচবিহারের বক্সিরহাটে সংকোশ সেতুর কাছে। বিলাসবহুল গাড়িটি প্রেস স্টিকারে শিলিগুড়ি থেকে অসমের দিকে যাচ্ছিল। খবর পেয়ে বক্সিরহাটের ওসি বিশ্বাশ্রয় সরকার গাড়িটি আটক করেন। চালক অজয় সোবারকে গ্রেফতার করা হয়।

অনুপ্রবেশকারী ধৃত
বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে ইসলামপুর থানার দিঙ্গাপাড়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। ধৃত পরিমল বসাকের বাড়ি বাংলাদেশের টাঙ্গাই এলাকায়।

৩টি চুরি
একই রাতে বাড়ির গ্রিলের তালা ভেঙে ৩টি মোটর সাইকেল ও দোকানের সাটার ভেঙে সর্বস্ব চুরি করে পালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। মালদহের সামসিতে মঙ্গলবার রাতে পরপর ওই দুই চুরির ঘটনায় এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.