তাঁর ভাই, দিনহাটার বাসিন্দা গোবিন্দ বর্মন বলেন, “দাদা কয়েক বার ফোন করে টাকা চেয়েছিলেন। কিন্তু আমি নিজেই পাটের দাম পাইনি। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ায় দাদা আত্মহত্যা করলেন।”
মৃতের স্ত্রী আরতি দেবী বলেন, “হিমঘর থেকে আলু বের করার খরচটুকুও উঠবে না বুঝে মানুষটা কেমন হয়ে গিয়েছিলেন।”
একই অবস্থা আরও কিছু চাষির। জলপাইগুড়ির কৃষি বিপণন আধিকারিক গোষ্ঠ দাস বলেন, “বর্তমানে জেলার হিমঘরগুলির ৪ শতাংশে আলু রয়েছে। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তা রাখা যাবে।”
মাগুরমারির চাষি জগদীশ রায় বলেন, “আমারও ৩৫ কুইন্টাল আলু হিমঘরে রয়েছে। নতুন আলু উঠে যাওয়ায় তা ৪০ পয়সা কিলোয় কেনারও লোক নেই।”
ধূপগুড়ির সিপিএম বিধায়ক মমতা রায়ের দাবি, “হিমঘরে মজুত আলু সরকারকে উপযুক্ত দামে কিনতে হবে। রবিনবাবুর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।” জেলাশাসক স্মারকি মহাপাত্র বলেন, “বিডিও-কে বিস্তারিত খোঁজখবর নিতে বলেছি। আপাতত মৃতের পরিবারকে কিছু অনুদান দেওয়া হবে।” |