|
|
|
|
নতুন পদ্ধতিতে ফলন বাড়ছে আমনের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • চাঁচল |
চলতি বছরে প্রচলিত পদ্ধতিতে আমনের গড়পড়তা উৎপাদন ছিল হেক্টর প্রতি ৪.৩২ মেট্রিক টন। একই সময় উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে ওই ধান চাষ করে উৎপাদন হয়েছে হেক্টর পিছু ৫.১৯ মেট্রিক টন। অর্থাৎ ২৫ শতাংশেরও বেশি ফলন হয়েছে। রাষ্ট্রীয় কৃষি বিকাশ যোজনার অন্তর্ভূক্ত কেন্দ্রীয় সরকারের বিজিআরইআই (ব্রিংগিং গ্রীন রেভ্যুলেশন ইন ইস্টার্ন ইণ্ডিয়া) তথা দ্বিতীয় সবুজ বিপ্লব প্রকল্পে আমন চাষে এমনই সাফল্য মিলেছে মালদহের চাঁচলে। চাঁচল-১ ব্লকে সাড়ে ৭ হাজার বিঘা জমিতে ধান উৎপাদনে ওই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত মহকুমা কৃষি দফতর। ধানের পরে এ বার একই পদ্ধতিতে চাঁচল ও রতুয়ায় গম চাষ শুরু হয়েছে। চাঁচল মহকুমা কৃষি দফতরের আধিকারিক অরূপ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ধান চাষে হেক্টর প্রতি ৭০০ কেজিরও বেশি উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব হয়েছে। এ বার গম চাষ শুরু হয়েছে। দফতরের কর্মীদের প্রচেষ্টায় ওই সাফল্য এসেছে।” |
|
চলছে ধান ঝাড়াই। বালুরঘাটে অমিত মোহান্তের তোলা ছবি। |
মহকুমা কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারতবর্ষকে দানাশস্যে স্বয়ংসম্পূর্ন করার জন্য বিজিআরই প্রকল্প চালু হয়েছে। হেক্টর প্রতি ৫০০ কেজি ফলন বাড়ানো লক্ষ্যমাত্রা ধার্য ছিল। পূর্ব ভারতের ৫টি রাজ্যে ওই প্রকল্পে চাষের কাজ চলছে। তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ রয়েছে। প্রকল্পভূক্ত চাষিরা নিজেদের জমিতে চাষ করছেন। উন্নত প্রযুক্তির দিয়ে চাষিদের সাহায্য করছে কৃষি দফতর। মহকুমায় ফার্মার্স ক্লাব গড়ে চাষের কাজ চলছে। মালদহের চাঁচলে একমাত্র ফার্মার্স ক্লাবের মাধ্যমে ওই চাষ চলছে বলে দাবি মহকুমা কৃষি দফতরের। কৃষি দফতরের আধিকারিকরা জানান, আমনের মরসুমে চাঁচলের কলিগ্রাম মৌজায় একলপ্তে মধ্যম গভীরতা যুক্ত ৭৫০০ বিঘা জমি চাষের জন্য নির্দিষ্ট করা হয়। ২০টি ফার্মার্স ক্লাবের আড়াই হাজার চাষি প্রকল্পের অন্তর্ভূক্ত হয়। চাষ শুরু করার আগে জমির প্রস্তুতি সহ কেমন করে উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব তা নিয়ে একাধিক সভা করে প্রচার চালায় কৃষি দফতর। শুধু তাই নয়, চাষের খরচের একাংশ দিয়েছে কৃষি দফতর। কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ফার্মার্স ক্লাবগুলো নাবার্ড অনুমোদিত হওয়ায় চাষিরা ভর্তুকিতে পাওয়ার টিলার, কৃষির আধুনিক যন্ত্রপাতি সহজ শর্তে কেনার সুযোগ পাবেন। শুধু তাই নয়। ক্লাবগুলো কৃষি দফতরের দেখানো পথে অন্যদের চাষের কাজে সাহায্য করবে। চাঁচল-১ ব্লকে আমন ধান চাষে বিরাট সাফল্যের পরে এ বার গম চাষে উদ্যোগী হয়েছে কৃষি দফতর। শুরুতে তেমন উৎসাহ না দেখালেও ধান চাষের সাফল্য দেখে চাষিরা এখন প্রযুক্তির সাহায্য নিতে স্বেচ্ছায় এগিয়ে আসছেন। কৃষি দফতরের কর্তারা জানান, এ বার ওই প্রকল্পে গম চাষ শুরু হয়েছে চাঁচল-২ এবং রতুয়া-১ ব্লকে। দুটি ব্লকে সাড়ে ৭ হাজার বিঘা করে মোট ১৫ হাজার বিঘা জমিতে গম চাষ হচ্ছে। কৃষি বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ধান চাষের মতো গম চাষে সফলতা মিললে দানাশস্য উৎপাদনে মহকুমার ছবি পাল্টে যাবে। |
|
|
|
|
|