‘দান’ ফেরাতে নির্দেশ স্কুলকে
০১১ সালের শিক্ষাবর্ষে পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য ডোনেশন ও পরীক্ষা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন মালদহের বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দির ও বার্লো বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সকলের জন্য শিক্ষার অধিকার আইন চালু হওয়ার পরেও ন্যাশনাল কমিশন ফর প্রোটেকশন অব চাইল্ড রাইটস বা এনসিপিসিআরের নির্দেশে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরের প্রধান শিক্ষককে ছাত্র ভর্তি বাবদ নেওয়া ডোনেশনের সমস্ত টাকা অভিভাবকদের ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য পরীক্ষা নেওয়ার অভিযোগে বার্লো বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জরিমানা করার জন্য এনসিপিসিআরের কাছে সুপারিশ করেছেন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক। বিষয়টি জানাজানি হতেই জেলার ছাত্র, শিক্ষকও অভিভাবক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
জেলা বিদ্যালয় পরিদশর্ক ( মাধ্যমিক) বিমল পান্ডে বলেন, “কমিশনের নির্দেশে বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরের প্রধান শিক্ষককে ছাত্রদের কাছ থেকে নেওয়া ডোনেশনের সমস্ত টাকা অভিভাবকদের ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বার্লো বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কমিশনের কাছে স্বীকার করে যে তাঁরা ভর্তির পরীক্ষা নিয়েছিলেন। পরীক্ষা নেওয়ার জন্য বার্লো বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়কে জরিমানা করার সুপারিশ করা হয়েছে। পরীক্ষা নেওয়ার জন্য ওই স্কুলকে কমপক্ষে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে।”
জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১১ সালে শিক্ষাবর্ষে পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির সময় ১২০ জন ছাত্রের কাছ থেকে বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দির কর্তৃপক্ষ ছাত্রপিছু ৩ হাজার টাকা করে ডোনেশন নিয়েছিল। কোনও এক অভিভাবক ডোনেশন নেওয়ার জন্য বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরের বিরুদ্ধে এনসিপিসিআরের কাছে অভিযোগ করেছিলেন। বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরের প্রধান শিক্ষক ব্রহ্মচারী অনিবার্ণ চৈতন্য বলেন, “ছাত্রদের কাছ থেকে যে ডোনেশনের টাকা নেওয়া হয়েছিল তা খরচ হয়ে গিয়েছে। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকেকে চিঠি দিয়ে এ কথা জানিয়ে দিয়েছি। এখন টাকা কোথায় পাব? স্কুল চালানোর জন্য সরকার টাকা দেওয়ার কথা বলেছিল। এখনও পর্যন্ত এক টাকাও পাইনি। স্কুল কীভাবে চালাব? তবে এ বছর ছাত্র ভর্তিতে কোনও ডোনেশন নেওয়া হবে না।” বার্লো বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা প্রণতি দাসগুপ্ত বলেন, “গত বছর শহরের বেশির ভাগ স্কুলই পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির পরীক্ষা নেয়। এক অভিভাবক তাঁর মেয়েকে ভর্তি করাতে না পেরে কমিশনেঅভিযোগ জানায়। কমিশন জরিমানা করলে আদালতে যাব। আমরাও কাগজে কলমে প্রমাণ দিয়ে বলব যে সমস্ত স্কুল পরীক্ষা নিয়ে ভর্তি করেছে। তাদের সবাইকে জরিমানা না করে কেন কেবলমাত্র আমাদের স্কুলকেই জরিমানা করা হবে?” প্রধান শিক্ষিকার অভিযোগ, গতবছর পরীক্ষা নেওয়ার আগে জেলা স্কুল পরিদর্শকের কাছে জানতে চাই, কমিশনের একটা নির্দেশ পেয়েছি। ভর্তির জন্য পরীক্ষা নেওয়া যাবে কি না। আমরা কী করব? ডিআই আমার চিঠির কোনও উত্তর দেননি। তখন অন্য স্কুল পরীক্ষা নিচ্ছে দেখে আমরাও পরীক্ষা নিয়েছিলাম।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.