উদ্বোধনের দিন স্থির হয়ে যাওয়ার পরেও পিছিয়ে গিয়েছে দু’বার। এখনও চালু করা যায়নি আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে শিশু চিকিৎসার জন্য সিক নিওনেটাল কেয়ার ইউনিট। এ দিকে চাপ আসছিল স্বাস্থ্য দফতর থেকে। কিন্তু প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না পেলে ইউনিটটি চালু করার ঝুঁকি নেওয়া যাবে না বলে লিখিত ভাবে স্বাস্থ্য দফতরকে জানিয়ে দিলেন।
বৃহস্পতিবার হাসপাতালের সুপার নির্মাল্য রায় ওই চিঠি পাঠিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, এখনও পর্যন্ত ইউনিটটির ইনচার্জ হিসাবে এক জন মাত্র চিকিৎসককে পাওয়া গিয়েছে। দরকার চার জন চিকিৎসক। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নার্স চাই ১২ জন। স্বাস্থ্যকর্মী চাই ৬ জন। সাফাইকর্মী দরকার ৪ জন। নির্মাল্যবাবুর কথায়, “যতই চাপ আসুক, এই চাহিদা মেটা না পর্যন্ত ইউনিটটি চালু করলে ঝুঁকি হয়ে যাবে।” হুগলির মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক উন্মেষ বসু অবশ্য বলেন, “ইউনিটটি চালু করার চূড়ান্ত সময়সীমা ৩১ অক্টোবর। চিকিৎসক, কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। ইউনিট চালু হয়ে গেলে অসুবিধা হবে না।”
আরামবাগ মহকুমা হাসপাতাল সূত্রের খবর, হাসপাতালের তিনতলায় সিক নিওনেটাল কেয়ার ইউনিটটি চালু করার কথা ছিল ২৯ নভেম্বর। তার দিন পাঁচেক আগে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর থেকে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আসেন আধিকারিকেরা। পিছিয়ে গিয়ে উদ্বোধনের দিন ঠিক হয় ১৫ ডিসেম্বর। যত শীঘ্র সম্ভব ইউনিট চালুর জন্য রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর থেকে বার বার বলা হচ্ছিল। তারই প্রেক্ষিতে এ দিন সকালে ফের লিখিত ভাবে চিকিৎসক, কর্মীর দাবি করে অপারগতার কথা জানিয়ে দেন সুপার।
চিকিৎসকের অভাবে হাসপাতালের দৈনন্দিন পরিষেবার ক্ষেত্রেও প্রচুর সমস্যা আছে বলে হাসপাতাল সূত্রের খবর। এই পরিস্থিতিতে শিশুদের জন্য বিশেষ ইউনিট চালু করেও সঠিক পরিষেবা দেওয়া যাবে না বলে মনে করেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ দিকে, বৃহস্পতিবার থেকে বিনা নোটিসে শিশুবিভাগটিই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তা নিয়ে ক্ষোভ-বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় সুপারকে। পরে ওই রোগীদের বহির্বিভাগে দেখানোর ব্যবস্থা হয়। |