|
|
|
|
ব্লক-কর্তাকে দুষলেন মন্ত্রী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ফুলবাড়ি |
নির্ধারিত সময়ে অনুষ্ঠান স্থলে হাজির না-হওয়ায় রাজগঞ্জের বিডিও-র সমালোচনা করলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেব। বুধবার ফুলবাড়িতে স্থানীয় পঞ্চায়েত অফিস চত্ত্বরে পাট্টা বিলির অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে সভামঞ্চ থেকে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী বলেন, “আমি নির্ধারিত সময়েই হাজির হয়েছি। কিন্তু সময় মতো বিডিও উপস্থিত হননি। প্রশাসনিক অফিসাররা সময় মেনে না-চললে কী করে হবে! বিডিও সময় মতো হাজির হলেই পাট্টা বিতরণ শুরু করা যেত।” এ কতা বলার পরে তাঁর তাড়া রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী কয়েকজনের হাতে পাট্টা তুলে দেন। তার আগে মন্ত্রী বলেন, “বর্তমান জোট সরকার রাজনৈতিক রং দেখে কাজ করে না। আমরা অল্প সময়ের মধ্যে অনেক কাজ করেছি। সরকার সবার জন্য। আমরা ক্ষমতায় আসার পর ওই সব ভূমিহীন মানুষদের জন্য নিশ্চয়তা দিতে পেরেছি।” তবে মন্ত্রীর সমালোচনার মুখে অস্বস্তিতে পড়েছেন বিডিও টি টি ভুটিয়া। বিডিও বলেন, “মন্ত্রী এমন কথা বললে করার কী আছে? ওই দিন সকালেই আমি ডাবগ্রাম এলাকায় নদী ভাঙন রোধের বিষয়ে কাজের ব্যাপারে গিয়েছিলাম। আমার যে একটু দেরি হবে সে কথা মন্ত্রীকে জানিয়েছি। সেখানকার পঞ্চায়েত কর্তাদেরও জানিয়েছিলাম।” মন্ত্রী তাড়া থাকাতে পাট্টা প্রাপকদের মধ্যে এ দিন ৫ জনের হাতে পাট্টা তুলে দিয়ে শিবমন্দিরে রওনা দেন। এ দিনের ওই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন সিপিএম নেতা তথা রাজগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সত্যেন মণ্ডল। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে মঞ্চে বসা সিপিএমের বিরুদ্ধেও কড়া সমালোচনা করেন গৌতমবাবু ও স্থানীয় কংগ্রেস নেতা দেবাশিস প্রামাণিক। সিপিএমের বিরুদ্ধে মন্ত্রী ও দেবাশিস প্রামাণিক সিপিএমের বিরুদ্ধে সরাসরি সমালোচনা করায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন সত্যেনবাবু। পরে তাঁর ক্ষোভের কারণও স্থানীয় কংগ্রেস ও তৃণমূল নেতৃত্বদের কাছেও জানান। সত্যেনবাবু বলেন, “একটি সরকারি অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি থাকবে কেন? এতে আমি দুঃখিত। এটা ঠিক নয়।” মন্ত্রী চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তিনিও এক রকম ক্ষুব্ধ হয়ে মঞ্চ থেকে উঠে চলে যান। এক কংগ্রেস নেতা তাঁকে অবশ্য বোঝানোর চেষ্টা করেন। অন্যান্যদের মধ্যে অনুষ্ঠানে ছিলেন রাজগঞ্জ ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিক বাসুদেব সাহা। এ দিন ফুলবাড়ির পূর্ব ধনতলার জয়নগর কলোনি এলাকার ৬২ জনের মধ্যে ২ একর ৫৫ শতক জমির পাট্টা বিতরণ করা হয়েছে। |
|
|
|
|
|