|
|
|
|
উদ্যোগী রুদ্রনাথ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
শিলিগুড়ি কলেজ এবং শিলিগুড়ি কমার্স কলেজের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে ছাত্রদের দাবি মেটাতে উদ্যোগী হলেন স্থানীয় বিধায়ক তথা শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য। বুধবার শিলিগুড়ির পূর্ত দফতরের বাংলোয় দুই কলেজ কর্তৃপক্ষ এবং ছাত্রদের প্রতিনিধিদের নিয়ে সমস্যা মেটাতে বৈঠক করেন তিনি। সেখানে ঠিক হয়েছে আগামী ২৫-৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে রুদ্রবাবু কলেজে গিয়ে সরেজমিনে ছাত্রছাত্রীদের সমস্যার বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন। বৈঠকে আশ্বাস মেলার পরে বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের দাবিতে কমার্স কলেজে যে অবস্থান আন্দোলন চলছিল তা তুলে নেয় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। রুদ্রনাথবাবু বলেন, “উভয় কলেজ কর্তৃপক্ষ, ছাত্রদের প্রতিনিধি এবং আন্দোলনরত ছাত্রদের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করা হয়েছে। পড়ুয়াদের হস্টেল, পানীয় জল, শৌচাগার নিয়ে সমস্যা রয়েছে। পড়ুয়ার সংখ্যা ক্রমাগত বাড়তে থাকায় পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষের অভাবও চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে উভয় কলেজ কর্তৃপক্ষই জানিয়েছেন। কমার্স কলেজের নিজস্ব ভবন নেই। তাদের স্টেটাস রিপোর্ট তৈরি করতে বলা হয়েছে। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে উভয় কলেজ পরির্দশ করে দেখব। তার পরই যথাযথ ব্যবস্থা নিতে নিশ্চয়ই উদ্যোগী হব।” কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৭ ডিসেম্বর থেকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তরফে বিভিন্ন দাবিতে ওই দু’টি কলেজে অবস্থান বিক্ষোভ চলছিল। গত ১৭ ডিসেম্বর সমস্যা সমাধানের বিষয়ে শিলিগুড়ি কলেজের অধ্যক্ষের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়। পাশাপাশি রুদ্রনাথবাবু উভয় কলেজ কর্তৃপক্ষ, ছাত্র সংসদের প্রতিনিধি এবং আন্দোলনরত ছাত্রদের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করে সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী হবেন বলে জানান। এই পরিস্থিতিতে শিলিগুড়ি কলেজে অবস্থান তুলে নেয় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। কিন্তু কমার্স কলেজে অবস্থান বিক্ষোভ চলছিল। শিলিগুড়ি কলেজে পানীয় জল, হস্টেল-সহ বিভিন্ন সমস্যার পাশাপাশি আন্দোলনকারীদের দাবি ছিল গত আর্থিক বছরের অডিট রিপোর্ট জানানো। অন্যান্য সমস্যা মেটানোর আশ্বাস দিলেও এ ক্ষেত্রে কলেজের পরিচালন সমিতির সিদ্ধান্ত ছাড়া তিনি কিছু করতে পারবেন না বলে জানিয়েছিলেন অধ্যক্ষ। কমার্স কলেজের নিজস্ব ভবন নেই। অন্যত্র ক্যাম্পাস স্থানান্তর হলে পড়ুয়াদের সমস্যা হতে পারে। কেন না শহরের কেন্দ্রে থাকায় অনেকে কাজকর্ম সেরে নৈশ কলেজে পড়াশোনা করতে পারেন। তবে ১৯৬৬ সালে যখন কলেজ এই ক্যাম্পাসে শুরু হয় তখন তাদের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল বলে বৈঠকে নথি পেশ করেন অধ্যক্ষ অসীম চট্টোপাধ্যায়। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন রুদ্রনাথবাবু। |
|
|
|
|
|