|
|
|
|
অন্য স্বাদের ভ্রমণ নিয়ে দিনভর আড্ডা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
দুই ‘পাগল’।
এক জন হরিপদ চক্রবর্তী, যজমানি করে সংসার চালাতে না পেরে ঘুঁটে বেচেন। চার দেওয়াল হাঁফ ধরালে দু’জোড়া প্লাস্টিকের জুতো কেনেন। একটি পায়ে পরেন, অন্যটি ঝোলায় ফেলে বেরিয়ে পড়েন। তার পরে এক বছর-দু’বছর-তিন বছর ধরে অবিরাম হেঁটে চলা। ইতিমধ্যেই ঘুরে ফেলেছেন প্রায় গোটা দেশ। শুধু যেখানেই যান, নিরাপত্তার খোঁজে থানায় একটু লিখিয়ে নেন। কিন্তু সেটাই আজ হয়ে উঠেছে প্রামাণ্য।
আর এক জন সাইকেলে চড়ে...। গড়গড় করে বলতে পারেন, এ পর্যন্ত চষা ১৫৭টি দেশের নাম। নানা জায়গা থেকে স্মারক নিয়ে এসে ঘর সাজিয়েছেন। আর শিখেছেন রান্না। নানা দেশের শ’দেড়েক পদ রাঁধতে পারেন। আর পারেন স্রোতের মতো গল্প বলে যেতে।
আর দু’জনই বা কম কীসের! শিবু দেবনাথ আর অজিত পোদ্দারের নেশা হল গাঁ-গঞ্জ ঘুরে বট-অশ্বত্থ-আম-কাঁঠালের বীজ ছড়ানো। তাঁদের স্বপ্ন, পৃথিবীটা আরও সবুজ হবে। গাছে গাছে গান গাইবে পাখিরা।
এমন সব চরিত্র পেলে আড্ডা তো জমবেই! প্রতি বছরের মতো এ বছরও ডিসেম্বরের তৃতীয় রবিবার চুটিয়ে বসেছিল ভদ্রেশ্বরের ‘ভ্রমণ আড্ডা’। অজয় কোনার হাজির ছিলেন চেনা-অচেনা বর্ধমানের চলচ্ছবি নিয়ে। ভিয়েতনামের মেকং ছেঁচে ছবির মণি-মুক্তো নিয়ে কুশল গঙ্গোপাধ্যায়ও।
জয়দীপ মিত্র এ বার সঙ্গে এনেছিলেন দ্বাপরের কৃষ্ণকে। কী ভাবে কৃষ্ণ চরিত্র গোটা দেশের সাংস্কৃতিক মালায় সুতোর ভূমিকা নিয়ে ফেলেছে, তার গল্প জয়দীপের কোলাজে। লাদাখ আর গোচালা চেনালেন সুগত আর ত্রিদিবেশ মুখোপাধ্যায়। সঙ্গে বেড়ানোর বইয়ের অবাক-তথ্য নিয়ে দেবাশিস মুখোপাধ্যায়। আরও নানা গল্পের মাঝে শক্তিপদ ভট্টাচার্যের ধরতাইও বা কম কীসের! প্রবীণ ভ্রমণ-লেখক গৌরীশঙ্কর ভট্টাচার্য এ বার পেলেন ‘মুসাফির’ সম্মান। ‘ভ্রমণ’ ও ‘কলম’ সম্মান অসীম ঘোষচৌধুরী ও দেবজ্যোতি ভট্টাচার্যের। |
|
|
|
|
|