|
|
|
|
কুয়াশায় ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত দেরি ট্রেনের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
শীত পড়তে না-পড়তেই এ বার কুয়াশার দাপট শুরু হয়ে গিয়েছিল। এখন পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশ জুড়ে ভরপুর শীত। উত্তুরে হাওয়ার জোয়ার। পাল্লা দিয়ে চলেছে কুয়াশা। তার প্রতাপে দীর্ঘ ক্ষণ মুখ লুকিয়ে থাকতে হচ্ছে সূর্যদেবকেও। কুয়াশার গাঢ় যবনিকা সরিয়ে যখন দেখা মিলছে সূর্যের, তত ক্ষণে অনেকটা বেলা গড়িয়ে গিয়েছে। আর তাতে দেরি হয়ে যাচ্ছে সব কিছুরই। বিশেষ করে ট্রেন আর বিমানের মতো যানবাহনের। বুধবার অবশ্য বিমানের তুলনায় ট্রেনই দেরি করেছে বেশি।
পূর্ব রেল সূত্রের খবর, বুধবার হাওড়া ও শিয়ালদহ থেকে দু’টি রাজধানী এক্সপ্রেস-সহ দূর পাল্লার ন’টি ট্রেন দেরিতে চলাচল করেছে। তাদের মধ্যে দু’টি ডাউন রাজধানী এক্সপ্রেসই দেরি করেছে প্রায় ১৩ ঘণ্টা। হিমগিরি এক্সপ্রেসের দেরি ১৭ ঘণ্টা। তবে দেরির দিক থেকে সব ট্রেনকে টেক্কা দিয়েছে সরাইঘাট এক্সপ্রেস। সে দেরি করেছে প্রায় ২৪ ঘণ্টা। দিল্লি থেকে সময়মতো হাওড়ায় আসতে পারেনি দুরন্ত এক্সপ্রেসও। শুধু দূর পাল্লার মেল বা এক্সপ্রেস নয়, কুয়াশার জন্য দেরি হয়েছে হাওড়া ও শিয়ালদহের অনেক লোকাল ট্রেনেরও। এ দিন ভোর থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত লোকাল ট্রেন চলেছে গড়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট দেরিতে। কুয়াশার জন্য এ দিন দক্ষিণ-পূর্ব রেলেও ট্রেন চলাচলে দেরি হয়েছে। ওই রেল সূত্রের খবর, ভোর থেকেই হাওড়া-খড়্গপুর মেন শাখায় সাঁতরাগাছি থেকে মেচেদা পর্যন্ত এলাকা ঘন কুয়াশার দখলে চলে যায়। ভোরের দিকে ট্রেনচালকেরা খুব কাছ থেকেও সিগন্যালের আলো দেখতে পাচ্ছিলেন না। তার জেরে ওই শাখায় ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। ওই শাখায় লোকাল ও দূর পাল্লার ট্রেনগুলি গড়ে ৪০ থেকে ৫০ মিনিট পর্যন্ত দেরিতে চলেছে। উত্তর ভারত ও উত্তর-পূর্ব সীমান্তের লাগোয়া এলাকায় ট্রেন চলাচলে প্রচণ্ড বিঘ্ন ঘটিয়েছে কুয়াশা। ওই সব অঞ্চলে ট্রেন চলেছে গড়ে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত দেরিতে।
আগের কয়েক দিনের তুলনায় এ দিন বিমান চলাচলে অবশ্য তেমন বিলম্ব হয়নি। দমদম থেকে ভোরের বিমানটি ছাড়া বেশির ভাগ বিমানই চলেছে সময় মেনে। প্রথম বিমানটি ছাড়তে প্রায় আধ ঘণ্টা দেরি হয়েছে। |
|
|
|
|
|