‘লাভজনক পদ’-এ দলতন্ত্রের পথ খোলা, দাবি বিরোধীদের |
কেন্দ্রীয় এবং আঞ্চলিক স্কুল সার্ভিস কমিশনে ‘দলতন্ত্র’ প্রতিষ্ঠা করতেই রাজ্য সরকার ওই দুই ক্ষেত্রে বিধায়কদের রাখার ব্যবস্থা করেছে বলে অভিযোগ করল বিরোধী পক্ষ। বুধবার বিধানসভায় ‘দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল লেজিসলেচার (রিমুভাল অফ ডিজকোয়ালিফিকেশনস) অ্যামেন্ডমেন্ট, ২০১১ শীর্ষক বিলটি পেশ হয়। ওই বিলে ১১টি নতুন ক্ষেত্রকে ‘লাভজনক পদ’-এর বাইরে রাখা হয়েছে। যেগুলিতে বিধায়করা থাকলে তাঁদের বিধায়ক পদ খারিজ হবে না। ২০০৭ সালের আইন অনুযায়ী, ১১৫টি ক্ষেত্র ‘লাভজনক পদ’-এর বাইরে ছিল। এ দিন বিধানসভায় বিরোধী পক্ষের তরফে প্রাক্তন মন্ত্রী আনিসুর রহমান কেন্দ্রীয় ও আঞ্চলিক স্কুল সার্ভিস কমিশনের সর্বোচ্চ পদকে ‘লাভজনক পদ’-এর বাইরে রাখা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এ নিয়ে তিনি একটি সংশোধনীও আনেন। আনিসুরের বক্তব্য, “এক দিকে সরকার বলছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে বিধায়কদের প্রবেশ করতে দেবে না। ভাল কথা! কিন্তু লক্ষ লক্ষ মাস্টারমশাই যে ব্যবস্থার মাধ্যমে চাকরি পান, সেই স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান করা হবে কোনও বিধায়ককে। এই কি গণতন্ত্র রাখার উদ্দেশ্য? এ তো স্পষ্ট দলতন্ত্র হবে।” তবে আনিসুর নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের ওই ধরনের পদে রাখার বিরোধী নন। তিনি কেবল স্কুল সার্ভিস কমিশনের ওই দুই ক্ষেত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। সরকার অবশ্য আনিসুরের সংশোধনী গ্রহণ করেনি। বিরোধী পক্ষের তরফে ডিএসপি-র প্রবোধ সিংহের অবশ্য মত, লাভজনক পদে বিধায়কদের বসালে অর্থনীতি, সমাজনীতির ‘চেকস অ্যান্ড ব্যালান্স’ নড়বড়ে হয়ে যায়। এতে ‘দলতন্ত্র’-এর পথও সুগম হয়। পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জবাব, “৩৪ বছর ধরে আপনারাই গণতন্ত্র রাখলেন না। আর এখন আমাদের গণতন্ত্রের কথা শোনাচ্ছেন?” ওই ধরনের পদে লোক বসানোর ব্যাপারে সরকার যত্নবান হবে বলেও পার্থবাবু আশ্বাস দেন।
|
বাম আমলে বাড়তি ব্যয়, কবুল করলেন আনিসুর |
বিধানসভার অনুমোদন ছাড়াই বাম আমলে বিভিন্ন দফতর নির্ধারিত বাজেটের তুলনায় অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় হয়েছে বলে ধরা পড়ল পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি(পিএসি)-র রিপোর্টে। বুধবার বিধানসভা কক্ষের বাইরে পিএসি-র এই রিপোর্টের কথা জানান প্রাক্তন মন্ত্রী ও পিএসি-র চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান। আনিসুর বলেন, “পিএসি-র রিপোর্টে ২০০৩ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনটি আর্থিক বছরে রাজ্যের বিভিন্ন দফতর বরাদ্দ বাজেটের থেকে অতিরিক্ত খরচ করেছে ১৫ হাজার ৭৬১ কোটি টাকা। এর মধ্যে অর্থ দফতরই সিংহভাগ ব্যয় করেছে।” বিধানসভার অনুমোদন সাপেক্ষেই নির্ধারিত অর্থের তুলনায় অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করা যায়। কিন্তু উল্লিখিত সময়ে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয়ের হিসেব বিধানসভাকে জানানো হয়নি বলে দাবি করেছেন আনিসুর। আর সেখানেই নিয়মভঙ্গ হয়েছে বলে অভিমত প্রাক্তন মন্ত্রীর।
এখন থেকে যাতে এমন আর্থিক গোলযোগ না হয়, সে জন্য পিএসি-র তরফে সংশ্লিষ্ট সব দফতরকেই অর্থ দফতরের সঙ্গে সমন্বয় রেখে চলার সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানান আনিসুর। তাঁর কথায়, “অর্থ দফতরের সঙ্গে বিভিন্ন দফতরের সমন্বয়ের অভাব ধরা পড়েছে রিপোর্টে। অর্থ দফতরের সঙ্গে সব দফতরের মন্ত্রীদের সমন্বয় রেখে চলা জরুরি। বিভিন্ন প্রকল্প খাতে বরাদ্দ অর্থের কতটা ব্যবহার করা হচ্ছে, তা খেয়াল রাখতে মন্ত্রীদের অনুরোধ করা হচ্ছে।”
|
স্বামী আত্মস্থানন্দের অবস্থা স্থিতিশীল |
রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী আত্মস্থানন্দের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। মূত্রনালির চিকিৎসার জন্য রবিবার বিকেলে রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠান হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। বেলুড় মঠের তরফে স্বামী বিমলাত্মানন্দ বুধবার বলেন, “এ দিন সকালে চিকিৎসক কল্যাণ সরকারের তত্ত্বাবধানে ওঁর বাঁ কিডনিতে নতুন ‘স্টেন্ট’ লাগানো হয়েছে। উনি এখন সুস্থ। স্বাভাবিক খাওয়াদাওয়া করেছেন এবং কথাবার্তাও বলছেন।”
|
শিল্প ধর্মঘটে পরীক্ষা এগোল আইসিএসই |
আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি দেশ জুড়ে প্রস্তাবিত শিল্প ধর্মঘটের দরুন আইসিএসই এবং আইএসসি পরীক্ষা এক দিন আগে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইসিএসই-র কাউন্সিল। বুধবার কাউন্সিলের সচিব জেরি অ্যারাথুন জানান, ২৮ ফেব্রুয়ারি শিল্প ধর্মঘটের কারণে তাঁরা আইসিএসই এবং আইএসসি পরীক্ষা ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে নেবেন। তিনি বলেন, “পরীক্ষার্থীদের স্বার্থ বিবেচনা করেই আমরা এই পরিবর্তন করেছি। কারণ, দেশের সব রাজ্যেই আমাদের পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। তাই আমরা কোনও ঝুঁকি নিতে চাই না।” শিল্প ধর্মঘটের কারণে ২৮ ফেব্রুয়ারি এ রাজ্যে মাধ্যমিক পরীক্ষা নেওয়া হবে কি না, সেই ব্যাপারে এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি শিক্ষা দফতর। এ দিন এই প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার, তা নেবেন মুখ্যমন্ত্রী।”
|
রাজ্য সৈকত যুব উৎসব ও নন্দিনী মেলা শুরু হয়ে গেল দিঘায়। বুধবার নিউ দিঘার মিনি হলিডে হোম সেক্টরে উৎসবের সূচনা করেন রাজ্যের যুবকল্যাণ মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। সভাপতিত্ব করেন রামনগর ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দেবব্রত দাস। |