দফায় দফায় নির্দেশিকা, তবু কাটছে না ভর্তি-জট
শিক্ষার অধিকার সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় আইন মানতে গিয়ে দফায় দফায় বিভ্রান্তি। রাজ্য সরকারের নির্দেশিকা নিয়ে বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে সমন্বয়ের অভাবে রাজ্য জুড়ে পঞ্চম শ্রেণিতে ছাত্র-ভর্তি প্রক্রিয়াই কার্যত জট পাকিয়ে গিয়েছে। কলকাতা, বালি, বারাসত, শিলিগুড়ি, মালদহে একের পর এক স্কুলে এই নিয়ে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। যার জেরে বন্ধ রাখা হচ্ছে ভর্তি প্রক্রিয়াই।
কেন্দ্রীয় আইনে ৬ থেকে ১৪ বছর বয়সী সব পড়ুয়াকে নিখরচায় কাছের স্কুলে ভর্তির সুযোগ দিতে বলা হয়েছে। সেই মোতাবেক এ রাজ্যে প্রাথমিকের পরে সব শিশু যাতে নিজের স্কুলেই পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি হতে পারে, তা নিশ্চিত করতে সম্প্রতি মাস দেড়েকের ব্যবধানে দু’টি নির্দেশিকা জারি করেছিল স্কুলশিক্ষা দফতর। খেপে খেপে জারি করা ওই নির্দেশিকায় মূলত দু’টি প্রশ্নে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। এক, সব ধরনের স্কুলেই চতুর্থ শ্রেণির সব পড়ুয়া পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির সুযোগ পাবে কি না এবং দুই, স্কুলে ভর্তি হতে দূরের পড়ুয়ারাও লটারির সুযোগ পাবে কি না। স্কুলশিক্ষা দফতর, স্কুল পরিদর্শক এবং স্কুলগুলি ভিন্ন ভিন্ন ভাবে নির্দেশিকাগুলি ব্যাখ্যা করছে। এই তিন তরফের মধ্যে সমন্বয়ের অভাবে আইনশৃঙ্খলাজনিত সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে এবং বিভ্রান্ত হচ্ছেন অভিভাবকেরা।
জটিলতা কাটাতে কলকাতার একটি স্কুল পরিচালন সমিতির সঙ্গে বুধবার বৈঠক করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। কিন্তু জেলায় জেলায় এ নিয়ে যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে, তা নিরসনের পথ খুঁজে পাচ্ছে না স্কুলশিক্ষা দফতর। স্কুলে ভর্তি নিয়ে যাতে নতুন করে কোনও গণ্ডগোল না বাধে, জেলাশাসকদের তা দেখতে বলা হয়েছে বলে জানান স্কুলশিক্ষা সচিব বিক্রম সেন।
নতুন সরকারের আমলে চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়াদের সরাসরি পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি নিয়ে ইতিমধ্যেই দু’দফায় নির্দেশিকা জারি করেছে স্কুলশিক্ষা দফতর। প্রথমটিতে (২২ নভেম্বর) বলা হয়, কোনও স্কুলের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিভাগ থাকলে প্রাথমিকের ছাত্রছাত্রীদের সরাসরি পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি করতে হবে। এ ক্ষেত্রে আলাদা করে লটারির প্রয়োজন নেই। দু’টি বিভাগের পরিচালন সমিতি আলাদা হলে কী হবে, সেই প্রশ্ন ওঠায় দ্বিতীয় নির্দেশিকাটিতে (৯ ডিসেম্বর) বলা হয়, সে ক্ষেত্রেও এই নির্দেশ মানতে হবে। স্কুলের একই ভবনে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিভাগ চললে প্রাথমিকের সব পড়ুয়াকে সরাসরি পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি করতে হবে।
শীতের রাতে ধর্না।
গত শনিবার যাদবপুর
বিদ্যাপীঠের সামনে।
ফাইল চিত্র
এর পরেও বিভ্রান্তি কাটেনি। যেমন, যাদবপুর বিদ্যাপীঠ স্কুলের তরফে জানানো হয়, ওই স্কুলের প্রাথমিক বিভাগের পরিচালন সমিতি বেসরকারি। অথচ মাধ্যমিক বিভাগের স্কুলটি সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত। সে ক্ষেত্রে কী হবে? নির্দেশিকা থেকে তা স্পষ্ট নয় বলে অভিযোগ জানান স্কুল কর্তৃপক্ষ। শনিবার তুমুল গোলমাল হয় ওই স্কুলে। জটিলতা কাটাতে স্কুলের মাধ্যমিক বিভাগের পরিচালন সমিতির সদস্যদের সঙ্গে বুধবার বৈঠকে বসেন ব্রাত্যবাবু। তিনি জানান, এখানেও একই নিয়ম থাকবে। এই জাতীয় স্কুলেও প্রাথমিকের পড়ুয়াদের সরাসরি পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি করতে হবে বলে শীঘ্রই তৃতীয় একটি নির্দেশিকা দেওয়া হবে। মন্ত্রী বলেন, “ওই স্কুলের প্রাথমিক বিভাগে পরিচালন সমিতি বেসরকারি। সরকারি নির্দেশিকায় যে হেতু এই বিষয়টি স্পষ্ট করে বলা নেই তাই তাঁরা চতুর্থ শ্রেণির সব ছাত্রছাত্রীকে সরাসরি পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি করা হবে কি না তা জানতে চান। ওঁদের বলা হয়েছে, লিখিত ভাবে এ কথা জানাতে। তার পরে দফতর থেকে নির্দেশিকা জারি করে বলা হবে যে, পরিচালন সমিতি বেসরকারি হলেও চতুর্থ শ্রেণির সব পড়ুয়াই সরাসরি পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির সুযোগ পাবে।” যাদবপুর বিদ্যাপীঠের সমস্যার বিষয়টি মিটতে না মিটতেই গোলমাল বেধেছে বেলুড় উচ্চ বিদ্যালয়ে (বালক)। অভিভাবক ও স্থানীয় কয়েক জন তৃণমূল কর্মীর বিক্ষোভের জেরে
স্কুলটিতে পঞ্চম শ্রেণিতে ছাত্র ভর্তিই আপাতত বন্ধ রেখেছেন কর্তৃপক্ষ। বুধবার ওই বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি শুরু হওয়ার কথা ছিল। স্কুল-কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, সকাল থেকেই কয়েক জন অভিভাবক ও স্থানীয় কিছু তৃণমূলকর্মী বিদ্যালয়ে এসে দাবি করেন, স্কুল থেকে দেড় কিলোমিটারের মধ্যে যে সব ছাত্র বসবাস করে এবং কাছাকাছি প্রাথমিক স্কুলে পড়াশোনা করে, তাদেরই আগে ভর্তি নিতে হবে। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ জানান, তাঁদের প্রাথমিক বিভাগ নেই। তাই পঞ্চম শ্রেণিতে সরাসরি ভর্তির প্রশ্ন নেই। সব ছাত্রই লটারির মাধ্যমে ভর্তি করা হবে। তার পরেও বিক্ষোভ চলায় তাঁরা ভর্তি প্রক্রিয়া বন্ধ রাখছেন। বালির তৃণমূল বিধায়ক সুলতান সিংহ বলেন, “প্রধান শিক্ষক কাছাকাছি প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়া ও কাছের বাসিন্দাদের ভর্তির আশ্বাস দিয়েছিলেন। এখন তা রাখছেন না।” প্রধান শিক্ষক তাপস চট্টোপাধ্যায় অভিযোগ অস্বীকার করেন।
কাছের স্কুল-দূরের স্কুল সংক্রান্ত বিভ্রান্তির জন্ম ৯ ডিসেম্বরের নির্দেশিকা থেকেই। ওই বিজ্ঞপ্তিতেই স্কুলশিক্ষা দফতর পড়ুয়াদের বাড়ি থেকে ‘কাছের স্কুলে’ ভর্তির উপরে জোর দেয়। ‘কাছের স্কুল’ কাকে বলা হবে? বলা হয়, কলকাতা এবং দুর্গম এলাকায় প্রাথমিক এবং উচ্চ প্রাথমিক স্কুলের দূরত্ব যথাক্রমে আধ এবং এক কিলোমিটারের বেশি হবে না। অন্য জেলায় ওই দূরত্ব যথাক্রমে এক ও দুই কিলোমিটারের মধ্যে থাকবে। এই নির্দেশিকার জেরে অনেক স্কুল কর্তৃপক্ষই মনে করছেন, দফতরের নির্দেশিকা মানলে স্কুল থেকে বড় জোর দু’কিলোমিটার দূরত্বে বসবাসকারী ছাত্রছাত্রীদেরই ভর্তি নেওয়া যাবে। দূরের পড়ুয়ারা সে ক্ষেত্রে লটারির জন্য আবেদন করতে পারবে না। মালদহের বার্লো বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্কুলের এক কিলোমিটার বৃত্তে বসবাসকারীদেরই লটারিতে অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে বলে জানালে অভিভাবকেরা বিক্ষোভ দেখান মঙ্গলবার। বারাসতের কালীকৃষ্ণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়েও গোলমাল বাধে।
স্কুলশিক্ষা দফতরের দাবি, নির্দেশিকার ভুল ব্যাখ্যা হচ্ছে। এ দিন তাঁরা এই সংক্রান্ত বিভ্রান্তিও কাটানোর চেষ্টা করেন। বলা হয়েছে, শিশুরা বাড়ির কাছাকাছি স্কুলে ভর্তি হওয়ার সুযোগ যেন পায়, সেটা দেখতে হবে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, কেউ চাইলে দূরের স্কুলে ভর্তি হওয়ার জন্য আবেদনই করতে পারবে না। কিছু কিছু স্কুল-কর্তৃপক্ষের কাছে এ নিয়ে অস্পষ্টতা থেকে গিয়েছে বলে জানান দফতরের অফিসারেরা। তাঁদের বক্তব্য, কোনও শিশু যদি একাধিক স্কুলে লটারিতে বসেও ভর্তি হতে না পায়, তখন তাকে কাছের কোনও স্কুলে ভর্তির দায়িত্ব নেবে সরকার।
নির্দেশিকা নিয়ে নানা ‘ভুল’ ব্যাখ্যার পাশাপাশি কোথাও কোথাও অভিভাবকদের ‘ভিত্তিহীন’ দাবির জেরেও সমস্যা তৈরি হয়েছে। যেমন, শিলিগুড়ির চম্পাসারি শ্রীগুরু বিদ্যামন্দির। এই স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে মোট ১৫০ ছাত্রছাত্রীর লটারি প্রক্রিয়ায় ভর্তি হওয়ার কথা ছিল। আবেদনপত্র বিলি হয়েছিল ২২৫টি। লটারি শুরুর মুহূর্তে অভিভাবকেরা দাবি করেন, সবাইকে ভর্তি নিতে হবে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিশ্বনাথ দত্ত বলেন, “যুক্তিতে কান দিতে চাননি অভিভাবকেরা। পরিচালন সমিতির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে লটারি বাতিল করে দেওয়া হয়। জেলা স্কুল পরিদর্শকের নির্দেশ এলে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।” কোনও কোনও স্কুল কর্তৃপক্ষ আবার সময়মতো সরকারি নির্দেশ না পাওয়ায় এখনও ছাত্র ভর্তিই নিতে পারেননি। যেমন, দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট ললিতমোহন আদর্শ হাই স্কুল, বালুরঘাট হাই স্কুল ইত্যাদি।
এই পরিস্থিতিতে শিক্ষার অধিকার আইনের যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। আমেরিকা প্রবাসী এক বাঙালি অধ্যাপক বলেন, “আমেরিকার এক একটি অঞ্চলের স্কুলে এ ভাবে এলাকার সব ছেলেমেয়েকে ভর্তির রীতি চালু রয়েছে। কিন্তু শিক্ষার সামগ্রিক মান যাতে নষ্ট না হয়, সে জন্য বেসরকারি স্কুলগুলিকে এই আওতায় আনা হয়নি।” শিক্ষা দফতরের অফিসারদের একাংশও এই আইনের কার্যকারিতা নিয়ে সন্দিহান। এক অফিসারের মতে, শিক্ষার অধিকার আইনে যে ভাবে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে, এ রাজ্যে তা প্রয়োগ করা কঠিন। তিনি বলেন, “এখানে বেশির ভাগ স্কুল প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ এবং তার পরে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নিয়মে পরিচালিত হয়। ফলে অধিকাংশ স্কুলে এই দুই বিভাগের পরিচালন সমিতিও আলাদা। তাই গোলমাল ও বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।”

পঞ্চমের গেরো
কেন্দ্রের শিক্ষার অধিকার আইনে কী বলা হয়েছে?
২০০৯-এর ওই আইন অনুযায়ী ৬ থেকে ১৪ বছর বয়সী সব শিশুকে কাছের স্কুলে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বিনামূল্যে পড়াশোনার সুযোগ দিতে হবে। এই পর্যায়ে কোনও ক্যাপিটেশন ফি নেওয়া যাবে না।

কাছের স্কুল বলতে কী বোঝাচ্ছে?
শিক্ষা দফতরের নির্দেশ, কলকাতা এবং দুর্গম এলাকায় প্রাথমিক স্কুলের দূরত্ব সর্বোচ্চ আধ কিলোমিটার এবং উচ্চ প্রাথমিক স্কুলের দূরত্ব ১ কিলোমিটার। অন্যত্র তা যথাক্রমে সর্বোচ্চ ১ এবং ২ কিলোমিটার।

রাজ্য সরকারি বিজ্ঞপ্তি প্রথম কবে বেরোয়?
এ বছর ২৮ ফেব্রুয়ারি। আগের সরকার জানায়, ভর্তির ক্ষেত্রে পড়ুয়া বাছাই নয়। আসনের তুলনায় আবেদনকারীর সংখ্যা বেশি হলে লটারি হবে।

এ ব্যাপারে নতুন সরকারের মত কী?
লটারি নিয়ে প্রথমে আপত্তি ছিল। লটারি ও ভর্তি পরীক্ষার বিকল্প সুপারিশ করতে বলা হয় স্কুলশিক্ষা দফতরকে। পরে সরকার সিদ্ধান্ত নেয়, ২০১২-য় লটারিই থাকবে।

নতুন বিজ্ঞপ্তি কবে বেরোয়?
২২ নভেম্বর। বলা হয়, কোনও স্কুলের প্রাথমিকের সব ছাত্রকেই ওই স্কুলের মাধ্যমিকে ভর্তি করতে হবে। তার পরে আসন ফাঁকা থাকলে লটারি হবে। দু’টি বিভাগের পরিচালন সমিতি আলাদা হলে কী হবে, বলা ছিল না।

বিভ্রান্তি মেটাতে কী করল শিক্ষা দফতর?
ফের বিজ্ঞপ্তি ৯ ডিসেম্বর। বলা হল, পরিচালন সমিতি পৃথক হলেও যদি একই ভবনে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিভাগ চলে, তা হলে প্রাথমিকের সবাইকে পঞ্চম শ্রেণিতে নিতে হবে।

একটা বিভাগ সরকারি, অন্যটি বেসরকারি হলে কী হবে?
বুধবার জানানো হল, তাতেও নিয়ম বদলাবে না। প্রথম শ্রেণিতে সব ছাত্রই ভর্তি হবে লটারির মাধ্যমে। চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরা সরাসরি পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি হবে। পরে আসন খালি থাকলে লটারি হবে।

‘কাছের স্কুল’ নিয়ে বিভ্রান্তি কোথায়?
অনেক স্কুল বলেছিল, ১ বা ২ কিলোমিটার দূরত্বে থাকা শিশুরাই শুধু লটারির সুযোগ পাবে। তাই নিয়ে ক্ষোভ ছিল। শিক্ষা দফতর বলেছে, কাউকে কোনও স্কুলেই লটারির সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। কোনও শিশু যদি একাধিক লটারিতেও ভর্তি হতে না পায়, তখন তাকে কাছের কোনও স্কুলে ভর্তির দায়িত্ব সরকারের।

টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠছে কেন?
কিছু স্কুল আবেদনপত্রের জন্য অর্থ নিয়েছে বলে অভিযোগ। শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য, তাদের টাকা ফেরত দিতে বলা হবে। স্কুল তা মানল কি না, নজর রাখা হবে।

ভর্তি নিয়ে তবু গোলমাল হচ্ছে কেন?
চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের ভর্তি নেওয়ার পরে বহু স্কুলেই পঞ্চম শ্রেণিতে আর আসন ফাঁকা থাকছে না। স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ জমছে। নামী স্কুলে চাপ বেশি থাকায় সেখানে গোলমাল বেশি হচ্ছে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.