স্কুলের রাস্তায় জমে ছিল বালি। ওই রাস্তা ধরেই যেতে হয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। রাস্তা বিপজ্জনক হয়ে পড়লেও স্থানীয় প্রশাসন বালি সরাতে উদ্যোগী হয়নি। তাই ওই রাস্তা থেকে বালি তোলার কাজে হাত লাগালেন এলাকার বাসিন্দারাই।
বুধবার সকালে আদ্রার কাটারাঙ্গুনী এলাকায় আদ্রা-কাশীপুর রাস্তায় প্রায় দেড়শো মিটার স্থানীয়রা পরিষ্কার করেন। এই রাস্তায় কাটারাঙ্গুনী গ্রামের কাছেই রয়েছে বিদ্যাসাগর বিদ্যাপীঠ। কিছুটা দূরেই রয়েছে কাটারাঙ্গুনী প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। পথচারীরা জানিয়েছেন, রাস্তার এই এলাকা তুলনামূলক নীচু। তাই আশপাশের উঁচু এলাকা থেকে বালি এসে এই এলাকায় রাস্তার উপরে জমা হচ্ছে। কিন্তু, প্রশাসন সেই বালি সরাচ্ছে না। বালিতে পিছল খেয়ে সাইকলে, মোটরবাইক আরোহীরা রাস্তায় পড়ে চোট পাচ্ছেন। |
এ দিন সকালে গিয়ে দেখা গেল, এলাকার কয়েক জন যুবক কোদাল-গাঁইতি নিয়ে রাস্তা সংস্কার শুরু করেছেন। তাঁদের মধ্যে তপন গরাই, দীপক বাউরি’রা বলেন, “বালি জমায় প্রায়দিন দুর্ঘটনা ঘটছে। কিন্তু প্রশাসনের হুঁশ নেই।” মঙ্গলবার মোটরবাইক আরোহী এক দম্পতি রাস্তায় ছিটকে পড়ার পরেই আমরা সাফ করার সিদ্ধান্ত নিই।” ওদের সঙ্গেই ছিলেন স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য পরেশ মাহাতো। তাঁর ক্ষোভ, “পূর্ত দফতর ও পঞ্চায়েত প্রধানকে বার বার জানানো সত্বেও তাঁরা ব্যবস্থা নেয়নি।” পঞ্চায়েতের সিপিএম প্রধান কল্যান মল্লিক বলেন, “পূর্ত দফতর সংস্কার করেনি। তাই আমরাই রাস্তাটি সংস্কার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” বিদ্যাসাগর বিদ্যাপীঠের টিচার-ইনচার্জ নীলোৎপল গঙ্গোপাধ্যায়, কাশীপুরের বাসিন্দা শঙ্কর দত্তেরা বলেন, “রাস্তায় বালি জমে থাকায় চলাচলের খুবই অসুবিধা হচ্ছিল। স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্যোগী হয়ে পরিষ্কার করায় সবার খুব উপকার হল।” |