তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস সৃষ্টির অভিযোগ তুলে বাঁকুড়া জেলার অধিকাংশ কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচন বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এসএফআই। বুধবার সংগঠনের বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক ধর্মেন্দ্র চক্রবর্তী সাংবাদিক বৈঠক করে এ কথা জানান। এ দিনই বাঁকুড়া খ্রিস্টান কলেজে ছাত্র সংসদের একটি আসনে নির্বাচনে নির্দল প্রার্থীর কাছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ পরাজিত হয়। তবে কলেজের ২৪টি আসনের মধ্যে আগেই টিএমসিপি ২৩টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে। অন্য দিকে, পুঞ্চার লৌলাড়া রামানন্দ সেন্টিনারি কলেজের ২০টি আসনই তৃণমূল ছাত্র পরিষদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছে।
এসএফআইয়ের জেলা সম্পাদকের অভিযোগ, “১৭টি কলেজের মধ্যে ১৩টিতে আমরা লড়াই করব না বলে ঠিক করেছি। গণতান্ত্রিক ভাবে কোথাও নির্বাচন হচ্ছে না। টিএমসিপি আমাদের প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র তুলতে বাধা দিচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন করা সম্ভব নয়। তাই আমরা এ বার নির্বাচন বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” তাঁদের দাবি, “গণতান্ত্রিক পথে নির্বাচন হলে কলেজগুলির ফল অন্য রকম হবে। আমরাই জিতব। সাহস থাকলে সন্ত্রাস বন্ধ করে তৃণমূল গণতান্ত্রিক পথে নির্বাচনে লড়াই করুক।” টিএমসিপি’র জেলা সভাপতি শিবাজি বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, “হার নিশ্চিত বুঝেই এসএফআই নির্বাচন বয়কট করার ‘নাটক’ করছে। কলেজগুলিতে ওদের সংগঠন না থাকায় প্রার্থী খুঁজে পাচ্ছে না। উল্টে আমাদের দোষারোপ করছে। গণতান্ত্রিক পথেই নির্বাচন হচ্ছে।”
তবে দুই দলের এই কাজিয়ার মধ্যে এ দিন খ্রিস্টান কলেজের একটি আসনের নির্বাচনে টিএমসিপি প্রার্থীর পরাজয় নিয়ে শহরে চর্চা কম হয়নি। অনেকের কটাক্ষ, ২২টি আসনে টিএমসিপি’ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতলেও একটি আসনে লড়াই হল, তাতেই ওরা হেরে গেল। এ যেন পচা শামুকে পা কাটার সমান। তবে অনেকের মতে, টিএমসিপি’ অন্তর্দ্বন্দ্বে ওই নির্দল প্রার্থী জিতেছেন। এ প্রসঙ্গে শিবাজিবাবুর মন্তব্য, “আমাদের প্রার্থীর গাফিলতিতেই এই হার।”
পুঞ্চার লৌলাড়া রামানন্দ সেন্টিনারি কলেজের কলেজের অধ্যক্ষ চন্ডীদাস মুখোপাধ্যায় বলেন, “কলেজে ২০টি আসন রয়েছে। ২০ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা করেছেন। ফলে নিবার্চন হচ্ছে না। ওই ২০ জনকেই জয়ী বলে ঘোষণা করা হচ্ছে।” তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা কার্যকরী সভাপতি নিরঞ্জন মাহাতো বলেন, “লৌলাড়া কলেজে আমরাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছি।” সিপিএম এর পুঞ্চা জোনাল কমিটির সম্পাদক বিপদতারণ শেখর বাবু বলেন, “পরিস্থিতি ভালো ছিলনা। তাই আমাদের ছেলেরা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ভরসা পায়নি।” |