মোটরভ্যানে যাতায়াতের ভাড়া কমানোর দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন বাসিন্দারা। বুধবার সকাল ছ’টা থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমার গোপালনগর মোড়ে প্রায় সাত ঘণ্টা ধরে অবরোধ চলে। পরে পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত ও পরিবহণ কর্মাধ্যক্ষ রজনীকান্ত বেরার আশ্বাসে অবরোধ ওঠে। প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ডায়মন্ড হারবার বা কাকদ্বীপ থেকে পাথরপ্রতিমা বাজারে যাওয়ার জন্য গঙ্গাধরপুর জেটি ঘাট থেকে সপ্তমুখী নদী পার হয়ে দুর্বাচটি ঘাটে যায়। বছর পাঁচেক আগে সেখান থেকে পাথরপ্রতিমা বাজার পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার রাস্তা প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় তৈরি হয়েছে। প্রথম দিকে ওই রাস্তায় সাইকেল ভ্যান যাতায়াত করলেও বছর দুয়েক ধরে সেখানে মোটর ভ্যান চলে। বর্তমানে মোটরভ্যানের সংখ্যা প্রায় ৭০টি। পাঁচ কিলোমিটার রাস্তা যাওয়ার জন্য যাত্রীদের ভাড়া দিতে হয় ন’টাকা। যাত্রীদের অভিযোগ, পাঁচ কিলোমিটার রাস্তার জন্য ন’টাকা ভাড়া অনেক বেশি। তাঁদের দাবি, ওই রুটে ভাড়া করতে হবে সাত টাকা। সকালে গোপালনগর মোড়ে কয়েকশো মানুষ অবরোধ করেন। ফলে যাতায়াত বন্ধ বন্ধ হয়ে যায়। পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত ও পরিবহণ কর্মাধ্যক্ষ রজনীকান্ত বেরা বলেন, “এখানে ভাড়া সমস্যা মেটানোর জন্য প্রশাসনের সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” এক সপ্তাহের মধ্যেই আলোচনা শুরু হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তাঁর কাছ থেকে আশ্বাস পেয়ে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
|
দলীয় কর্মী-সমর্থকদের উপরে তৃণমূলের ‘হামলা’ বন্ধ এবং দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে বসিরহাট থানার সামনে বিক্ষোভ দেখাল কংগ্রেস। বুধবার দুপুর থেকে থানার সামনে ইটিন্ডা রাস্তার ওপর কয়েকশো কংগ্রেস সমর্থকের অবস্থান ও বিক্ষোভের জেরে ওই রাস্তা দিয়ে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শেষে বসিরহাট থানার আই সি অতনু মণ্ডলের কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার পর সন্ধ্যা নাগাদ অবরোধ ওঠে। স্থানীয় কংগ্রেস নেতা অসিত মজুমদার বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন। তাঁর অভিযোগ, “দলীয় নেতা-কর্মীদের উপরে তৃণমূল হামলা চালাচ্ছে। এর পিছনে পুলিশ-প্রশাসনের একাংশের সহযোগিতা রয়েছে।” তৃণমূল অভিযোগ মানেনি। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অন্য দিকে, পানীয় জল সরবরাহ আইন মেনে টেন্ডার ডাকা, পুরসভার খাস জমিতে প্রকল্প করা, বেআইনি কর্মী নিয়োগ, দুর্নীতি এবং ইটভাটার জন্য অবৈধ ভাবে মাটি কাটা বন্ধ-সহ ১২ দফা দাবির ভিত্তিতে টাকি পুরসভার সামনে মঙ্গলবার বিক্ষোভ দেখান টাউন কংগ্রেসের সমর্থকেরা। বিক্ষোভের জেরে উত্তেজনা ছড়ায়। পুরপ্রধান সোমনাথ মুখোপাধ্যায়কে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
|
মগরাহাটের নৈনানে হুকিং কাটার অভিযানে গোলমালে উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করার জন্য পুলিশের গুলি চালানো ছাড়া উপায় ছিল না। প্রাথমিক তদন্তের পরে এমনই ধারণা হয়েছে সিআইডি-র। বুধবার ডিআইজি সিআইডি (অপারেশন্স) কে জয়রামন বলেন, “ওখানে পুলিশের গুলি চালানো ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না বলে মনে হচ্ছে। তদন্তের এখনও অনেকটাই বাকি। আমরা সব দিকই খতিয়ে দেখছি।” ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে সিআইডি-কর্তাদের দাবি। গত ১ ডিসেম্বর নৈনান গ্রামে হুকিং কাটার অভিযানে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন পুলিশ ও বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার কর্মীরা। তাঁদের আটকে রাখা হয়। উদ্ধার করতে গিয়ে বড় পুলিশবাহিনীও বিক্ষোভের মুখে পড়ে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, বিক্ষোভকারীদের উপরে পুলিশ গুলি চালায়। তাতে দু’জনের মৃত্যু হয়। সিআইডি-কর্তারা জানান, ময়না-তদন্তের রিপোর্ট বলছে ওই দু’জনের মৃত্যু হয়েছে গুলিতে। ওই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থের মামলা করেছেন পাঁচ আইনজীবী। কাল, শুক্রবার শুনানি হতে পারে। সিবিআই নিহতদের পরিবারকে ২০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দেওয়ারও আবেদন জানানো হয়েছে।
|
চোলাই মদ পুরোপুরি বন্ধ না করলে পারলে এই ব্যবসায় লাইসেন্স-ব্যবস্থা চালু করা উচিত বলে মনে করেন মহাশ্বেতা দেবী। বুধবার বাদুড়িয়ায় একটি মেলার উদ্বোধনে এসেছিলেন সমাজকর্মী ও লেখিকা মহাশ্বেতাদেবী। সংগ্রামপুরে বিষমদে ১৭২ জনের মৃত্যুর ঘটনা ‘দুঃখজনক’ বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “সরকার ঠিকঠাক মোকাবিলা করতে পারবে কিনা জানি না। তবে চোলাই সম্পূর্ণ বন্ধ হওয়া উচিত। তাতে কিছু মানুষের রোজগারে ভাটা পড়বে। সামাজিক পরিস্থিতিতে চোলাই যদি পাকাপাকি বন্ধ করা না যায়, তা হলে অন্তত কিছু দিন বন্ধ রেখে লাইসেন্সের ব্যবস্থা হোক। তবে সরকার নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারবে।” |