রাস্তা আটকে গাড়ি থামিয়ে ডাকাতি করতে গিয়ে এক দুষ্কৃতীর গুলিতে জখম হল তারই এক সঙ্গী। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বাদুড়িয়া থানার রামচন্দ্রপুরের বুড়ির আমতলায়। জখম দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাকে ভর্তি করা হয়েছে বসিরহাট মহকুমা হাসপাতালে। এ দিকে, পুলিশ চৌকি থাকা সত্ত্বেও প্রায়ই গাড়ি আটকে দুষ্কৃতীরা তাণ্ডব চালাচ্ছে বলে এলাকার মানুষের অভিযোগ। এরই প্রতিবাদে বুধবার সকালে বাদুড়িয়া-রামচন্দ্রপুর রাস্তা অবরোধ করেন তাঁরা। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্তারা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাত দেড়টা নাগাদ জনা দশেকের একটি দুষ্কৃতী দল রাস্তায় গাছের গুড়ি ফেলে গাড়ি আটকায়। একটি লরিতে যাচ্ছিলেন কয়েক জন ব্যবসায়ী। |
তাঁদের মারধর করে টাকা কেড়ে নেওয়া হয়। এ দিকে, ব্যবসায়ীদের ফিরতে দেরি হচ্ছে দেখে তাঁদের খুঁজতে লরির মালিক কয়েক জনকে তুলে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। বুড়ির আমতলার কাছে পৌঁছতেই তাঁদের গাড়িটিও আটকায় দুষ্কৃতীরা। দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। মহম্মদ মিরাল আলি নামে এক জনকে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল ডাকাত দল। এক দুষ্কৃতী তাঁকে লক্ষ্য করে গুলিও চালিয়ে দেয়। গুলি লাগে দুষ্কৃতীদেরই এক জনের পেটে। আহত সঙ্গীকে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করেছিল দুষ্কৃতীরা। পিছু ধাওয়া করে খোঁজ মেলে জখম ওই দুষ্কৃতীর। পরে পুলিশ এসে তাকে হাসপাতালে পাঠায়। মিরাল বলেন, “গাড়ি ফিরতে দেরি হচ্ছে দেখে বুঝতে পেরেছিলাম, সকলে দুষ্কৃতীদের খপ্পরে পড়েছে। আমরা গিয়ে দেখি তত ক্ষণে, কয়েক জনকে মারধর করে টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নিয়েছে। ধস্তাধস্তির সময়ে এক জন দুষ্কৃতী গুলি চালিয়ে দেয়। ওদেরই এক জনের গায়ে লাগে গুলি।”
রামচন্দ্রপুর বাজারে পুলিশ চৌকি আছে। মঙ্গলবারের ঘটনাস্থল থেকে তা দু’তিন কিলোমিটার দূরে। গ্রামের মানুষ ওই রাস্তা দিয়ে যেতে রাতের বেলা ভয় পাচ্ছেন। গ্রামের বাসিন্দা মুজিবর রহমান বলেন, “পুলিশ চৌকি থাকা সত্ত্বেও এই অবস্থা। দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করে অবিলম্বে এলাকায় শান্তি ফেরাতে হবে। না হলে আমরা বড়সড় আন্দোলন গড়ে তুলব।” |