|
|
|
|
এক মাসেই অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার নির্দেশ হোটেলগুলিকে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কৃষ্ণনগর |
এক মাসের মধ্যেই কৃষ্ণনগর সদর মহকুমার সমস্ত হোটেল ও লজগুলিতে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা করে ফেলতে হবে। সেই সঙ্গে নিতে হবে দমকল বিভাগের এনওসি-ও। কৃষ্ণনগর সদর মহকুমাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি এই দিন জানিয়েছেন, যে সব হোটেল ও লজ এই নির্দেশ পালন করবে না, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আমরি কাণ্ডের পরেই নড়েচড়ে বসেছিল মহকুমা প্রশাসন ও দমকল দফতর। তড়িঘড়ি বিভিন্ন লজ ও হোটেলে হানা দেয় প্রশাসন ও দমকল বিভাগের প্রতিনিধিরা। আর তাতে যে ছবিটা উঠে এসেছে, তা খুবই উদ্বেগজনক বলে জানিয়েছেন তাঁরা। পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা না থাকার ফলে বিপজ্জনক অবস্থাতেই রয়েছে শহরের হোটেল ও লজগুলি। অনেক ক্ষেত্রে ঢোকার রাস্তা যেমন সরু, তেমন নেই পর্যাপ্ত জলও। প্রচুর দাহ্য পদার্থ থাকলেও অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র নেই, নেই দমকলের ‘এনওসি’। মহকুমাশাসক পূর্ণেন্দুবাবু বলেন, “আমরা আর কোনও ঝুঁকি নিতে চাই না। হোটেল ও লজমালিকদের এক মাস সমস দেওয়া হয়েছে। তার পরে আমরা আবার বিভিন্ন হোটেলে আচমকা অভিযান চালাব। যদি কোনও হোটেল মালিক এই সময়ের মধ্যে সব ধরনের অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা করে ফেলতে না পারেন, তা হলে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দমকলের এনওসি-ও নিতে হবে সব হোটেল মালিকদের।” প্রশাসনের সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছু ছোট হোটেলে অত্যন্ত সামান্য জায়গাই কাঠ বা বোর্ড দিয়ে ঘিরে আলাদা ঘর করে দেওয়া হয়। তাতে পর্যটকেরা খুবই সমস্যায় পড়ে। ওই ছোট ঘরে আলো-বাতাসও থাকে না বললেই চলে। এবং এ ক্ষেত্রে দাহ্য পদার্থের ব্যবহার যেমন বাড়ে, তেমনই আগুন লাগলে বেরোনোর রাস্তাও বন্ধ হয়ে যায়। এখন দমকলের এনওসি নিতে গেলে, হোটেল মালিকদের বাধ্য হতে হবে, ঘরগুলির আয়তনও বড় করতে। এরকম আরও কিছু সমস্যাও সে ক্ষেত্রে মিটে যাবে। প্রশাসন জানিয়েছে, মিটারবক্স কাচ দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। যাতে সেখানে কোনও ভাবে আগুন লাগলে তা ছড়িয়ে না পড়ে।
নদিয়া জেলা লজ অ্যান্ড হোটেল মালিকদের সংগঠনের সম্পাদক প্রসেনজিৎ সরকার বলেন, “দমকলের লাইসেন্স বা অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা কোনওটা সম্পর্কেই আমাদের এত দিন কোনও ভাল ধারণা ছিল না। তা ছাড়া, দমকলের সার্টিফিকেট নিতে গেলে নানা সমস্যাও হয়। পুরো বিষয়টি আমরা মহকুমা প্রশাসনকে জানিয়েওছি।” তবে তাঁর কথায়, “আমরা প্রশাসনের সাহায্য পেলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই সব রকম ব্যবস্থা করে ফেলব।”
এই দিন হোটেল ও লজমালিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন দমকলের কৃষ্ণনগরের ওসি হরলাল সরকার। তিনি বলেন, “দু’একটি হোটেল বা লজ ছাড়া বাকিদের আগুন নিয়ে কোনও অনুমতিই নেই। তাঁরা জানেনই না কী করতে হবে। আমরা পুরো বিষয়টি ভাল করে বুঝিয়ে বলে দিয়েছি।” |
|
|
|
|
|