|
|
|
|
সর্পদষ্টদের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ বরাদ্দ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
সাপে কাটায় মৃত্যু হয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার এমন ১৫ জনের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণের অর্থ বরাদ্দ করল রাজ্য সরকার। মৃতদের পরিবার এ ক্ষেত্রে ১ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ পাবে। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক জানান, এই খাতে আপাতত ১৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। বিভিন্ন এলাকার বিডিওদের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব মৃতদের পরিজনের হাতে ক্ষতিপূরণের টাকা তুলে দেওয়া হবে। মৃত ব্যক্তির ছেলেমেয়ে থাকলে এবং তাঁরা প্রাপ্তবয়স্ক হলে, ক্ষতিপূরণের টাকা তাঁদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে।
প্রতি বছরই, বিশেষত বর্ষার আগে-পরে, জেলায় সাপে কাটায় বেশ কয়েক জনের মৃত্যু হয়। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, ২০০৮ সালের ৭ অগস্টের পর থেকে সাপে কাটায় মৃত্যু হয়েছে, এমন ১৫ জনের পরিবারের জন্য এ দফায় ক্ষতিপূরণের অর্থ বরাদ্দ হয়েছে। ওই সূত্রের খবর, বিনপুর-২ ব্লকের মালা হাঁসদা ও মনু নায়েক, এই দু’জনের পরিবার ক্ষতিপূরণের অর্থ পাবে। এই দু’জনেরই সর্পদষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছিল। ঝাড়গ্রাম ব্লকের রুমা মণ্ডল, গোপীবল্লভপুর-২ ব্লকের যজ্ঞেশ্বর সোরেন, দাঁতন-১ ব্লকের রেখা বারিক, ডেবরার নারায়ণচন্দ্র বেরা, তাপসী দোলুই, ইন্দ্রনীল দাস, চন্দ্রকোনা-২ ব্লকের সুজয়কুমার দিন্দা, লক্ষ্মীকান্ত মণ্ডল, অনুপ বায়েন, মৌমিত বেরা, চন্দ্রকোনা-১ ব্লকের মনসা ভাণ্ডারি, ঘাটাল ব্লকের মন্টু দাস ও ছায়া ঘোষালের পরিবারের জন্য এ দফার ক্ষতিপূরণের অর্থ বরাদ্দ হয়েছে। দেরিতে হলেও ক্ষতিপূরণের অর্থ বরাদ্দ হওয়ায় কিছুটা স্বস্তি সংশ্লিষ্ট পরিবারগুলিতে। তালিকায় নাম রয়েছে, এমন এক মৃতের পরিজনের কথায়, “২০০৮-এর অক্টোবরে আমার স্বামী সাপের কামরে মারা যান। কিন্তু, এখনও ক্ষতিপূরণের অর্থ পাইনি। অতি কষ্টে সংসার চলছে। ক্ষতিপূরণের অর্থ পেলে কিছুটা সুরাহা হবে।” |
|
|
|
|
|