কেশপুরে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ
স্কুল পরিচালন সমিতির অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনে জয়ের পর মিছিল করাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ফের সংঘর্ষ বাধল কেশপুরে। বুধবারের এই সংঘর্ষে দু’পক্ষের ১০ জনেরও বেশি জখম হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৬ জনকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষের পাশাপাশি বাড়ি ভাঙচুর ও লুঠপাট, পার্টি অফিস ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে। বিশাল পুলিশি বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষের ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার প্রবীণ ত্রিপাঠি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “উত্তেজনা থাকায় এলাকায় পুলিশি টহল চলছে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে।”
মেদিনীপুর মেডিক্যালে আহত তৃণমূল কর্মীরা। ছবি: রামপ্রসাদ সাউ।
সংঘর্ষের ‘দায়’ নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীই একে অন্যের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে। স্কুলে জয়ী তৃণমূল ব্লক-সভাপতি আশিস প্রামাণিকের গোষ্ঠীর সদস্য মুস্তাক আহমেদ খানের অভিযোগ, “বিজয়-মিছিলের জন্য জোগাছিয়া মোড়ে তৃণমূল সমর্থকেরা জড়ো হচ্ছিলেন। তখনই অতর্কিতে আমাদের উপর হামলা হয়। সিপিএমের লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের দলেরই কিছু লোক হামলা চালিয়েছে।” তৃণমূলের অন্য গোষ্ঠীর নেতা নেপাল ঘোষের আবার অভিযোগ, “বিজয়-মিছিলের নামে জমায়েত করে প্রতিবাদী তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের উপরে হামলা চালিয়েছে আমাদের তৃণমূলেরই কিছু লোক। বাড়ি ভাঙচুর করে লুঠপাট চালিয়েছে। পার্টি অফিসও ভাঙচুর করেছে। সিপিএমের লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে হামলা চালিয়েছে আশিসবাবুরই লোকজন।” নেপালবাবুদের দাবি, “আশিসবাবুদের যে ৬ জন স্কুল নির্বাচনে জিতেছেন, তাদের মধ্যে ৫ জনই হয় সিপিএমের কোনও না কোনও কমিটির সদস্য ছিলেন বা সিপিএম নেতার ভাই অথবা ছেলে। এর থেকেই প্রমাণ হয় ব্লক সভাপতি কাদের নিয়ে চলছেন!” পুরো বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লিখিত ভাবে জানাবেন বলেও জানিয়েছেন নেপালবাবুরা।
এ প্রসঙ্গে শাসকদলের ব্লক সভাপতি আশিস প্রামাণিকের বক্তব্য, “যে মিছিল এ দিন হয়েছে তার জন্য আমার অনুমতি নেওয়া হয়নি। নেত্রীর মায়ের মৃত্যুতে আমরা সবাই শোকাহত। এই সময়ে তাই মিছিল না করার কথাই বলেছিলাম। তবু এক পক্ষ মিছিল করল। এক পক্ষ অন্য পক্ষের উপরে হামলা চালিয়েছে বলেও দু’পক্ষ অভিযোগ করছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। তবে যারাই সংঘর্ষে মদত দিক না কেন, ঠিক করেনি।” রবিবার কেশপুরের দোগাছিয়া লক্ষ্মীনারায়ণ হাইস্কুলে পরিচালন সমিতির নির্বাচন ছিল। তাতে দুই গোষ্ঠীই প্রার্থী দেয়। আশিস প্রামাণিকের গোষ্ঠীর ৬ জনই অবশ্য জয়ী হন। তার পরেই হয় বিজয়-মিছিলের পরিকল্পনা। নির্বাচন ঘিরে আকচাআকচি ছিলই। বুধবার এক পক্ষের বিজয়-মিছিলের পরিকল্পনায় উত্তেজনা বাড়ে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.