|
|
|
|
বর্ষশেষে পিঠেপুলির মেলা শহরে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
কেক-পেস্ট্রি বা টার্কির রোস্ট নয়, শনিবার, পয়লা জানুয়ারির আগের সন্ধ্যায় মেদিনীপুর শহরে রসনা-তৃপ্তির প্রধান আকর্ষণ হতে চলেছে পিঠে। নানা স্বাদের, নানা চেহারার পিঠে। ডিসেম্বর-জানুয়ারি মানে তো আমাদের সেই নবান্নের গন্ধ মাখা পৌষ। আর পৌষ মানে তো পিঠেপুলিরও মাস। তবে মা-মাসিদের হাতে তৈরি সেই পিঠের দিন যেন খানিকটা অস্তগামী। আজকের মা-মাসিমারা সবাই আর ‘হাউসওয়াইফ’ নন। অনেকেই ‘ডব্লুডব্লু’--ওয়ার্কিং উওমেন। চাল গুঁড়িয়ে, হাত পুড়িয়ে এই ঠান্ডায় কে আর অত ঝক্কি পোহাতে চায়! |
|
আলোয় সেজে উঠছে মেদিনীপুরের ক্যাথলিক চার্চ। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল। |
পৌষের রোদ গায়ে মেখে পিঠে খাবার মজাটা তাই আর সবার কপালে জোটে না। সেই হারাতে বসা পিঠেপুলির স্বাদই অন্তত এক দিনের জন্য ফিরতে চলেছে মেদিনীপুরে। নতুন বছরের আগের সন্ধ্যায় জেলা পরিষদ চত্বরে বসতে চলছে ‘পিঠে মেলা’। হাতে-গরম পিঠে চেখে দেখার, কিনে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ দিতে শহরেরই কিছু যুবকের উদ্যোগে হতে চলেছে এই মেলা। যা একান্ত ভাবেই শুধু পিঠের। জেলা পরিষদ চত্বরে বিকেল তিনটে থেকে রাত আটটা পর্যন্ত চলবে এই মেলা। শুধু এই জেলা নয়, আশপাশের বেশ কিছু জেলা থেকেও আসবেন পিঠের কারিগরেরা। উদ্যোক্তাদের অন্যতম কমলেশ নন্দ বলছেন, “অনেকে পিঠের স্বাদ ভুলতে বসেছেন। অনেক রকম পিঠের নাম আর শোনাই যায় না। হারিয়ে যেতে বসা পিঠে বা খুব চেনা পিঠে সবই থাকছে এই মেলায়।” কেশপুরের বাবুইঝাঁকা পিঠে, বর্ধমানের কোটপুলি, আস্কাপিঠে বা মুগপুলি যেমন থাকছে, তেমনই থাকছে পাটিসাপটা বা গোকুলপিঠে। খোলা চত্বরে পিঠে তৈরি হবে। একেবারে হাতেগরম পিঠে কেনার সুযোগ পাবেন সবাই। তবে এতেই থামছেন না কমলেশরা। এই শহরের যাঁরা খাবার নিয়ে নানা রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেনতাঁরাও থাকবেন। তাঁদের জন্য রয়েছে ‘পিঠে তৈরির প্রতিযোগিতা’। থাকছে পুরস্কার। রঙিন পানীয়, নাচাগানায় ‘নিউইয়ার্স ইভ’ সেলিব্রেশন যাদের পছন্দ নয়, তাদের জন্য এ বার অপশন ‘পিঠে মেলা’।
|
|
|
|
|
|