পুকুর বুজিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি সাঁইথিয়া দেড়িয়াপুর এলাকার বাগডোলা গ্রামের। অভিযোগ পেয়ে ওই ব্যক্তিকে শো-কজ করেছেন সাঁইথিয়ার ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের আধিকারিক। রাজস্ব আধিকারিক অভিজিৎ দত্ত বলেন, “বাসিন্দাদের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তদন্ত করে দেখা হয়েছে যে, ওই জায়গায় পুকুর ছিল। সেটি ভরাট করে দেওয়া হয়েছে। এই ভাবে পুকুর বোজানো যায় না। তাই ওই শিল্পপতি রাজেন্দ্র বোখারিয়াকে পুকুর বোজানোর কারণ দর্শানোর জন্য ১৫ দিন সময় দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে নিয়ম মেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” যদিও রাজেন্দ্রবাবু অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। |
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ময়ূরেশ্বর থানা এলাকার বাসিন্দা রাজেন্দ্র বোখারিয়া ৫-৬ বছর আগে সাঁইথিয়ার বাগডোলা মৌজায় জলাজমি ও ভূমি মিলিয়ে তিনটি দাগে প্রায় সাড়ে চার বিঘা জায়গা কেনেন। ১২৫ নম্বর দাগে ৪২ শতক, ১৬৫ নম্বর দাগে ৮৫ শতক ও ১৬৮ নম্বর দাগে ২০ শতক জায়গা কেনেন। এর মধ্যে ১২৫ নম্বর দাগে ৪২ শতক জায়গা পুকুর বলে উল্লেখ আছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বছর দু’য়েক আগে থেকে একটু একটু করে পুকুর বুজিয়ে যাতায়াতের রাস্তা তৈরি করেছেন। এর ফলে ওই পুকুরের আশপাশের ৮-১০ বিঘা জমিতে রবি শস্যের সময় আর জল পাওয়া যায় না।
অভিযোগকারী ওই সব কৃষিজীবীদের দাবি, যে সময় পুকুর বন্ধ করা হচ্ছিল তখনই সাঁইথিয়া ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরে জানানো হয়েছিল। কিন্তু সে সময় ওই দফতর কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। ফের অভিযোগ জানানো হয়েছে। যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই রাজেন্দ্র বোখারিয়ার দাবি, “আমি যখন জায়গা কিনি ওখানে পুকুর ছিল না। এখন যেমন দেখছেন তেমনই ছিল। তবে ভাষাগত কারণে আমি কাগজপত্র ঠিক মতো পড়ে দেখতে পারিনি। সেটাই ভুল হয়েছে।” তিনি বলেন, “ওই জায়গায় একটি পেঁয়াজ রাখার জন্য হিমঘর করার পরিকল্পনা রয়েছে।” অভিজিৎবাবু বলেন, “অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কারণ দর্শানোর নির্দেশ অমান্য করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ |