মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সাংগঠনিক স্তরে মোকাবিলা করতে এবার আটঘাঁট বেঁধে মাঠে নামতে চাইছে লালু প্রসাদের দল, আরজেডি। নীতীশ সরকারের ‘ভূমিকা’ সর্ম্পকে আমজনতাকে সচেতন করতে দলের এই নতুন প্রয়াসে দু’রকম ফল পেতে চাইছে বিহারের বিরোধী দল। দলের মতে, এক দিকেদলীয় কর্মীদের চাঙ্গা করা এবং অন্য দিকে, নীতীশ সরকারের ‘মুখোশ’ খুলে দেওয়া। আরজেডি-র শীর্ষ নেতারা মনে করছেন তাতেই ফল মিলবে।
রাজ্য সরকারের ‘মুখোশ’ খুলে দিতে রবিবার জেলা সভাপতিদের নিয়ে বৈঠক ডেকেছিল দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তাতে তিনটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেগুলি হল:
১) তথ্য জানার অধিকার আইনকে পুরো মাত্রায় ব্যবহার করে আসল তথ্যকে বের করে আনতে হবে। জেলা নেতাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সরকারের কাজ সর্ম্পকে সঠিক তথ্য সরকারি ভাবে জানতে এই আইন ব্যবহার করুন।
২) জেলার নেতারা তাঁদের গাড়ি এবং বাড়িতে দলের ঝাণ্ডা লাগাবেন। এই নির্দেশ কার্যকর করার ক্ষেত্রে দলের নেতারা মনে করছেন তাতে নীচু তলার কর্মীরা মনোবল ফিরে পাবে। এলাকায় দলীয় অস্তিত্বের প্রমাণ পাওয়া যাবে।
৩) কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে, নিজ নিজ এলাকায় যে সব চুরি, ডাকাতি, বেআইনি মদের ঠেক এবং ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে তা নথিভুক্ত করতে হবে। এবং তা নিয়ে স্থানীয় স্তরে রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে।
আরজেডি নেতৃত্বের নির্দেশ, এই তিনটি সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে জেলা নেতাদের প্রতি মাসে কেন্দ্রীয় অফিসে এই বিশয়ে একটি করে রিপোর্ট পাঠাতে হবে। তথ্য-সম্বলিত রিপোর্টগুলি যে মানুষকে সচেতন করতে ব্যবহার করা হবে তা জানিয়ে দলের এক নেতা বলেন, “আমরা আগামী
দিনে নীতীশ সরকারের মোকাবিলার জন্য তৈরি হচ্ছি।
এই সব তথ্য নির্বাচনী প্রচারেও কাজে লাগানো হবে। মানুষকে জানিয়ে দেওয়া হবে নীতীশ সরকার যা প্রচার করছে তা ভুলে ভরা। সরকারি তথ্য তুলে ধরেই সাধারণ মানুষকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে, বিহারের আসল পরিস্থিতিটি কী।”
লালুর দলের এই উদ্যোগ সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে রাজ্যের ক্ষমতাসীন জোটের প্রধান শরিক, জেডইউ-এর রাজ্য সভাপতি বশিষ্ঠনারায়ণ সিংহ বলেন, “তথ্য জানার অধিকার সকলের আছে। বিরোধী দল মন গড়া গল্প বলে মানুষকে যেন বিভ্রান্ত না করে তা দেখতে হবে। সেটা আমরাও দেখব।” তাঁর কথায়, “সমালোচনা হতেই পারে। কিন্তু তা যেন গঠনমূলক হয়। এটা বিরোধী দলের কাছে মানুষ আশা করবে।” |