হাইকোর্টের নির্দেশে ইসিএলের খনি ও আবাসনে বিদ্যুৎ সরবরাহ ফের চালু করল ডিসেরগড় পাওয়ার সাপ্লাই কর্পোরেশনকে (ডিপিএসসি)। তবে ইসিএলকে শুক্রবারের মধ্যে ৪৫ দিনের ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি বাবদ প্রায় ৩২ কোটি টাকা ডিপিএসসি-কে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নিয়ম অনুযায়ী, বিদ্যুৎ নিতে হলে ইসিএলকে ৯০ দিনের ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি হিসেবে প্রায় ৬৩ কোটি ৮৮ লক্ষ টাকা দিতে হয়। ইসিএল তা দিতে না পারায় গত ১৭ ডিসেম্বর থেকে একের পর এক খনির বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করতে শুরু করে ডিপিএসসি। বুধবারের মধ্যে ১২টি খনি পুরোপুরি, আরও কয়েকটি আংশিক ভাবে বন্ধ হয়ে যায়। খনি সংলগ্ন এলাকার কয়েক হাজার আবাসন ডুবে যায় অন্ধকারে। বাধ্য হয়ে ইসিএল হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়।
ডিপিএসসি-র পক্ষে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল অনিন্দ্য মিত্র বলেন, “আইন আনুযায়ী, সিকিউরিটি ডিপোজিট ছাড়া বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যায় না। তা না মেলাতেই সংযোগ ছিন্ন করতে হয়েছে।” ইসিএলের তরফে আইনজীবী শক্তিনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, “ইসিএলের বিদ্যুৎ বাবদ কোনও বকেয়া নেই। সিকিউরিটি ডিপোজিট সংক্রান্ত বকেয়া আছে। কিন্তু যে ভাবে কোনও আলোচনায় ছাড়াই ২১টি পয়েন্ট দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে তাতে ৭০ হাজার মানুষ বিপন্ন। ওখানে ২১টি খনি রয়েছে। কয়লা তোলা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্রে কয়লা পাঠানো যাচ্ছে না। এতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সমস্যা দেখা দেবে।”
দু’পক্ষের বক্তব্য শুনে বিচারপতি জয়ন্ত বিশ্বাস দু’দিনের মধ্যে বকেয়ার অর্ধেক মিটিয়ে দেওয়ার শর্তে বিদ্যুৎ ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। ডিপিএসসি-র প্রেসিডেন্ট (কর্পোরেট) সোমেশ দাশগুপ্ত বলেন, “হাইকোর্টের নির্দেশ পেয়ে সন্ধ্যা থেকেই আমরা বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার কাজ শুরু করেছি।” বকেয়া নিয়ে বেশ কয়েক মাস ধরে দু’পক্ষের যে লড়াই চলছে, তা শেষ হয়নি। ইতিমধ্যে ডিপিএসসি-ও হাইকোর্টে ইসিএলের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। আজ, বৃহস্পতিবার তার শুনানি হওয়ার কথা। |