তৃণমূল-কংগ্রেস জোট পরিচালিত আসানসোল পুরসভায় এ বার বেনিয়মের অভিযোগ তুললেন এক তৃণমূল কাউন্সিলর। এমপ্লয়মেন্ট জেনারেশন স্কিমের (ইজিএস) কাজের ব্যাপারে বেনিয়মের অভিযোগে পুর কমিশনারকে চিঠি দিয়েছেন ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পবিত্র মাজি।
মঙ্গলবার পুরসভার বৈঠকে পুর কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডে হারামডিহি থেকে দামোদর নদীঘাট পর্যন্ত রাস্তাটি ইজিএসের আওতায় সংস্কার করা হবে। অধ্যক্ষ সভায় এমন ঘোষণা করার পরেই বিরোধী বাম কাউন্সিলররা প্রতিবাদে সরব হন। প্রাক্তন মেয়র তথা পুরসভার বিরোধী দলনেতা সিপিএমের তাপস রায়ের দাবি, মাস দু’য়েক আগেই ওই রাস্তাটি সংস্কারের কাজ হয়েছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “এর পরেও কেন এই কাজ করা হবে বলে তালিকায় রাখা হচ্ছে?” বিরোধী কাউন্সিলরদের আরও দাবি, একটি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা রাস্তাটি সংস্কার করে দিয়েছে। উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবেই ইজিএসের মাধ্যমে এই কাজ করার কথা তালিকায় দেখানো হচ্ছে বলে তাঁদের অভিযোগ।
এই রাস্তা সংস্কারের বিষয়টি নিয়েই বেনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন ওই ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর পবিত্র মাজি। তিনি বলেন, “আমার ওয়ার্ডে কাজ হয়েছে, অথচ আমারই কিছু জানা নেই। আমি নিশ্চিত, নিয়ম মেনে এই কাজ হয়নি। এ ব্যাপারে তদন্ত চেয়ে পুর কমিশনারকে চিঠি দিয়েছি।” কাজটি দু’মাস আগে হয়ে যাওয়ার পরে ফের কেন ইজিএস-এর আওতায় রাখা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনিও। প্রসঙ্গত জোট পরিচালিত এই পুরসভায় শাসক গোষ্ঠীর কাউন্সিলরদের তরফেই বেনিয়মের অভিযোগ তোলা নতুন কিছু নয়। কিছু দিন আগেই কালাঝরিয়া জলপ্রকল্পে বিভিন্ন কাজের জন্য ডাকা একটি দরপত্রে অসঙ্গতির অভিযোগ আনেন খোদ পুরসভার তৃণমূল চেয়ারম্যান জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তদন্ত চেয়ে পুর কমিশনারের কাছে চিঠিও পাঠান।
এ দিন চেষ্টা করেও পুর কমিশনার বিশ্বজিৎ দত্তের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে মেয়র তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, “অক্টোবরে ছট পুজোর আগে জরুরি ভিত্তিতে রাস্তাটি সংস্কার করা হয়েছে। আমরা খরচের প্রাথমিক হিসেব ধরেছি ৯ লক্ষ টাকা।” তাঁর দাবি, যাঁরা বেনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন, তাঁরা ঠিক বলছেন না। এই রাস্তা পুরোপুরি সংস্কারের জন্য আরও খরচ হবে। পুরসভার বাস্তুকারদের দিয়ে তার হিসেব করানো হচ্ছে বলে জানান তিনি।
|