সন্ত্রাসের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আর সেই অভিযোগে বুধবার আসানসোলে জি টি রোড অবরোধ করল পুরসভায় তাদের জোটসঙ্গী কংগ্রেস। পালিত হল বিক্ষোভ অবস্থান কর্মসূচি। এই ঘটনায় কাজের দিনে দুপুরে দুর্ভোগে পড়লেন শহরবাসী। প্রায় ঘণ্টাখানেক এই অবস্থা চলার পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ উঠে যায়। আসানসোলের ডিসিপি (সদর) শীষরাম ঝাঝরিয়া প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার আশ্বাস দেন বিক্ষোভকারীদের। এ দিকে, এই আন্দোলন দায়িত্বজ্ঞানহীন বলে মন্তব্য করেছেন আসানসোলের মেয়র তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়।
বুধবার দুপুর বারোটা নাগাদ বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করে কংগ্রেসের আসানসোল মহকুমা কমিটি। দলের কয়েক হাজার সদস্য সমর্থকদের একটি মিছিল আসানসোলের আশ্রম মোড় থেকে শুরু হয়। মিছিলটি জিটি রোড ধরে গির্জা মোড় এলাকায় আসার পরেই জিটি রোড অবরোধ শুরু হয়ে যায়। কর্মসূচির নেতৃত্বে ছিলেন আসানসোলের ডেপুটি মেয়র অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়। কংগ্রেসের আসানসোল মহকুমা কমিটির সভাপতি রবিউল ইসলামের অভিযোগ, তৃণমূলের সদস্য সমর্থকেরা তাঁদের দলের কর্মীদের উপরে ক্রমাগত হামলা চালাচ্ছে।
|
আসানসোলের কলেজগুলিতে ছাত্রসংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় ছাত্র পরিষদ সদস্যদের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যেরা ব্যাপক মারধর করছে বলে তাঁর অভিযোগ। রবিউল ইসলামের কথায়, “সিপির ছাত্রদের মারধর করার অভিযোগে আমরা পাঁচ জন টিএমসিপি-ছাত্রের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।”
এ দিকে, এ দিন আচমকা রাস্তা অবরোধের ঘটনায় বিপদে পড়ে যান মানুষজন। কাজের দিনে দুপুর বারোটায় রাস্তা অবরোধে দীর্ঘক্ষণ মাঝরাস্তায় আটকে পড়ে স্কুল ফেরত ছাত্রছাত্রীরা। যানজট ছাড়াতে হিমসিম খায় পুলিশ। আশ্রম মোড় ও লোকো মোড় দিয়ে যানবাহনগুলিকে ঘুরিয়ে শহরের বাইরে পাঠানোর ব্যবস্থা হয়। কিন্তু তাতেও সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ কমেনি।
কাজের দিনে আগাম ঘোষণা না করেই হঠাৎ জোটসঙ্গীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে পথ অবরোধ কেন? রবিউল ইসলামের জবাব, “আমরা আর পারছি না। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে। এর পরেও অবস্থার পরিবর্তন না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।”
কংগ্রেসের অভিযোগ ও আন্দোলন কর্মসূচি নিয়ে তৃণমূলের বর্ধমান জেলা (শিল্পাঞ্চল) কমিটির সভাপতি তথা শহরের মেয়র তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ওঁরা দিশাহীন রাজনীতিতে নেমেছেন। শহরের মানুষকে অসুবিধায় ফেলে যাঁরা এ রকম দায়িত্বজ্ঞানহীন কর্মসূচি পালন করেন তাঁদের নিয়ে কিছু বলতে আমি লজ্জা বোধ করছি।” |