নিজস্ব সংবাদদাতা • বালুরঘাট |
দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট থানার দোল্লা এলাকায় রমরমিয়ে চলছে চোলাই মদের কারবার। এলাকার বাসিন্দারা এর বিরুদ্ধে পঞ্চায়েত থেকে বিডিও এবং পুলিশ থেকে আবগারি কর্তাদের কাছে পর পর গণ দরখাস্ত দিয়ে আবেদন জানিয়েও সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। দক্ষিণ ২৪ পরগণার মগরাহাটে বিষাক্ত চোলাই মদে শতাধিক ব্যক্তির মৃত্যুর পর বৃহস্পতিবার দোল্লা এলাকার ঘটনা সামনে আসতেই চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার চিরন্তন নাগ বলেন, “আবগারি দফতরের সঙ্গে যৌথ ভাবে চোলাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে। দোল্লা এলাকায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” জেলার অতিরিক্ত আবগারি সুপার তপন রায় বলেন, “অভিযোগ পেয়ে দোল্লা এলাকায় চোলাই মদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়। শীঘ্রই ফের অভিযান হবে।” বাসিন্দাদের অভিযোগ, দোল্লা গ্রামে পুকুরের পাড়ে দুষ্কৃতীরা দীর্ঘদিন ধরে চোলাই মদ তৈরি করছে। মদ তৈরির বিষাক্ত আবর্জনা পুকুরের জলে ফেলায় জল ব্যবহার করা যাচ্ছে না। মাতালদের দাপটে পরিবেশ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। আপত্তি জানালে কারবারিরা হুমকি দিচ্ছে। গ্রামবাসীদের তরফে গত নভেম্বর থেকে বালুরঘাট থানা-সহ ব্লক প্রশাসন কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার গণসাক্ষর সম্বলিত স্মারকলিপি পেশ করা হয়। সোমবার ফের আবগারি কর্তৃপক্ষের কাছে গ্রামবাসীরা স্মারকলিপি দিয়ে চোলাইয়ের বিরূদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আবেদন জানিয়েছেন। কয়েক বছর আগে বালুরঘাটে বিষাক্ত বিদেশি মদ খেয়ে এক মহিলা-সহ ৮ জনের মৃত্যু হয়েছিল। তারপরেও জেলা আবগারি দফতরকে চোলাই ও অবৈধ মদের ঠেকে অভিযান চালানোর মতো পরিকাঠামো সম্পন্ন ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়নি বলে অভিযোগ। আবগারি সূত্রের খবর, বালুরঘাটে ৩ জন এবং গঙ্গারামপুর মহকুমায় ৪ জন মাত্র কনস্টেবল নিয়ে অভিযানে নামতে হয়। গাড়ির সংখ্যা মাত্র ২টি। ফলে অভিযান চালাতে সমস্যার মুখে পড়েছে আবগারি দফতর। |