হাসপাতাল একটাই। অথচ তার হেল্থ লাইসেন্স ও ট্রেড লাইসেন্স ভিন্ন ভিন্ন নামে!
পুরসভার দেওয়া ট্রেড লাইসেন্সের ভিত্তিতেই কোনও হাসপাতালকে হেল্থ লাইসেন্স দেয় স্বাস্থ্য দফতর। কিন্তু সল্টলেকের আমরি হাসপাতালের ক্ষেত্রে তা হয়নি। তার ট্রেড লাইসেন্সে রয়ে গিয়েছে পূর্বতন ‘সুরক্ষা’ হাসপাতালেরই নাম। অথচ হেল্থ লাইসেন্স নেওয়া হয়েছে আমরি-র নামে। ঢাকুরিয়া আমরি’তে অগ্নিকাণ্ডের পরে কলকাতা ও আশপাশের হাসপাতালগুলোর কাগজপত্র খতিয়ে দেখতে গিয়ে সল্টলেক আমরি-র লাইসেন্স নিয়ে এই ‘বিভ্রান্তি’ স্বাস্থ্য দফতরের নজরে এসেছে। এটা হল কী ভাবে? স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা বলেন, “আমাদের লাইসেন্স বিভাগই ভুলটা করেছে। তবে তা ইচ্ছাকৃত কি না, তদন্ত ছাড়া বোঝা যাবে না।” দফতরের একাংশের অভিযোগ, পূর্বতন রাজ্য সরকারের উপরে ‘প্রভাব খাটিয়ে’ আমরি হাসপাতাল-কর্তৃপক্ষ এ ভাবে হেল্থ লাইসেন্স বার করেছেন। কিন্তু এত দিন তা খেয়াল হল না কেন? উত্তর ২৪ পরগনার মুখ্য স্বাস্থ্য-অধিকর্তা সুকান্ত শীলের ব্যাখ্যা, “২০০৯-এ আমরি সল্টলেকের ক্লিনিক্যাল এস্টাবলিশমেন্ট লাইসেন্সে নাম পরিবর্তিত হয়। ‘সুরক্ষা’র বদলে ‘আমরি’র নাম ঢোকানো হয়।
এর জন্য বহু দিন ওদের তাগাদা দিতে হয়েছিল। সতর্কও করা হয়েছিল। কিন্তু ট্রেড লাইসেন্সে নাম যে বদলানো হয়নি, সেটা আর কেউ দেখেননি।” ‘ভুল’ কবুলের পাশাপাশি আমরি-কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগ এনেছেন স্বাস্থ্য-কর্তারা। এক কর্তার কথায়, “ঢাকুরিয়ার মতো সল্টলেক আমরি’তে কিছু ঘটে গেলে হাসপাতাল-কর্তৃপক্ষই বিপদে পড়তেন।” এর জন্য সল্টলেক আমরি-র বিরুদ্ধে তাঁরা কি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবেন?
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের মন্তব্য, “সে ক্ষেত্রে তো আমাদের দোষী কর্মীদেরই আগে শাস্তি হওয়া উচিত! আমরি বিষয়টি নিয়ে আদালতে গেলে স্বাস্থ্য দফতরেরই মুখ পুড়বে!” স্বাস্থ্য দফতর শুক্রবারই আমরি-কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছে। সুকান্তবাবু বলেন, “সল্টলেক আমরি-কে বলা হয়েছে ১৫ দিনের মধ্যে ট্রেড লাইসেন্সে নাম বদলাতে। না-হলে হাসপাতাল বন্ধ করে দেওয়া হবে।” |