নিজস্ব সংবাদদাতা • জলপাইগুড়ি |
জলপাইগুড়ি জেলার ৪০টি পিছিয়ে পড়া গ্রাম পঞ্চায়েতকে চিহ্নিত করে, সেগুলির কাজকর্ম দেখভালের জন্য কমিটি তৈরি করে দিলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ। জেলাশাসকের নেতৃত্বে গঠিত ওই কমিটি গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির কাজে গতি আনার বিষয়ে উদ্যোগী হবে বলে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী জানিয়েছেন। শুক্রবার জলপাইগুড়িতে এসে জেলার বিভিন্ন ব্লকের উন্নয়নমূলক কাজের মূল্যায়ন করেন তিনি। পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী জানান, পঞ্চায়েতের কাজকর্ম খতিয়ে দেখতে প্রতি তিন মাসে তিনি দফতরের পদস্থ আধিকারিকদের নিয়ে জেলায় আসবেন। বিডিও থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, মহকুমাশাসক, জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠকে জেলার কাজের মূল্যায়ন করা হবে। একশো দিনের কাজ-সহ গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে উন্নয়নের কাজ করতে পদ্ধতিগত সমস্যা নিয়েও এদিনের বৈঠকে আলোচনা হয়। বৈঠকে যোগ দেওয়ার আগে শিলিগুড়ি লাগোয়া ফুলবাড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েত পরিদর্শন করেন মন্ত্রী। এতদিন জেলা স্তরের পর্যালোচনা বা মূল্যায়ন বৈঠক বছরে তিন মাস অন্তর হলেও বিভাগীয় স্তরে সেই বৈঠক হত। অর্থাৎ পাঁচটি বা ছটি করে জেলাকে একসঙ্গে নিয়ে বৈঠক হত। এ বার থেকে একটি মাত্র জেলা ধরে বৈঠক হবে বলে মন্ত্রী জানিয়েছেন। পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী বলেন, “এতদিন রাজ্যে উন্নয়নের কাজে বন্ধ্যাত্ব এসেছিল। এ বার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রাজ্যে উন্নয়নের জোয়ার এসেছে। সে কারণে প্রতি তিন মাস অন্তর জেলায় আসব এবং মূল্যায়ন বৈঠক হবে।” জলপাইগুড়ি জেলার ৪০ টি গ্রাম পঞ্চায়েতকে পিছিয়ে পড়া বলে এদিনের বৈঠকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই তালিকায় মূলত শহর লাগোয়া গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী বলেন, “একশো দিনের কাজকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। ইন্দিরা আবাস সহ গরিব মানুষের উপকারে আসে এমন প্রকল্পগুলির কাজ দ্রুত গতিতে সেরে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” বৈঠকে জেলাশাসক স্মারকী মহাপাত্র, রাজগঞ্জের বিধায়ক বন উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান খগেশ্বর রায়-সহ জেলার সমস্ত বিডিও, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিরা ছিলেন। জেলাশাসক বলেন, “পঞ্চায়েতে কাজ করতে গিয়ে বিভিন্ন সময়ে নানারকম পদ্ধতিগত সমস্যা তৈরি হয়। সেগুলির কীভাবে সমাধান হবে তা নিয়ে এদিনের বৈঠকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন ব্লকে কর্মী সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে আশ্বাস পাওয়া গিয়েছে।” |