নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
গ্রামীণ বিদ্যুদায়ন প্রকল্পের সুবাদে বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ আছে। সুইচ টিপলে আলোও জ্বলে। কিন্তু ভোল্টেজের হেরফেরে জেরে আলো অত্যন্ত কম। ফলে পড়াশোনা তো দূরের কথা, টিভিও চালানো যায় না। এই পরিস্থিতিতে গ্রাহকদের ক্ষোভ দূর করতে মহকুমার হাতিঘিষা এলাকায় গ্রামীণ বৈদ্যুতিকিকরণ দফতরের উদ্যোগে ৩৩ কিলো ভোল্টের একটি সাব স্টেশন তৈরির কাজ শেষের পথে। প্রায় ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ওই সাব স্টেশন তৈরির কাজ চলছে। আগামী মার্চ মাসের মধ্যেই ওই সাব স্টেশনটি কাজ শুরু করে দেবে বলে দফতরের অ্যাডিশনাল চিফ ইঞ্জিনিয়র এস কে সৎপতি জানিয়েছেন। একই সঙ্গে মহকুমার বিভিন্ন এলাকায় ট্রান্সফরমারের ক্ষমতা বাড়ানোর কাজও চলছে বলে তিনি জানিয়েছেন। পর্ষদের শিলিগুড়ি মহকুমা এলাকার ভারপ্রাপ্ত ওই আধিকারিক বলেন, “ওই সাব স্টেশন চালু হলে অটল, মেরিভিউ, কিরণচন্দ্র চা বাগান এলাকাতেও বিদ্যুতের নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহ সম্ভব হবে।” ২০০৪ সালে রাজ্য জুড়ে রাজীব গাঁধী বৈদ্যুতিকিকরকণ প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার পরে উত্তর দিনাজপুর-সহ বিভিন্ন জেলায় প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে নানা অভিযোগ রয়েছে। শিলিগুড়ি মহকুমার আধিকারিকদের দাবি, তাঁরা প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ করে ফেলেছেন। ফলে শিলিগুড়ি মহকুমার প্রতিটি গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে বলে দাবি করেছেন ওই দফতরের আধিকারিকেরা। এখন দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজের জন্য সমীক্ষার কাজ চলছে। প্রথম পর্যায়ে মহকুমার ২৮৫টি গ্রামকে বৈদ্যুতিক সংযোগে আনার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছিল। এই কাজে বরাদ্দ করা হয় প্রায় ২১ কোটি টাকা। বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে চিহ্নিত প্রতিটি গ্রামেই বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। গ্রামীণ বৈদ্যুতিকিকরণ দফতরের কর্তাদের যুক্তি, প্রকল্পে কেবলমাত্র বিপিএল তালিকাভুক্তদের বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হলেও বিদ্যুতের খুঁটি থেকে এপিএল তালিকাভুক্তরাও সংযোগ নেন তার জেরে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ভোল্টেজ সমস্যা তৈরি হয়। সেই জন্যই ট্রান্সফরমারের ক্ষমতা বাড়ানো এবং পৃথক একটি সাব স্টেশন তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়। পাশাপাশি, দ্বিতীয় পর্যায়ে সমীক্ষার কাজ একমাসের মধ্যে শেষ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। অ্যাডিশনাল চিফ ইঞ্জিনিয়র জানান, গত ৩০ নভেম্বর এই ব্যাপারে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদে পঞ্চায়েত সদস্যদের নিয়েও একটি বৈঠকও করেন তাঁরা। সেখানে প্রকল্পের পরবর্তী পর্যায় নিয়ে আলোচনা করা হবে। |