|
|
|
|
নদিয়ায় গ্রেফতার ‘মাওবাদী নেতা’ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কৃষ্ণনগর ও ঝাড়গ্রাম |
জঙ্গলমহলে ‘মাওবাদী’ সন্দেহে ধরপাকড় চলছেই। শুক্রবার আবার নদিয়ার চাপড়া থেকে ধরা পড়লেন এক ‘মাওবাদী নেতা’। বছর চল্লিশের তাজেম শেখ সিপিআই (মাওবাদী)-র নদিয়া-মুর্শিদাবাদ-কালনা জোনাল কমিটির সম্পাদক বলে দাবি পুলিশের। তাঁর কাছে থেকে একটি রাইফেল, দু’টি ওয়ানশটার, ৪০ রাউন্ড কার্তুজ ও বোমার মশলা পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি নদিয়ার পুলিশ সুপার সব্যসাচীরমণ মিশ্রের। তিনি বলেন, “নাকাশিপাড়ায় দু’টি খুনের অভিযোগ ছাড়াও মুর্শিদাবাদের নওদা এলাকাতেও একাধিক খুনের অভিযোগ রয়েছে ধৃতের বিরুদ্ধে। অস্ত্র প্রশিক্ষণ নিতে তাজেম কিছু দিন জঙ্গলমহলেও কাটিয়েছেন বলে জেনেছি।” উদ্ধার হওয়া রাইফেলটি পুলিশেরই লুঠ হওয়া আগ্নেয়াস্ত্র বলে দাবি পুলিশ সুপারের।
জেলা পুলিশ সূত্রের খবর, চাপড়ার বেদবেড়িয়ায় একটি বাড়িতে তাজেম রয়েছেন খবর পেয়েই এ দিন অভিযান চালানো হয়। তাজেম পালানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। যাঁর বাড়িতে তিনি ছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছে, সেই আসরাফ শেখের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে আবার চাপানউতোর শুরু
হয়েছে শাসক-জোটের দুই শরিকে। আসরাফ স্থানীয় হৃদয়পুর পঞ্চায়েতের কংগ্রেস সদস্য।
কিন্তু জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক সমর চক্রবর্তীর দাবি, “কিছু দিন হল আসরাফ তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।” তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা যুবকল্যাণ মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাসের অবশ্য দাবি, “ওই ব্যক্তি দলে যোগ দেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করলেও আমরা আমল দিইনি। আসরাফের সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক নেই।” পুলিশ জানিয়েছে, ওই পঞ্চায়েত সদস্য ‘পলাতক’। জঙ্গলমহলের
বিনপুর থেকেও এ দিন ৩ সন্দেহভাজন ‘মাওবাদী’কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত জগন্নাথ টুডু, সিভিল সোরেন ও লক্ষ্মীকান্ত মাহাতোকে রাষ্ট্রদ্রোহ, খুন, অপহরণ, হামলা-নাশকতার বেশ কয়েকটি মামলার সূত্রে খোঁজা হচ্ছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে। ধৃতেরা মাওবাদী নেতা-নেত্রী চায়না ও সুচিত্রা মাহাতোর স্কোয়াডের সদস্য বলেও দাবি পুলিশের। ধৃতদের আজ, শনিবার আদালতে হাজির করা হবে। |
|
|
|
|
|