|
|
|
|
ভাড়া বৃদ্ধি ছাড়াই আয় বাড়াতে চান পরিবহণমন্ত্রী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
রাজ্যের বিভিন্ন পরিবহণ নিগম চালাতে সরকারকে ৪৫০ কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হয়। তা সত্ত্বেও রাজ্য সরকার যে যাত্রী-ভাড়া বাড়ানোর পথে হাঁটতে চায় না, শুক্রবার ফের তা জানিয়ে দিয়েছেন পরিবহণমন্ত্রী সুব্রত বক্সী। একই সঙ্গে তিনি জানান, দফতরের সার্বিক আয় বৃদ্ধি এবং ব্যয়সঙ্কোচের জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিভিন্ন রকম গাড়ির মালিক-চালকদের সুবিধার জন্য রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় পর্যায়ক্রমে একটি করে অতিরিক্ত অফিস খুলবে পরিবহণ দফতর।
সরকার পরিবহণে ভর্তুকি বাবদ বরাদ্দ কমাতে থাকায় মার খাচ্ছে সরকারি বাসের পরিষেবা। তবু সরকার ভাড়া বাড়াতে চাইছে না কেন? সুব্রতবাবু বলেন, “ভাড়া না-বাড়ালেও দফতরের আয় বাড়াবে। আমরা পরিষেবা উন্নত করার উপরে জোর দিচ্ছি।” কিন্তু যাত্রী পরিবহণের ভাড়া না-বাড়ালে আয় বাড়বে কী ভাবে?
পরিবহণ দফতরের ব্যাখ্যা: নানা ধরনের গাড়ি বাড়ছে। পথকর এবং রেজিস্ট্রেশন মাসুল থেকে আয় বাড়ছে। ২০১০-’১১ আর্থিক বছরে দফতরের আয় যেখানে ছিল ৯০০ কোটি টাকা, চলতি আর্থিক বছরে তার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১২০০ কোটি। সুব্রতবাবু স্বীকার করেন, “রাজ্যের পরিবহণ ব্যবস্থা প্রায় বিকলাঙ্গ হয়ে পড়েছে। আশা করি, ধীরে ধীরে অবস্থার উন্নতি ঘটানো সম্ভব হবে।” তিনি জানান, যাত্রী-পরিবহণের প্রায় ৯০ শতাংশই নিয়ন্ত্রণ করে বেসরকারি ক্ষেত্র।
পথকর, রেজিস্ট্রেশনের মাসুল এবং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন আয়ের কাজকর্ম পরিচালনার জন্য কলকাতায় এত দিন শুধু বেলতলাতেই একটি অফিস ছিল। এ দিন কসবাতেও একটি অফিস চালু হয়েছে। সুব্রতবাবু বলেন, “শীঘ্রই এমন আরও দু’টি অফিস চালু হবে সল্টলেক ও মানিকতলায়। বিভিন্ন জেলায় এমন অফিস (আরটিএ) আছে ১৭টি। আগামী মার্চের মধ্যে সংখ্যাটা হবে ৩৮।” যাঁরা পরিবহণ দফতরের কাছে বিভিন্ন ব্যাপারে আবেদন করেন, ১ জানুয়ারি থেকে ডাক মারফত সরাসরি তাঁদের কাছে তার জবাব ও নথি পাঠানো হবে বলেও ঘোষণা করেন পরিবহণমন্ত্রী। তিনি বলেন, “বিভিন্ন দফতরে নানা অভিযোগ আসে। প্রাপককে সরাসরি নথি পাঠালে সমস্যা এড়ানো যাবে।” |
|
|
|
|
|