টুকরো খবর |
সংঘর্ষ সিপিএম, তৃণমূলের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তালড্যাংরা |
পতাকা টাঙানো নিয়ে সিপিএম-তৃণমূল সংঘর্ষ বাধল বাঁকুড়ার তালড্যাংরায়। বৃহস্পতিবার রাতের ওই ঘটনায় দু’পক্ষের ৮ জন জখম হন। স্থানীয় প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসার পরে আহতদের ছেড়ে দেওয়া হয়। সিপিএমের তালড্যাংরা জোনাল কমিটির সম্পাদক সুনীল হাঁসদার অভিযোগ, “আমাদের পার্টি অফিসের সামনে দলীয় পতাকা টাঙানো হচ্ছিল। তখন তৃণমূলের কর্মীরা আমাদের দলীয় কর্মীদের উপরে চড়াও হয়। তালড্যাংরা লোকাল কমিটির সম্পাদক গঙ্গাধর লায়েক-সহ ৬ জন হামলাকারীদের হাতে মারধর খান।” তালড্যাংরা ব্লক তৃণমূলের সম্পাদক মনসারাম লায়েকের পাল্টা দাবি, ‘‘সিপিএমের কর্মীরাই আমাদের দলের দুই কর্মীকে পতাকা টাঙানোর সময় মারধর করে। এর পরে এলাকার মানুষই ক্ষোভে মারধর করেন সিপিএম কর্মীদের।”বৃহস্পতিবার রাতেই বাবার মৃত্যুর পরে তালড্যাংরা থানার মান্ডি গ্রামে, নিজের বাড়িতে গেলে এলাকার তৃণমূল কর্মীদের ক্ষোভের মুখে পড়েন সিপিএমের মহিলা সংগঠনের নেত্রী কবিতা পাত্র। অশান্তির আশঙ্কায় তিনি পুলিশি পাহারা নিয়েই গ্রামে ঢুকেছিলেন। তাতেও আটকানো যায়নি তৃণমূলের লোকজনকে। পুলিশকর্মীদের সামনেই ‘গো ব্যাক কবিতা’ স্লোগান দিতে থাকেন তৃণমূল কর্মীরা। জোনাল সম্পাদক সুনীলবাবুর ক্ষোভ, “বাবার শ্রাদ্ধের কাজে এসেও তৃণমূলের হুঙ্কারের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না আমাদের মহিলা সংগঠনের নেত্রী। তৃণমূলের ভয়ে তিনি এমনিতেই বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে বাড়ি ছাড়া।” মনসারামবাবু বলেন, “বাবার মৃত্যুর পরে কবিতাদেবী গ্রামে এসেছেন। তাঁকে বাধা দেওয়া উচিত নয়। আমি ঘটনাটি খোঁজ নিয়ে দেখছি।”
|
পুরসভায় স্মারকলিপি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রঘুনাথপুর |
পুরসভার অস্থায়ী কর্মীদের ভাতা বাড়ানো-সহ কয়েক দফা দাবিতে তৃণমূল পরিচালিত রঘুনাথপুর পুরসভায় স্মারকলিপি দিল দলেরই শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি। শুক্রবার সংগঠনের শহর কমিটির তরফে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। সংগঠনের দাবি, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়লেও অস্থায়ী কর্মীদের ভাতা বাড়েনি। ওই কর্মীদের প্রভিডেন্ট ফান্ড শুরু করা ও পোশাক দেওয়ার দাবিও জানানো হয়েছে স্মারকলিপিতে। রঘুনাথপুরের উপ-পুরপ্রধান বাসুদেব তিওয়ারি জানান, দাবিগুলি নিয়ে পুরসভায় আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
|
তৃণমূলের নালিশ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • জয়পুর |
তৃণমূল কর্মীদের নানা ভাবে পুলিশ হেনস্থা করছে অভিযোগ তুলে বুধবার জয়পুর থানায় স্মারকলিপি দিল জয়পুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস। বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মিছিল করে এ দিন দুপুরে জড়ো হয় তৃণমূলের কর্মীরা। পরে সাত দফা সম্বলিত স্মরকলিপি জয়পুর থানার ওসি অসিত হাটির হাতে তুলে দেওয়া হয়। জয়পুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি ইয়াসিন শেখের অভিযোগ, “এফআইআর-এ নাম না থাকা এরকম বহু দলীয় কর্মীকে পুলিশ হেনস্থা করেছে। অন্য দিকে থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে সাধারণ মানুষকে পুলিশ ফিরিয়ে দিচ্ছে।”এসডিপিও (বিষ্ণুপুর) দিব্যজ্যোতি দাশ বলেন, “অভিযোগ ঠিক নয়। অযথা কাউকে হেনস্তা করা হয় না। তবু অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখা হবে।”
|
দেহ উদ্ধার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বিষ্ণুপুর |
অজ্ঞাতপরিচয় দুই যুবকের পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। শুক্রবার বাঁকুড়া-মেদিনীপুর ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে বিষ্ণুপুর থানা মড়ার গ্রামের কাছে দেহ দু’টি মেলে। পুলিশ জানিয়েছে, তিরিশ-বত্রিশ বছরের দুুই যুবকের দেহই ত্রিপলে মোড়া ছিল। পরনে ছিল শীতের পোশাক, প্যান্ট-শার্ট। দেহ দু’টির ময়নাতদন্তের জন্য বিষ্ণুপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মৃতদের পরিচয় জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
|
সাত বাড়িতে ডাকাতি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কোটশিলা |
মাওবাদীদের নাম করে ডাকাতি হয়েছে কোটশিলা থানার উপরবাটরি গ্রামে। বৃহস্পতিবার রাতে অযোধ্যা পাহাড় লাগোয়া জঙ্গলের পাশের ওই গ্রামের ৭টি বাড়িতে ডাকাতি করে দুষ্কৃতীদল। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাত সাড়ে ১২টা থেকে ঘণ্টা দেড়েক দুষ্কৃতীরা অবাধে লুঠপাট চালায় ওই ৭টি বাড়িতে। গ্রামের বাসিন্দা জোকার নসারি, রফিক আনসারিরা বলেন, “রাতে ১০-১৫ জনের দুষ্কৃতীদলটি দরজা ভেঙে বাড়িতে ঢোকে। ওরা নিজেদের মাওবাদী বলে দাবি করে হুমকি দেয়, বাড়িতে তল্লাশি চালাবে। বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে গুলি করবে। সাতটি বাড়ি থেকে প্রচুর নগদ টাকা ও গয়না লুঠ করে পালায় দুষ্কৃতীরা।” পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তল্লাশি চলছে।
|
প্রতিবন্ধীদের দাবি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বাঁকুড়া |
সরকারি হাসপাতালে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের বিশেষ সুযোগ দেওয়ার দাবিতে জেলাশাসককে স্মারকলিপি দিল বাঁকুড়া জেলা শারীরিক প্রতিবন্ধী কল্যাণ সমিতি। মোট ১৭ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি দেওয়া হয়। সংগঠনের জেলা সভাপতি অজিত বীরের অভিযোগ, “হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে গেলে সাধারণ রোগীদের সঙ্গে প্রতিবন্ধীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। তাঁদের চিকিৎসা করে দ্রুত ছেড়ে দিতে হবে।” জেলাশাসক মহম্মদ গুলাম আলি আনসারি বলেন, “তাঁদের দাবিগুলি খতিয়ে দেখা হবে।”
|
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু |
নিজস্ব সংবাদদাতা • সিমলাপাল |
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেলেন এক প্রৌঢ়। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম পরান কর্মকার। বাড়ি সিমলাপাল থানার বরাধরা গ্রামে। স্থানীয় সূত্রের খবর, শুক্রবার সকালে মাঠে যাচ্ছিলেন পরাণবাবু। রাস্তায় বিদ্যুতের খুঁটি থেকে ছেঁড়া একটি তারে অসাবধানে পা পড়ে গেলে তড়িদাহত হয়ে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। পরে পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে। |
|